আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম, আমি একটা সোশ্যাল মিডিয়া এপ বানানোর কাজ শুরু করেছি। যেখানে মানুষ সাধারনভাবে ফেসবুকের মত পোষ্ট করা, কমেন্ট করা, প্রোফাইল আপডেট করতে পারবে আর ব্যবসায়ীক কিছু ফিচার থাকবে। পোষ্ট গুলোকে এপটির কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রন করবে। তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে কর্তৃপক্ষের অজান্তে কোন অন ইসলামিক পোষ্ট বা কিছু কেউ করে ফেলে তাহলে কি নিয়ন্ত্রনকারী পাপী হবে? সদকায়ে যারিয়া যেমন মৃত্যুর পরও চলতে থাকে এরকম বানানোর পর ডেভেলোপার মৃত্যুর পরও কি সেই পাপের ভাগী হবে যেহেতু সে বানিয়ে একটা পথ তৈরী করে দিয়েছে।
দয়া করে প্রশ্নটি এরিয়ে যাবেন না। মুসলিম কমিনিটির একটা সুন্দর কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্য নিয়ে এপটি বানানোর কাজ শুরু করেছি। ওয়েব অংশে কাজ অনেকটা এগিয়ে। তবে হালাল -হারাম বিবেচনায় আর সামনে বেশি আগানো যাচ্ছে না। যদি মৃত্যুর পরবর্তীতে পাপের অংশীদার না হতে হয় তবে শীঘ্রই এন্ড্রয়েড এপসহ বানিয়ে প্রকাশ করা ইচ্ছা আছে।

1 Answer

+1 vote
by (676,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


গুনাহের কাজ যেমন নিজে করা জায়েজ নেই,গুনাহের কাজে সহযোগিতা করাও জায়েজ নেই।
গুনাহের কাজে সহযোগিতা করা গুনাহ করারই নামান্তর। 
বিধায় তাহা জায়েজ নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ دَاعٍ يَدْعُو إِلَى هُدًى إِلَّا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ اتَّبَعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَا مِنْ دَاعٍ يَدْعُو إِلَى ضَلَالَةٍ إِلَّا كَانَ عَلَيْهِ مِثْلُ أَوْزَارِهِمْ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْئًا

মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট খবর পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেনঃ যেকোন আহবানকারী হিদায়াতের দিকে আহবান করিবে তবে তাহাকে তাহার অনুসরণকারীদের সমান পুণ্য দেওয়া হইবে। অনুসরণকারীদের পুণ্য হইতে বিন্দুমাত্র কম করা হইবে না। আর যেকোন আহবানকারী পথভ্রষ্টতার দিকে আহবান করিবে, তবে তাহার উপর অনুসরণকারীদের পাপসমূহের সমান পাপ বৰ্তাইবে। তাহাতে অনুসরণকারীদের পাপসমূহের এতটুকুও কম করা হইবে না।
(মুয়াত্তা মালিক ৪৯৬)

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
মুসলিম কমিউনিটির একটা সুন্দর কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্য নিয়ে,দ্বীনের স্বার্থে আপনি এপটি বানাতে পারেন।
তবে এক্ষেত্রে এপটির রুলস থাকতে হবে।
যাহা উক্ত এপ ব্যবহারে আগ্রহী সকলকে জানিয়ে দিতে হবে।

রুলস এমন ভাবে ঘর আকারে সাজিয়ে দিতে হবে,যাতে উক্ত এপ ব্যবহারের আগেই যেনো তাকে সেই ঘর পূরন করে এপটি ব্যবহার করতে হয়।

সেই রুলস মানলে সে উক্ত এপ ব্যবহার করতে পারবে,অন্যথ্যায় নয়।
এক্ষেত্রে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রনকারী থাকতে হবে।

কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রনকারী হিসেবে যে থাকবে,সে সকলকে এটিও জানিয়ে দিবে যে নিয়ন্ত্রনকারী অজান্তে শরীয়াহ বিরোধী কোনো পোস্ট হয়ে গেলে তাতে নিয়ন্ত্রনকারী দায়ী নয়,বরং পোস্ট দাতাই দায়ী থাকবে। 

রুলস হিসেবে লিখতে হবে যে,
অনৈসলামীক কিছু পোস্ট করা যাবেনা,অনৈসলামীক কোনো add থাকবেনা।
নারীদের কোনো ছবি থাকবেনা।
বাদ্য-বাজনা সম্বলিত কিছু থাকবেনা।

অশ্লীল ও যৌন সুড়সুড়ি দেয় এমন কিছু থাকতে পারবে না। কারণ, এসব পোস্ট পড়লে এর মাধ্যমে অনেকে নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হবেন। 

ইসলামী শরিয়তে হারাম, নিষিদ্ধ, গর্হিত—এ ধরনের কোনো বিষয় যদি সেখানে এসে যায়, তাহলে সেটাও নিষিদ্ধ হবে। যেমন শিরক শিক্ষা দিচ্ছে, যৌনতার শিক্ষা দিচ্ছে, মাদকাসক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষা দিচ্ছে, যদি এমনি কিছু সেখানে থাকে, তাহলে সেগুলো পোস্ট করা যাবেনা। 

সবথেকে ভালো হয়,Approved করা না করার ক্ষমতাটি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রনকারীর হাতে থাকা।
তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত সমস্যা হবেনা,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...