আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
67 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম,

আমি একটা ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করি। ওষুধের কাচামাল (Raw Materials) বিভিন্ন দেশ থেকে কিনি।

এক্ষেত্রে ৪ টা পার্টি আছে -
১) আমি যে কোম্পানির হয়ে কাজ করি, ওষুধের কাচামাল কিনি (Buyer)
২) বিভিন্ন দেশে ওষুধের কাচামাল প্রস্তুতকারক (Manufacturer)
৩) ওষুধের কাচামাল প্রস্তুতকারকের সরবরাহকারী (Supplier)
৪) ওষুধের কাচামাল প্রস্তুতকারকের বাংলাদেশী এজেন্ট (Indenter)

অন্য প্রতিষ্ঠানের কেনা-কাটা আর ওষুধ কোম্পানির কাচামাল কেনার মধ্যে পার্থক্য আছে। সেটা হল -
ওষুধের প্রতিটি কাচামাল ২/৩ টা নির্দিষ্ট প্রস্তুতকারক (Manufacturer) থেকেই কিনতে হবে। যাদেরকে Audit করে Enlist করা হয়। চাইলেই যে কোন কাচামাল যে কোন প্রস্তুতকারক (Manufacturer) এর থেকে কেনা যায় না।

ব্যাবসা টা এখানে এভাবে হয়, Manufacturer এর কোন একটা Material এর মূল দাম ধরেন প্রতি কেজি ৫ ডলার, সেটা বাংলাদেশ পর্যন্ত পাঠাতে খরচ পড়বে আরো ২ ডলার প্রতি কেজি। সেক্ষেত্রে Manufacturer তার বাংলাদেশী এজেন্ট (Indenter) কে বলে দেয়, তুমি আমার Material টা বিক্রি করে দেও ৭ ডলার প্রতি কেজির দাম সাথে তোমার কমিশন প্রতি কেজি তে ৩ ডলার। তখন Indenter আমাদেরকে প্রাইজ দেয় প্রতি কেজি ১০ ডলার অথবা সে আরো প্রফিট করার জন্য আরো বেশি দাম, ধরেন ১৫ ডলার প্রতি কেজি আমাদেরকে বলে। এটা হল Over Pricing, ১৫ ডলারে বিক্রি করতে পারলে Indenter প্রতি কেজিতে ৮ ডলার নিজে রেখে দিবে আর Manufacturer কে প্রতি কেজির দাম ৭ ডলার দিয়ে দিবে।

এখন আমি এখানে কিছু ব্যাবসা করতে চাচ্ছি। সেক্ষেত্রে কোন টা আমার জন্য হালাল হবে সেটা জানতে চাচ্ছি।

১) আমি আরো কয়েকজন মিলে নিজেরা একটা ওষুধের কাচামাল প্রস্তুতকারকের বাংলাদেশী এজেন্ট (Indenter) এর লাইসেন্স করেছি। কিছু Material আমার কোম্পানি সহ অন্য ওষুধ কোম্পানিকে আমরা বিক্রি করবো। এক্ষেত্রে আমি যে কোম্পানিতে চাকরি করি, তাদের সাথে ব্যবসা করতে কোন বাধা আছে কিনা? কারণ আমি তো দিন শেষে তাদের Employee.

২) আমাদের অনেক Supplier / Indenter, Over Pricing করে, মূল মূল্য কেজি প্রতি ১০ ডলার হলে, তারা ধরেন ২০ ডলার করে দাম দেয়। এখন আমি অন্য কোন Indenter এর সাথে যদি এভাবে চুক্তি করি, প্রোডাক্টের মূল প্রস্তুতকারক যে তার থেকে আসল প্রাইজ টা নিয়ে, একই কোয়ালিটি এর প্রোডাক্ট আমার কোম্পানি কে অন্য Indenter থেকে কম দামে দিলাম, আর আমি চুক্তি অনুযায়ী আমার যে Indenter কম দামে দিচ্ছে তার থেকে আমার লাভ টা নিলাম, এটা কি হালাল হবে? বিষয় টা এরকম -

আমার কোম্পানি যেই জিনিস কেজি প্রতি ১০ ডলার দিয়ে কেনে (যেটার আসল মূল্য ৭ ডলার), সেটা আমি সেই এক-ই ম্যানুফেকচারার (প্রস্তুতকারক) এর থেকে, একই কোয়ালিটি এর জিনিস, অন্য এজেন্ট / Indenter এর মাধ্যমে ৯ ডলারে আমার কোম্পানি-কে যদি দেই, আর আমি ১ টাকা আর আমার এজেন্ট / Indenter ১ টাকা লাভ এর টাকা ভাগ করে নি, সেটা কি জায়েজ হবে?

৩) আমরা যে ম্যাটেরিয়াল কিনি তা কমপক্ষে ২ টা আলাদা ম্যানুফেকচারার এর থেকে কেনা হয়। মানে ২ জন প্রতিযোগী থাকে। ধরেন এক এজেন্ট (Indenter) প্রাইজ দিল কোন ম্যাটেরিয়ালের ১০ ডলার, আমি আরেক এজেন্ট (Indenter) কে বলে দিলাম আপনি ১০ ডলারের কমে দিতে পারলে অর্ডার টা পেতে পারেন। মানে তাকে জানিয়ে দিলাম অন্য জনের প্রাইস। তখন সে ৯.৫০ ডলার প্রাইজ দিল, আর অর্ডার টা পেয়ে গেল। আমাকে কিছু পারসেন্ট দিল তার লাভের। এটা কি জায়েজ হবে?

৪) কোন এজেন্ট (Indenter) এর কোন ম্যাটেরিয়াল এই চুক্তি তে আমার কোম্পানিতে এনলিস্ট করে দেওয়া যাবে এভাবে যে তিনি আমাকে ওই ম্যাটেরিয়ালে যা লাভ হয় তার থেকে কিছু পারসেন্ট দিবে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মাস'আলা হল, একই ব্যক্তি ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়টা হতে পারবে না।বরং ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয় পৃথক পৃথক হওয়া অত্যান্ত জরুরী। তাছাড়া যাকে ক্রয়ের উকিল বা প্রতিনিধি নিযুক্ত করা হবে, তার জন্য একই পণ্যে ক্রেতা বিক্রেতা হওয়াও জায়েয হবে না।

"الْوَكِيلُ بِالْبَيْعِ لَايَمْلِكُ شِرَاءَهُ لِنَفْسِهِ؛ لِأَنَّ الْوَاحِدَ لَايَكُونُ مُشْترِيًا وَ بَائِعًا."
( کتاب الوکالة ، فصل : لايعقد وكيل البيع والشراء ، 5/521، ط: دار الفکر بیروت


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনারা যদি কয়েকজন মিলে একটা ওষুধের কাচামাল প্রস্তুতকারকের বাংলাদেশী এজেন্ট (Indenter) এর লাইসেন্স করে থাকেন। কিছু Material আমার কোম্পানি সহ অন্য ওষুধ কোম্পানিকে আপনারা বিক্রি করবের। এক্ষেত্রে আপনা যেই কোম্পানিতে চাকরি করে থাকেন, তাদের সাথে ব্যবসা করতে কোন বিধিনিষেধ নাই। তবে আপনি ঐ কম্পানির পক্ষ থেকে ক্রয়ের উকিল বা প্রতানিধি, হতে পারবেন না।,,

(২) আপনারা যত বেশী লাভ করতে চানন,তা পারবেন।তবে বিক্রেতা জন্যর মাত্রাধিক লাভ জুলুমের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।

(৩) আপনি নিজে ক্রয় করে কারো কাছে কম মূল্যে বিক্রয় করতে পারবেন। তবে নিজের হাতে পণ্য না থাকলে,প্রশ্নের বিবরণমতে এভাবে আপনি বিক্রয় করতে পারবেন।

(৪) না, এটা করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
+1
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...