আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
168 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম
(১) আমি একটি হালাল পন্যের ব্যবসা করি । ঐ পন্যটির বিভিন্ন প্রকার আছে । প্রত্যেকটি প্রকারের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য বা সুবিধা আছে । মাঝে মাঝে কিছু কাস্টমার আসে , যারা ঐ পন্যটি সম্পর্কে কিছু জানে না বা জানলেও আগে ব্যবহার করে নি । কৌতুহলবশত তারা নিতে চায় । তখন কি আমার তাদেরকে  নিজ থেকে প্রতিটি প্রকারের বৈশিষ্ট্য বা সুবিধার কথা বা অতিরিক্ত ব্যবহারে কি ক্ষতি হতে পারে জানিয়ে দেয়া উচিত ? যদিও তারা আমাকে কোনো কিছু জানতে চেয়ে প্রশ্ন না করে থাকে ।
(২) কোনো কাস্টমার আসলো , পন্যটি নিল এবং দাম দিয়ে চলে গেল । এখন আমি কি ধরে নিতে পারি যে সে পন্যটি সম্পর্কে জানে তাই কিছু জিজ্ঞেস করে নি এবং আমারও নিজ থেকে কিছু বলার দরকার নেই ।
(৩) "সকল প্রকার কাজের ক্ষেত্রে প্রবৃত্তি ও কামনার অনুসরন তাগুত" । এখন মানুষ তো গুনাহ বা নাফরমানি করেই প্রবৃত্তি ও কামনার বর্শ্ববর্তী হয়েই , তাহলে কি প্রতিটি গুনাহ বা নাফরমানিই তাগুত ? যদি তাই হয় , তাহলে কি তা ইসলাম থেকে খারিজ করে দেবে । কেননা ঈমান থাকার পূর্বশর্তই তো তাগুত বর্জন করা ।
জাযাকাল্লাহু খাইরন

1 Answer

0 votes
by (707,880 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ব্যবসা বানিজ্যবৈধ। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
( وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبا )
আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করোছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন।(সূরা বাকারা-২৭৫)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ وَلاَ تَقْتُلُواْ أَنفُسَكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا
হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা-২৯)

ব্যবসা বানিজ্য পুরুষ-মহিলা সবার জন্য বৈধ।কেননা উপরোক্ত আয়াত সমূহে নারী পুরুষের কোনো পার্থক্য নেই।তবে নারীর জন্য শর্ত হলো,পর্দা রক্ষা করতে হবে।স্বামীর হক আদায় করতে হবে।হযরত যায়নাব রাযি ট্যানারির ব্যবসা করতে।এবং যা উপার্জন করতে, তার সিংহ ভাগ সদকাহ করে দিতেন।

আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে,
١٨٧٥ - «عن عائشة أن بعض أزواج النبي - صلى الله عليه وسلم - قلن للنبي - صلى الله عليه وسلم -: أينا أسرع بك لحوقا؟ قال: "أطولكن يدا "، فأخذوا قصبة يذرعونها، وكانت سودة أطولهن يدا، فعلمنا بعد أنما كان طول يدها الصدقة، وكانت أسرعنا لحوقا به زينب، وكانت تحب الصدقة» . رواه البخاري. وفي رواية مسلم، قالت: قال رسول الله - صلى الله عليه وسلم -: " «أسرعكن لحوقا بيأطولكن يدا ". قالت: وكانت يتطاولن أيتهن أطول يدا؟ قالت: فكانت أطولنا يدا زينب ; لأنها كانت تعمل بيدها وتتصدق» .
ভাবার্থ 
কোন এক সহধর্মিনী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বললেনঃআপনার মৃত্যুর পর আমাদের মধ্য হতে সবার পূর্বে কে আপনার সাথে মিলিত হবে? তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যে যার হাত সবচেয়ে লম্বা। তাঁরা একটি বাঁশের কাঠির মাধ্যমে হাত মেপে দেখতে লাগলেন। সওদার হাত সকলের হাতের চেয়ে লম্বা বলে প্রমাণিত হল। পরে [সবার আগে যায়নাব (রাঃ)-এর মৃত্যু হলে] আমরা বুঝলাম হাতের দীর্ঘতার অর্থ দানশীলতা। তিনি [যায়নাব (রাঃ)] আমাদের মধ্যে সবার আগে তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) সাথে মিলিত হন এবং তিনি দান করতে ভালবাসতেন।(সহীহ বোখারী-১৪২০)মিশকাত-১৮৭৫


মোল্লা আলী কারী রাহ মিরকাত কিতাবের১৮৭৫ নং হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
 (تحب الصدقة) أي: إعطاءها، وكانت لها صناعة واكتساب معيشة باليد وهذا معنى آخر لليد، فأطولكن يدا بمعنى أفضلكن يدا؛ حيث إنها تأكل من كسب يدها وتتصدق بيدها من كد يدها
যায়নাব রাযি দান করতে ভালবাসতেন।যায়নাব রাযির পেশা ও উপার্জন ছিল,যায়নাব রাযি নিজ হাতের উপার্জন হতে খেতেন,এবং সদকাহ করতেন।

বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/524

(১)
আপনি নিজ থেকে প্রতিটি প্রকারের বৈশিষ্ট্য বা সুবিধার কথা বা অতিরিক্ত ব্যবহারে কি ক্ষতি হতে পারে জানিয়ে দিবেন। জানিয়ে দেয়াই আপনার উচিত। যদিও তারা আপনাকে কোনো কিছু জানতে চেয়ে প্রশ্ন না করে থাকুক।

(২)
কিছু বলার দরকার নাই।

(৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"সকল প্রকার কাজের ক্ষেত্রে প্রবৃত্তি ও কামনার অনুসরন তাগুত তাগুতেরই অনুসরণ" কেননা তাগুতের এক অর্থ শয়তান।আর গোনাহের দিকে আহবান কারী শয়তানই।শয়তান মানুষকে গোনাহের দিকে আহবান করে।

তাগুতের আরেক অর্থ হল,আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত।ঈমানের পূর্বশর্তে যে তাগুত থেকে দূরে থাকার কথা বলা হয়েছে,সেখানে তাগুত অর্থ হল,দেব দেবী থেকে দূরে থাকা।অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত না করে,একমাত্র আল্লাহরই ইবাদত করা।

আর প্রবৃত্তি ও কামনার অনুসরনে যে তাগুতের কথা বলা হয়,সেখানে মূলত তাগুত দ্বারা শয়তান উদ্দেশ্য। দেবদেবী উদ্দেশ্য নয়।বিস্তারিত জানুন-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (707,880 points)
সংযোজন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...