আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
146 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

দয়া করে টেক্সট টা মনযোগ দিয়ে পড়বেন।
আমার ওপর প্রচুর মানসিক প্রেসার যাচ্ছে।

আমার বাবা দীর্ঘদিন যাবত বাসা থেকে দূরে থাকেন চাকরির জন্য। প্রায় ২৫ বছর।
আম্মুও বাসায় আমাদের নিয়ে থাকতো। আব্বু একাই রোজগার করে আলহামদুলিল্লাহ।
একাই রান্না করে খেত। কষ্ট হয়ে যেত তবুও।
আব্বু আমাদের অনেক বেশি ভালোবাসে, অনেক বেশি সাপোর্ট করে।

কিন্তু লাস্ট ১ বছর আব্বু যেখানে থাকে সেখানে এক দম্পতি ও চাকরির জন্য এসেছে। সে মহিলা এখন আব্বুকে রান্না করে খাওয়ায়। অনেক বেশি যত্ন দেখায়। এরকম হয় যে ওনার নিজের স্বামীকে না খাওয়ায়ে আব্বুকে দিয়ে যায়।

এসব বিষয় আম্মু জানতে পেরে খুবই দুশ্চিন্তা করে আর আব্বুর কাছে চলে যায়। কিন্তু আম্মু যাওয়াতে মহিলার ব্যবহার খুব খারাপ হয়ে যায়। বয়সে ছোট হয়েও আব্বুকে সন্মান তো দূর কেমন চোখে দেখে। আম্মুকে সহ্য করতে পারে না উনি একেবারে। আব্বু অনেক বুঝিয়ে, এটা ওটা আশ্বাস দিয়ে আম্মুকে তখন বাসা পাঠিয়ে দেয়। আম্মু চলে আসার পর ওই মহিলা আবার আব্বুর সাথে ভালো ব্যবহার করে। নানারকম রান্না করে খাওয়ায়।

ইদানিং আব্বু আমাদের সাথে অনেক ভালোভাবে কথা বলে কিন্তু আম্মুর সাথে কথা বলতে চায় না। ২/১ মিনিটে কথা শেষ  করে কল কেটে দেয়। ভালোমন্দ কিছু বলতে গেলে শুনে না।
দ্বীনের বুঝ তো নাই ই।
আম্মু এসব সহ্য করতে না পেরে আবার ও আব্বুর কাছে চলে গেছে। আম্মুর সামনে ওই মহিলা আব্বুকে বাজে কথা বলে কিন্তু আব্বু নীরব থাকে। কোনো প্রতিবাদ করে না। আম্মুকে প্রতিদিন নানান ভাবে বোঝায় বাসা চলে যাওয়ার জন্য। এমনকি এটাও বলে যে আম্মু থাকলে ওই মহিলা কালো জাদু করবে।

কিন্তু আব্বুকে নিয়ে চিন্তা করে আম্মু জোর করেই আব্বুর সাথে আছে। এতে আব্বুর অনেক মন খারাপ। অনেক অসন্তুষ্ট।

এই যে স্ত্রীর ওপর অসন্তুষ্ট, স্ত্রী কে বাসায় যেতে বলছে কিন্তু স্ত্রী যাচ্ছে না, এতে কি স্ত্রীর গুনাহ হবে???

আর এ অবস্থায় আম্মুর কি করা উচিত একটু পরামর্শ দিবেন ইনশাআল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (715,000 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
 ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন,
ﻭﻳﺠﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺰﻭﺝ ﻭﻁﺀ ﺍﻣﺮﺃﺗﻪ ﺑﻘﺪﺭ ﻛﻔﺎﻳﺘﻬﺎ ﻣﺎ ﻟﻢ ﻳﻨﻬﻚ ﺑﺪﻧﻪ ﺃﻭ ﻳﺸﻐﻠﻪ ﻋﻦ ﻣﻌﻴﺸﺘﻪ ، .. ﻓﺈﻥ ﺗﻨﺎﺯﻋﺎ ﻓﻴﻨﺒﻐﻲ ﺃﻥ ﻳﻔﺮﺿﻪ ﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ﻛﺎﻟﻨﻔﻘﺔ ﻭﻛﻮﻃﺌﻪ ﺇﺫﺍ ﺯﺍﺩ " 
স্ত্রীর সন্তুষ্টি পর্যন্ত স্বামীর উপর স্ত্রীকে সহবাস করা ওয়াজিব(অর্থাৎ স্ত্রীর চাওয়া মাত্র স্বামীকে সহবাস করতে হবে)।যতক্ষণ না স্বামীর শরীর দুর্বল হচ্ছে বা স্বামীকে তার জীবিকানির্বাহ পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। সহবাসের পরিমাণ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হলে এক্ষেত্রে উচিৎ খোরপোষ ইত্যাদির মত সহবাসের পরিমাণকে বিচারক ঠিক করে দেবেন।(দৈনিক না সাপ্তাহিক? এইভাবে ঠিক করে দিবেন)ফাতাওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়্যাহ-২৪৬
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/990


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামীর উপর স্ত্রীর শারিরিক অধিকার রয়েছে। সুতরাং আপনার বাবার নিকট আপনার মায়ের থাকাটা স্বাভাবিক। এজন্য যদি ঐ পরনারী আপনার বাবার উপর ক্ষিপ্ত হয়, তাহলে এতে আপনার মায়ের কোনো দোষ নাই। আপনার বাবার উপর অত্যাবশ্যকীয় যে, তিনি কর্মস্থল বা বাসা পরিবর্তন করবেন।এবং আপনার মা কে সাথে নিয়ে একত্রে কোথাও বসবাস করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,000 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...