আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (134 points)
আসসালামুআলাইকুম।

আমরা 4 জন মিলে একটি ফ্রিজ কিনি হল এর জন্য 2018 সালে। 1500 টাকা করে বিল বলেছিল কর্তৃপক্ষ ওইভাবেই রাজি হই। এখন এতদিন বিল দেইনি এখন দিবো কিন্তু মেম্বার দের মধ্যে একজন হিন্দু উনি রাজি হচ্ছেনা 18 শাল থেকে বিল দিতে। অফিস এ কোনো হিসাব নেই। আমরা যদি বলি আমরা 2020 শাল থেকে ফ্রিজ চালাই ওই হিসাবে বিল দিতে হবে। ওই হিন্দু মেম্বার চাচ্ছে এটাই করতে। এখন বাকি দুইজন মুসলিম হলেও তারা এটা করলে এটা তেও রাজি হয়ে যাবে। তাই আমি লোকবল পাচ্ছিনা। আমি বলেছি যে আমি 2018 থেকে এই হিসাব এই বিল দিবো কিন্তু সেই মেম্বার মানছে না। বাকিদের ও জোর নেই। আমি এটাও বলেছি যে 2018 সাল এর কথা বলে ডিসকাউন্ট নিয়ে নেই অফিস থেকে সেটাও মানে না।

বরং আমাকে অফার দিয়েছে যে আমি যেহেতু মিথ্যা বলিনা তাই ওরা যেয়ে বলে আসবে যে 2020 সাল থেকে ফ্রিজ চালাই। আমাকে ওই হিসেবে টাকা দিয়ে দিতে হবে কমায়। এখন আমি কি করতে পারি?
1. ওদের মত করে 2020 সাল পর্যন্ত বিল দিয়ে বাকি টাকা সদকা করে দিবো?

2। নাকি 2018 তেই স্থির থাকবো রাজি হবো না? এর পরে ওরা কি করবে আমি আসলে জানিনা যদি আমি রাজি না হই। তাই শঙ্কায় আছি।

আমি একজন কে রাজি করাতে পারলে ও তার মধ্যে জোর নেই যদি 2020 সাল এর বলে মিথ্যা টাকা দিতে হয় তাতেও রাজি হয়ে যাবে। আমি কি করতে পারি দয়া করে জানাবেন বিস্তারিত আমি ঝামেলায় পরে গেছি।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ قال،قال رسول اللّٰه 
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣَﻦْ ﻏَﺶَّ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻣِﻨِّﻲ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ধোকা দিবে সে আমার উম্মতভূক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম-১০২)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/539

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা।বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1982

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি সর্বশেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করবেন যাতেকরে কম্পানিকে কোনো প্রকার ধোকা দেয়া না হয়।এবং কম্পানিকে ধোকা দেয়া থেকে সবাইকে বাচানোর চেষ্টা করবেন। শেষ মূহুর্তে আপনি ২০১৮ সাল থেকে ব্যবহার বিবেচনা করে তাদেরকে টাকা দিয়ে দিবেন।অথবা অতিরিক্ত টাকা সদকাহ করে দিবেন। ধোকা ও প্রতারণার গোনাহ তাদেরই হবে।এক্ষেত্রে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 78 views
...