আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লহি ওয়াবারাকাতুহ।
১। আমি যদি অন্য কাউকে (যার উপর পর্দা ফরজ) অনলাইন থেকে কোনো কিছু অর্ডার করে দেই আমার টাকা দিয়ে নয়, যে ব্যবহার করবে তার টাকা। আমি জাস্ট অর্ডার টা কনফারম করে দিলাম আমার মোবাইল দিয়ে।আমি যদি আবার অর্ডার করে না দেই তবে অনেক কথা শুনতে হবে, খুচে খুচে কথা বলবে।
যেমন: স্কিন ব্রাইট রাখার ক্রিম, এতে যদি ওর স্কিন দেখতে সুন্দর দেখায় ব্রাইট লাগে ও সে গায়রে মাহরামদের সামনে যায় (চেহারা ও হাত পা খুলা রেখে) এতে কি আমারো গুনাহ হবে অর্ডার করতে সহযোগিতা করার জন্য ?

আবার লং গাউন বা ড্রেস বা বোরকা ও অর্ডার করে দিই ও সে যদি তা পরে গায়রে মাহরামদের  সামনে যায়(চেহারা ও হাত পা খুলা রেখে)  তাহলে আমারও কি গুনাহ হবে?

২। যুবতি বা যার উপর পর্দা ফরজ এমন কারো সাথে মার্কেটে গেলে ও ওর কাপড় চয়েজ করতে আমিও সহযোগীতা করলে যেমন কোন কাপরে ওকে সুন্দর লাগবে, কোন কাপড় ভালো হবে আবার ওই কাপড় পরে যদি সে গায়রে মাহরাম পুরুষদের সামনে পরে যায় (চেহারা ও হাত পা খুলা রেখে) তাহলে কাপড় চয়েজ করতে সহযোগিতা করায় আমারও কি গুনাহ হবে?
৩। যার উপর পর্দা ফরজ এমন মেয়েকে যদি আমার কাপড় দেই যেগুলো আমি পড়বো না বা আল্লাহর জন্য দান করে দেই আবার ওই কাপড় পড়ে ওই মেয়েটি যদি কোনো গায়রে মাহরাম পুরুষদের সামনে যায় তাহলে কি আমারও গুনাহ হবে?
৪। আমি  যদি কোন মেয়েকে কোন ড্রেস বা কাপড় গিফট করি ও সে যদি ওই কাপড়টা পরে যদি গায়রে মাহরাম পুরুষদের সামনে  যায় তাহলে কি আমারও গুনাহ হবে?
৫।কেউ যদি কোন অনুষ্ঠানে যেতে চায় ও  আমার কাছে এসে কোন ড্রেস চায় আর আমি তাকে ড্রেস দিলে ওই ড্রেস পরে যদি ওই মেয়ে  সাজসজ্জা করে হোক বা না করে হোক গায়রে মাহরাম পুরুষদের সামনে যায় তাহলে কি আমারও গুনাহ হবে?

বি:দ্র: আমি চাই যে সবাই পর্দা করে চলুক। মাহরাহ, গায়রে মাহরাম মেইনটেইন করুক।

অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি এই প্রশ্নগুলো নিয়ে সঠিক জবাবের অপেক্ষায় রইলাম।
আশা করি জবাব দিয়ে উপকৃত করবেন ইন শা আল্লাহ।

অগ্রিম জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/54461/   নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

শরীয়তের বিধান হলো, এমন পোশাক, যাহা পুরুষদের আকৃষ্ট করে, সেটি পরিধান করে পর পুরুষদের সামনে গেলে পর্দা হবেনা।

 

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন

عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «صنفان من أهل النار لم أرهما، قوم معهم سياط كأذناب البقر يضربون بها الناس، ونساء كاسيات عاريات مميلات مائلات، رءوسهن كأسنمة البخت المائلة، لا يدخلن الجنة، ولا يجدن ريحها، وإن ريحها ليوجد من مسيرة كذا وكذا»

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,জাহান্নামের দু'টি দল, যাদেরকে এখন পর্যন্ত আমি দেখিনি।

(ক) ঐ দল যাদের সাথে গরুর লেজের মত লাঠি থাকবে যা দ্বারা তারা লোকদিগকে প্রহার করবে।

(খ) ঐ সমস্ত পোশাকধারী উলঙ্গ মহিলা,যারা আকৃর্ষিত হবে এবং পুরুষদেরকে আকর্ষৃত করবে। তাদের মাথা উঠের পিঠের মত কুজো এবং আকর্ষনকারী হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি তারা তার সুঘ্রাণ ও পাবে না। অথচ জান্নাতের সুঘ্রাণ এত এত দূরত্ব থেকে সহজেই পাওয়া যাবে। সহীহ মুসলিম-২১২৮

 

নবী সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

المرأة عورة فإذا خرجت استشرفها الشيطان

নারী হল ‘আওরত’। (অর্থাৎ যার লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা উচিৎ।) নারী যখন ঘর থেকে বের হয় (নিজেকে মানুষের সামনে প্রকাশ করে) তখন শয়তান তার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেয়।- জামে তিরমিযী, হাদীস নং-১১৭৩

 

আরো  জানুনঃ

https://ifatwa.info/9333/

https://ifatwa.info/28502/

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

কাউকে  কোনো কিছু হাদিয়া দেওয়া অনেক বড় সওয়াবের কাজ। আর আমরা জানি মেয়েদেরকে শালীন পোষাক পরিধান করতে ও পর্দা করতে বলা হয়েছে। তাই আপনি চাইলে কাউকে কোনো শালিন পোষাক বা শালিন বোরকা  কিনে দিতে পারেন বা হাদিয়া দিতে পারেন। এটা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। তবে এমন পোষাক কিনে দিবেন না বা হাদিয়া দিবেন না যা (অর্ধালঙ্গ পোষাক) পরিধান করে বাইরে গেলে তার পর্দা রক্ষা হবে না। তবে বাড়ীতে মাহরামদের সামনে পরিধান করা যায় এমন পোষাকও কিনে দিতে পারেন এবং সে মাহরামদের সামনে পরিধান করবে। এরপরও সে যদি এই পোষাক পরিধান করে বাইরে যায় এবং পর্দা না করে তাহলে গোনাহ তার হবে, আপনার নয়।

 

১-২-৫. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি তাকে বলে দিবেন যে, এগুলো বাড়ীতে ব্যবহার করার জন্য এবং বাইরে গেলে পর্দা করে যাওয়ার জন্য। এরপরও যদি সে এগুলো পরে বাইরে যায় এবং পর্দা না করে তাহলে গোনাহ তার হবে। আপনার নয়।

 

৩-৪. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। বরং পর্দা না করলে তার গোনাহ হবে। তবে পর্দা করার জন্য তাকে নসীহাহ দিতে পারেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...