আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
64 views
in সালাত(Prayer) by (42 points)
১.সূরা ফাতিহা এর বড় হা ( জিম, ✅ হা)এর উচ্চারণের সময় , (আবার কখনো অন্য সুরার ক্ষেত্রে ) কখনো কখনো উচ্চারণটা সঠিক মাখরাজ, অর্থাৎ গলার ভিতর থেকে বড় হয়ে আসে না। দেখা যায় মুখ গহ্বরের শেষ দিক থেকে অর্থাৎ মুখের হা করা অংশের শেষ প্রান্ত থেকে ( যা মুখ হা করলে বাহির থেকেও দৃষ্টি গোচর হয়)হা টা আসতেছে ।যদি আমরা চেষ্টা করছি শুদ্ধটা উচ্চারণ করার।কিন্তু কখনো দেখা যায় ,অন্যমনস্ক হলে বা কখনো কখনো এমনিতেও, উচ্চারণটা শুদ্ধ হয় না ,গলার ভিতর থেকে আসে না। যেখান থেকে বড় হয়ে উচ্চারণটা আসে ,গলার একদম ভেতর থেকে।


মাথায় এবার চিন্তায় বড় হওয়া উচ্চারণের কথায় থাকে অথবা আমরা জানি যে এখানে ওই হরফ টাই হবে।আমরা বড় হা উচ্চারণ করতে চাচ্ছি কিন্তু উচ্চারণের সময় সময় অন্যটা উচ্চারণ হয়ে যাচ্ছে।


এক্ষেত্রে একই নামাজ কি পুনরায় আদায় করতে হবে?

আর এরকম যদি হয় তাহলে একই ওয়াক্তে একই ফরজ নামাজ দুইবার আদায় করা যাবে?

২. একই ওয়াক্তে নাকি একই ফরজ দুইবার আদায় করা যায় না .এটা কি সত্যি?

৩.আমরা অনেক সময় বাচ্চার নাম রাখে আরবি শব্দ, কিন্তু উচ্চারণ টা শুদ্ধ আরবি না। বাংলায় যেমন হয়। 'ঈশা না রেখে এশা। এর অন্যতম কারণ - মানুষ ও জটিল ভাবে উচ্চারণ করতে পারবে না সাধারণত+ উচ্চারণে সহজতা আনা। ডাকনাম তো সাধারণত সহজ ই হয়।


তো সেই শুদ্ধ আরবি নামের প্রভাবটা কি শুদ্ধ আরবি নামটা রাখতে চাওয়া অশুদ্ধ+ সহজ বাংলা নামের অধিকারী সন্তানটির উপর পড়বে?

1 Answer

0 votes
by (680,320 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

« زَيِّنُوا الْقُرْآنَ بِأَصْوَاتِكُمْ »

“তোমরা সুন্দর কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত কর।” [হাদিসটি ইমাম আহমদ, ইবনে মাজাহ, নাসায়ী ও হাকেম রহ. হাদিসটি বর্ণনা করেছেন এবং তা সহীহ]

 শাইখ সালেহ আল ফাউযান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন,

“قراءة القرآن بالتجويد مستحبة من غير إفراط، وليست واجبة، وإنما الواجب تجويد القرآن من اللحن والخطأ في الإعراب”

“তাজবিদ সহ কুরআন তিলাওয়াত করা মুস্তাহাব। তবে এ ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। এটা ওয়াজিব নয়। বরং ওয়াজিব হল, ইরাব (উচ্চারণ ও প্রকাশ করা) এর ক্ষেত্রে ভুল-ত্রুটি থেকে মুক্ত করে সুন্দরভাবে কুরআন তিলাওয়াত করা।”

★যাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত সম্ভব। শুধুমাত্র তাদের জন্যই পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব।আর যাদের বেলায় সম্ভব নয়, তাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব নয়।বরং অর্থে পরিবর্তন আসেনা এমনকরে কুরআন পড়াই তাদের জন্য যথেষ্ট হবে।এমনকি তারা পূর্ণ তাজবিদ সহকারে না পড়লেও তাদের কোনোপ্রকার গোনাহগার হবেন না।(শরহু তাইয়্যিবাতুন-নাশর-৬৩)

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/19542/

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 

https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করা হয়েছে যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126

তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 

এখানে যেহেতু কাছাকাছি মাখরাজে সমস্যা হয়েছে,তাই এক্ষেত্রে নামাজ ভঙ্গ হওয়া নিয়ে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে। 

যেহেতু উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত নামাজ গুলি পুনরায় আদায় করা আবশ্যক না হলে ভবিষ্যতে খুব সতর্কতার সহিত নামাজ আদায় করবেন। 

(০২)
হ্যাঁ, এটা সত্য। এক্ষেত্রে প্রথমটির দ্বারাই যেহেতু তার ফরজ আদায় হয়ে যায়,তাই ২য় বার পুনরায় আদায় করলে ২য় বার আদায়কৃত নামাজ নফল বলে গন্য হবে। 

(০৩)
অশুদ্ধ ভাবে উচ্চারণের দ্বারা যদি সমস্যা পূর্ণ  অর্থ হয়,আর অশুদ্ধ নামেই যদি তাকে বেশি ডাকাডাকি করা হয়,সেক্ষেত্রে সেই নামের প্রভাব তার উপর পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই রয়েছে।

সুতরাং যথাসম্ভব শুদ্ধ উচ্চারণের চেষ্টা কর্যে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 50 views
...