আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (16 points)
আমরা জানি যেকোনো প্রাণীর মলমূত্র খাওয়া হারাম। আইওএম এর ফিকহ ক্লাসে আমরা এমনটাই পড়েছি। আজ জরুরী একটা মাসআলা নিয়ে হাজির হলাম। আমরা যারা চিংড়ি মাছ খেয়ে থাকি অনেকেই অসচেতনতা বশত চিংড়ি ঠিকভাবে পরিষ্কার করি না। শুধু চিংড়ির মাথায় থাকা বর্জ্য  থলিটাই ফেলি কিন্তু চিংড়ি মাছের পিঠের উপর দিয়ে একটা রেচন নালি থাকে। এই নালির মধ্যে চিংড়ি বর্জ্য বা মল থাকে। আমি বলেছি এই মল/বর্জ্য সহ চিংড়ি রান্না করে খাওয়া হারাম হবে। কিন্তু বিষয়টা কেউই মানতে চাইছে না।

 #প্রশ্ন - চিংড়ির পিঠের ওপর খোলসের নিচে থাকা বর্জ্য/মল সহ রেচন নালিটা না ফেলে চিংড়ি রান্না করলে তা খাওয়া কি জায়েজ হবে?

একটু দ্রুত উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবেন উস্তায। জাযাকুমুল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চিংড়ি সম্পর্কে চার মাযহাবের উলামায়ে কেরামদের মধ্য মতবিরোধ রয়েছে। শা'ফী, মালিকী,ও হাম্বলী মাযহাবের উলাময়ে কেরামগণ চিংড়িকে জায়েয বলে মনে করেন।
চিংড়ি নিয়ে হানাফী মাযহাবের উলামায়ে কেরামদের মধ্যেও মতবিরোধ রয়েছে। কেউ কেউ মাকরুহে তাহরীমি মনে বলেন।আবার কেউ মাকরুহে তানযিহি বলেন। অর্থাৎ তাহরীমি মনে না করলেও না খাওয়াকে উত্তম ও সচেতন পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য করেন। (তাকমিলাতু ফাতহুল মুলহিম-৩/৫১৩-৫১৪,আহসানুল ফাতাওয়া-৭/৩৯১,কিতাবুন নাওয়াযিল-১৪/৪১৩,কেফায়াতুল মুফতী-৯/১২৪,
ইমদাদুল ফাতাওয়া-৪/১০৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/472


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বড় চিংড়ির পিঠের ওপর খোলসের নিচে থাকা বর্জ্য/মল সহ রেচন নালিটা না ফেলে চিংড়ি রান্না করলে তা খাওয়া জায়েয হবে না। তবে ছোট চিংড়ির নালি পৃথক না করলেও সেটা খাওয়া হালাল হবে।


لما في امداد الاحکام:
"سوال: ملک بنگال میں نہایت چھوٹی اور بچی  مچھلیوں کی آلائشِ شکم جس میں پتا اور گوہ وغیرہ بھی شامل ہوتا ہے،ان کے پیٹ یا گلے کاٹ کر نہیں نکالی جاتی،بجائے اس کے انگلیوں سے ان کے پیٹ یا گلے زور سے دباتے ہیں جس سے پیٹ پھٹ کر وہ آلائش نکل جاتی ہےپھر پانی سے خوب تر بتر دھولیتے ہیں،مگر کاٹی ہوئی جگہ سے پانی جس طرح اندر پہنچتا ہے اور آلائش دور کرتا ہے،پھٹی ہوئی جگہ سے ویسا ہونے میں شک ہے،اب سوال یہ ہے کہ  اس طریقہ سے آلائش صاف کرکے جس میں آلائش کے بالکلیہ زائل ہونے میں شک ہے،یہ مچھلیاں کھانا جائز ہے یا نہیں؟
الجواب: بہت چھوٹی مچھلی کا کھانا بدون چاک کیے اور آلائش صاف کیے بھی حلال ہے "کما فی الشامی: و في سمك الصغار الّتي تقلی من غیر أن یشقّ جوفه فقال أصحابه (أي أصحاب الشافعي) لایحلّ أکله؛ لأنّ رجیعه نجسٌ وعند سائر الأئمة یحلّ"، پس جس چھوٹی مچھلی میں سے پتا وغیرہ نکالنا ممکن نہ ہو وہ تو بدون چاک کیے اور آلائش صاف کیے حلال ہے،البتہ وہ چھوٹی مچھلی کہ جس میں سے آلائش نکل سکتی ہے مگر چاک نہیں کرتا، بلکہ دبانے پر کفایت کی جاتی ہے، جیسا کہ سوال میں درج ہے، اس کے متعلق تفصیل یہ ہے کہ جس کو اس طریق پر دھونے میں طہارت کا گمان غالب ہو اس کو کھانا جائز ہے اور جس کو طریق ِمذکور پر دھونے سے طہارت کا گمان غالب نہ ہو اس کو کھانا جائز نہیں، کیونکہ جب اخراج نجاست ممکن ہے تو بدون اخراج  نجاست بالاتفاق  حرام ہے"فی تنویر الابصار: سمكة في سمكة فإن كانت المظروفة صحيحة حلتا وإلاحل الظرف لا المظروف (وقال صاحب الدر تحته): كما لو خرجت من دبرها لاستحالتها عذرة (وقال الشامي تحت قوله عذرة): فلو فرض خروجها غير مستحيلة حلت أيضا، لأن مناط الحرمة استحالتها لا خروجها من الدبر."(ج:4، ص:313، ط:مکتبہ دار العلوم کراچی)

وفیہ ایضاً:
"سوال: مچھلی میں کیا چیزیں حرام ہیں ،بعض مولوی صاحبان کہتے ہیں کہ پتا حرام ہے، لہٰذا جو مچھلی بہت چھوٹی ہے ، پتے  کی تمیز کرنا ممکن نہیں ہے، اس کا کھانا کیا مکروہِ تحریمی ہے؟  جواب عنایت فرمائیں۔

الجواب: قال في رد المحتار: و في سمك الصغار الّتي تقلی من غیر أن یشقّ جوفه فقال أصحابه (أي أصحاب الشافعي) لایحلّ أکله؛ لأنّ رجیعه نجسٌ وعند سائر الأئمة یحلّ(کتاب الذبائح،ج:6،ص:309،ط:سعید)

عبارت بالا سے معلوم ہوا کہ چھوٹی مچھلی کو اگر بدون آلائش صاف کیے ہوئے بھی پکالیا جائے تو ائمہ ثلاثہ رحمھم اللہ کے نزدیک جائز ہے اور امام شافعی رحمہ اللہ کے نزدیک آلائش صاف کرنے کے بعد جائز ہے اور صغار کی قید سے مفہوم ہوتا ہے کہ بڑی مچھلی کی آلائش صاف کرنا سب کے نزدیک واجب ہے،بدون صاف کیے کھانا جائز نہ ہوگا۔ لہٰذا صورتِ مسئولہ میں چھوٹی مچھلی کو بدون پیٹ صاف کیے ہمارے نزدیک کھانا جائز ہے۔واللہ اعلم"(ج:4،ص309،ط،مکتبہ دار العلوم کراچی)

وفي زاد المعاد:
"فلو لم تكن هذه النصوص مع المبيحين لكان القياس الصحيح معهم، فإن الميتة إنما حرمت لاحتقان الرطوبات والفضلات والدم الخبيث فيها، والذكاة لما كانت تزيل ذلك الدم والفضلات كانت سبب الحل، وإلا فالموت لا يقتضي التحريم فإنه حاصل بالذكاة كما يحصل بغيرها، فإذا لم يكن في الحيوان دم وفضلات تزيلها الذكاة لم يحرم بالموت ولم يشترط لحله ذكاة كالجراد، ولهذا لا ينجس بالموت ما لا نفس له سائلة كالذباب والنحلة ونحوهما، والسمك من هذا الضرب، فإنه لو كان له دم وفضلات تحتقن بموته لم يحل بموته بغير ذكاة، ولم يكن فرق بين موته في الماء وموته خارجه، إذ من المعلوم أن موته في البر لا يذهب تلك الفضلات التي تحرمه عند المحرمين إذا مات في البحر. ولو لم يكن في المسألة نصوص لكان هذا القياس كافيا. والله أعلم."
[فصل في هديه في الغزوات والجهاد، جواز أكل ميتة البحر، ج:3، ص:477، ط:دار ابن حزم]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...