আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (18 points)
১)কোনো একটা বিষয়ে ৩/৪বার ইস্তেখারা করার পর যদি ওই বিষয়ের কোনো স্বপ্ন না দেখি আবার ঘুম থেকে উঠার পর মন ভাল মন্দ কোনো দিকে না ঝুঁকে তাহলে ফলাফল কি ধরতে হবে?

২)আমার এক জন্মদিনে(যখন দ্বীনের বুঝ ছিল না)আমাকে উপহারে ২০০০টাকা দেওয়া হয়েছিল।এই টাকাটা কি হারাম হবে?

৩)যদি আমি সাওয়াবের উদ্দেশ্য ছাড়া টাকা গুলো কাউকে দিয়ে দিতে চাই তাহলে কি যেই নোট আমাকে দিয়েছিল সেগুলোই দিতে হবে না কি যেকোনো নোট দিয়ে ওই পরিমাণ টাকা দিয়ে দিলে চলবে?কারণ আমার টাকা গুলো অন্য টাকার সাথে রেখেছিলাম।নির্দিষ্টভাবে কোন নোটগুলো দিয়েছিল মনে নেই,কিন্তু ২০০০টাকা এটা মনে আছে।

৪)যদি টাকাগুলো হারাম হয় তাহলে সেই টাকা দিয়ে স্কুলের বা টিচারের বা কাউকে বেতন হিসেবে দেয়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কোনো একটা বিষয়ে ৩/৪বার ইস্তেখারা করার পর যদি ঐ বিষয়ের কোনো স্বপ্ন না দেখা যায় এবং ঘুম থেকে উঠার পর মন ভাল মন্দ কোনো দিকে না ঝুঁকে, তাহলে ইস্তেখারা আরো চালিয়ে যেতে হবে।

(২)
বিজাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে জন্মদিন পালনের কোনো সুযোগ নেই।এবং এ হিসেবে কোনো অনুষ্টান মাহফিলেরও কোনো সুযোগ নেই।
এবং সে রকম অনুষ্টানে শরীক হওয়া ও জায়েয হবে না। তবে দিন তারিখ ঠিক না করে  ঈসালে সওয়াব হিসেবে কারো জন্য কেউ কোনো দু'আর আয়োজন করলে সেটা মন্দ হবে না।
এক মুসলমানের জন্য অন্য মুসলমানের অবশ্যই দু'আ করা উচিৎ এবং এটাই কাম্য।বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/7747

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু হাদিয়া গ্রহণ করা সুন্নত। যদি ঐ আত্মীয় আপনাদের নিকট হাদিয়া প্রেরণ করে, তাহলে আপনি সেই হাদিয়া গ্রহণ করে নিতে পারবেন। তবে বার্ড-ডে প্রথার যাতে ব্যাপকতা না আসে, সেদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে। যদিও এটা বার্থডের খাবার, কিন্তু যেহেতু সে এই মালের মালিক, তাই আপনার জন্য খাওয়া বৈধ।তবে কোনো মিসকিনকে দিয়ে দেওয়াই তাকওয়ার দাবী।

সুতরাং আপনাকে যে ২হাজার টাকা উপহার দেয়া হয়েছে, সেই টাকাকে সদকাহ করে দেয়াই উত্তম হবে।

(৩) আপনি যদি সাওয়াবের উদ্দেশ্য ছাড়া টাকা গুলো কাউকে দিয়ে দিতে চান, তাহলে যেই নোট আপনাকে দেয়া হয়েছে, সেগুলোই দিতে হবে না। বরং যে কোনো নোট দ্বারা সদকাহ আদায় করে নিলেই হবে।

(৪) ঐ টাকা দিয়ে স্কুলের বা টিচারের বা কাউকে বেতন হিসেবে দিয়ে দিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...