আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমরা নরমালি জানি দেশের সরকারি বিদ্যাপীঠ গুলোর হলে থাকা- বিদ্যুৎ - পানির খরচ ফ্রী...
আর সকল হলেই সরকারী ভাবে ইনডাকশন চুলা ব্যবহার নিষিদ্ধ।  এতে নাকি বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়...
হলে থাকা অবস্থায় এই চুলা ব্যবহার করে রান্না - বান্না করলে কি খাওয়া হারাম হবে?

এখনে কিছু বিষয় লক্ষ্যনীয়--
 *আমাদের হলের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আমাদের খাওয়া দাওয়ার জন্য কোনো ব্যবস্থা করা হয় না।

* সরকার তো আমাদের থেকে ট্যাক্স গ্রহন করেই...

* হলে যে আমাদের খুব ভালো সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় এমনও না..যেমন দেখা যায় আমাদের জন্য খাট,টেবিল,ড্র‍য়ার এগুলো বরাদ্দ থাকার কথা ছিলো...কিন্তু এগুলো বেশির ভাগই পায় নি...কোথাও দেখা যায় লাইট নাই, ফ্যান নাই, কল নাই...এগুলো নিজেদের টাকা দিয়ে লাগিয়ে ব্যবহার করা লাগে...

1 Answer

0 votes
by (63,440 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

https://www.ifatwa.info/34844  নং ফাতাওয়ায় বলা হয়েছে যে, ন্যের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না। বিধায় এসব পরিত্যাজ্য। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ

তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা-২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,

عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "

নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)

আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

আপনি যেকোনো শর্ত মানার উপর ওয়াদাবদ্ধ হলে শরীয়াহ কোনো ফরজ বা ওয়াজিব জাতীয় কাজের খেলাফ না হলে সেই  শর্ত মেনে চলা আপনার জন্য আবশ্যক।  সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত হলের নিয়ম যেহেতু শরীয়াহ খেলাফ নয়, তাই উক্ত শর্ত মানতে হবে।   

যেহেতু হ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইনডাকশন চুলা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে নিষেধ। তাই ইনডাকশন চুলা রান্না করতে হলে হকর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। অনুমোদন না থাকলে তা ব্যবহার করা জায়েয হবে না।

প্রশ্নে উল্লেখিত হলের নিয়মাবলীতে যেহেতু লেখা আছে যে ইনডাকশন চুলা ব্যবহার করা যাবেনা, আর আপনি নিয়ম পড়েই সেই হলে উঠেছেন, তাই কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া উক্ত হলে থাকা অবস্থায় তা ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। হ্যাঁ যদি কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়, তাহলে এটি ব্যবহার করা যাবে। এটি কর্তৃপক্ষকে ধোকা দেয়ার শামিল।

বি:দ্র: কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্বে অবহেলা করার কারণে বা শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত না করার কারনে তাদেরকে আল্লাহ তায়ালার নিকট জবাবদিহীতা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...