আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
১.আসসালামু আলাইকুম বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠানে ব্যাংকের মাধ্যমে কর্মীদের বেতন দিয়ে থাকে।কোম্পানির পণ্য হালাল এবং কাজও হালাল। এখন কোম্পানি যদি সেই হালাল টাকা ব্যাংকে রেখে সেই সুদ দিয়ে কর্মীদের পুরো বেতন দেয় তাহলে বেতন নেওয়া কি বৈধ হবে?

২.একটি মালিকের অনেক কোম্পানি থাকে সেগুলো হালাল হয় হারামও হয়।যদি অন্য কোন হারাম কোম্পানির টাকা এনে হালাল কোম্পানির সাথে মিশ্রত করে হালাল কোম্পানির কর্মচারীদের বেতন দেয় তাহলে নেওয়া যাবে?

৩.আর ঘুষের মাধ্যমে চাকরি নিলে সেই চাকরির যে কাজ সেই কাজ যদি আমি না জানি মানে সে কাজ করার মত যোগ্যতা আমার না থাকে চাকরিতে যোগদান করার পরে কাজ যদি আমি কাজ শিখে ফেলি এবং আমার সকল দায়িত্বগুলো আমি ঠিকভাবে পরবর্তীতে পালন করতে পারি পুরো ইনকাম কি হালাল হবে?

৪.বা অর্ধেক পালন করতে পারলাম আর অর্ধেক করতে পারলাম না তাহলে ইনকাম  অর্ধেক হালাল হারাম হবে?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কাজ যদি বৈধ হয়,তাহলে অমুসলিম কম্পানির কাজ হওয়ার দরুণ উক্ত কাজ হারাম হবে না। উক্ত কম্পানি তাদের হারাম উপার্জন থেকে বিনিময় দিলেও উক্ত বিনিময় গ্রহণ করা কোনো মুসলমানের জন্য হারাম হবে না। তবে অমুসলিমদের কোনো হারাম কাজ করা আঞ্জাম দেয়া কখনো কোনো মুসলমানের জন্য জায়েয হবে না। 
عن سويد بن غفلة أن بلالا قال لعمر : إن عمالك يأخذون الخمر والخنازير في الخراج ، فقال : لا تأخذوها منهم ، ولكن ولوهم بيعها ، وخذوا أنتم من الثمن- قال أبو عبيد : " يريد أن المسلمين كانوا يأخذون من أهل الذمة الخمر والخنازير من جزية رءوسهم وخراج أرضيهم بقيمتها ثم يتولى المسلمون بيعها ، فهذا الذي أنكره بلال ونهى عنه عمر ، ثم رخص لهم أن يأخذوا ذلك من أثمانها إذا كان أهل الذمة المتولين لبيعها ; لأن الخمر والخنازير مال من أموال أهل الذمة ولا يكون مالا للمسلمين .

মর্মার্থ- হযরত উমর রাযি. আহলে যিম্মা কাফির থেকে তাদের বিদ্যমান হারাম মালকে বিক্রি করে সেই মালের মূল্যকে জিযয়া হিসেবে গ্রহণ করার অনুমোদন দিয়েছেন। 
(আহকামু আহলিয-যিম্মাহ-১/১৮৩, এ’লাউস-সুনান-১৪/১৩৪, কিতাবুন-নাওয়াযিল-১২/৫১৭))

আপনি সকল প্রকার কম্পানিতেই কাজ করতে পারবেন,যদি আপানার ঐ কাজটি বৈধ হয়, যে কাজের বিনিময়ে আপনি এখন টাকা নিতে চাচ্ছেন। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন
(১) কোম্পানির পণ্য হালাল এবং কাজও হালাল। এখন কোম্পানি যদি সেই হালাল টাকা ব্যাংকে রেখে সেই সুদ দিয়ে কর্মীদের পুরো বেতন দেয়, তাহলে বেতন নেওয়া নাজায়েয হবে না। কেননা আপনি তো হালাল কাজের বিনিময় নিচ্ছেন।

(২)যদি কোনো মালিকের অনেক কোম্পানি থাকে, সেগুলোর মধ্যে কিছু হালাল হয় এবং কিছু হারাম হয়।যদি অন্য কোন হারাম কোম্পানির টাকা এনে হালাল কোম্পানির সাথে মিশ্রত করে হালাল কোম্পানির কর্মচারীদের বেতন দেয়, তাহলে নেওয়া যাবে।

(৩) ঘুষের মাধ্যমে চাকরি নেয়ার পর সেই চাকরির যে কাজ, সেই কাজ যদি সে শিখে নেয় এবং  সকল দায়িত্বগুলো সে ঠিকঠাকভাবে পালন করতে পারে, তাহলে  ইনকাম হালাল হবে। হ্যা, অন্যায়ভাবে চাকুরী নেয়ার গোনাহ অবশ্যই হবে।এজন্য তাওবাহ করতে হবে।

(৪)কিন্তু যদি কেউ অর্ধেক পালন করতে পারলো আর অর্ধেক করতে পারলো না, তাহলে অর্ধেক ইনকাম হালাল হবে এবং অর্ধেক হারাম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...