আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমাদের তালাক হয়ে গেছে।আমার স্ত্রী যদি অন্য যায়গায় বিয়ে করে সহবাস করে,যেমন চুক্তি ছাড়া আর যে বিয়ে করবে সেও আমাদের তালাক সম্পর্কে জানে।চুক্তি ছাড়া বিয়ে করল কিছুদিন পর তালাক চেয়ে নিল এইটা হিল্লা বিয়ে আর পরে কি ১ম স্বামীর জন্য বৈধ হবে? যে করবে সে জানে একসময় তালাক দিতে হবে বা চুক্তি করা হবে না। কিন্তু তাদের মনে মনে থাকবে।

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে করনীয় হলো, আপনার স্ত্রী অন্যত্র বিবাহ হতে হবে।তারপর সেই স্বামীর সাথে স্বাভাবিক ঘর সংসার করতে হবে। এমনকি শারিরীক সম্পর্ক হতে হবে। তারপর সেই স্বামী যদি আপনার স্ত্রীকে তালাক দেয়, তারপর ইদ্দত শেষ হয়, তাহলেই কেবল আপনার স্ত্রীকে আপনি আবার বিবাহ করতে পারবেন। এবং আবার ঘর সংসার করতে পারবেন। এছাড়া দ্বিতীয় কোন রাস্তা খোলা নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠] 

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০]

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَجُلاً طَلَّقَ امْرَأَتَه“ ثَلاَثًا فَتَزَوَّجَتْ فَطَلَّقَ فَسُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَتَحِلُّ لِلأَوَّلِ قَالَ لاَ حَتّٰى يَذُوقَ عُسَيْلَتَهَا كَمَا ذَاقَ الأَوَّلُ.

আম্মাজান আয়েশা রা. থেকে বরণিত, রাফায়ার স্ত্রী বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমার স্বামী রাফায়া আমাকে এক সাথে তিন তালাক দিয়েছে? এরপর আমি আব্দুর রাহমানের সাথে বিবাহ করেছি। এখন রাফায়ার কাছে যেতে পারবো কিনা? নবীজী বললেন, আবদুর রহমান তোমার সাথে সহবাস করলে এরপর রাফায়ার নিকট যেতে পারবে। (সহীহ বুখারী ৫২৬১)

আরো জানুনঃ- 

https://ifatwa.info/86110/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
যদি প্রথম স্বামীর সাথে পূনরায় বিয়ে হালাল হওয়ার শর্তে অন্য কারো সাথে উক্ত স্ত্রীর বিয়ে হয়, তাহলে সেই পদ্ধতি নাজায়েয হিসেবে বিবেচিত হবে। হ্যা, যদি এমন বিয়ে হওয়ার পর দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সহবাস হয়ে যায়, তাহলে প্রথম স্বামীর সাথে পূনরায় বিয়ে  বৈধ হয়ে যাবে, কেননা এখানে কুরআনে বর্ণিত শর্ত পাওয়া গিয়েছে। 
তবে যদি স্বামী স্ত্রী কারো মুখ থেকে বা তৃতীয় কাহারো মুখ থেকে বিয়ের পর তালাক হবে, এ জাতীয় কোনো শর্ত উল্লেখিত না হয়, বরং স্বামী বা স্ত্রীর কারো মনের মধ্যে এমনটা থাকে, এবং বিয়ের পরবর্তী সহবাসের পর স্বামী বা স্ত্রীর কেউ তালাক দেয় বা চায়, তাহলে তখন তালাক পরবর্তী প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ জায়েয হবে ।এবং উক্ত ত্বরিকাটাও নাজায়েয বা মাকরুহ হবে না।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ২য় স্বামী তালাক দিলে ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার পর ১ম স্বামী তাকে বিবাহ করতে পারবে। ১ম স্বামীর জন্য বৈধ হবে। এই পদ্ধতি জায়েজ।

আরো জানার জন্য নিকটতম কোনো দারুল ইফতায় স্বশরীরে যোগাযোগ করার পরামর্শ রইলো। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...