আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

আমার এলাকায় মাদ্রাসা শিক্ষার প্রচার প্রসার নেই। আর আমরা সকলেই অবগত বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ও তার ফিতনা নিয়ে। এখন আমাদের এলাকায় একটি মাদ্রাসা অতীব জরুরী। কিন্তু কেউ উদ্যোগ নিয়ে এটি করবে এমন কেউ নেই। আলেমার সংখ্যাও মুটামুটি একজন, তাও তিনি এখানে নেই।  আমার খুব খারাপ লাগে যে আমাদের পুরো সমাজ অন্ধকারে রয়েছে। এখানে ছোট ছোট বাচ্চারাও বিড়ি সিগারেট খায়, বড়দের হালত বাদই দিলাম। এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থারও নাজেহাল অবস্থা। মেয়েরা নৈতিকতা শিখছে না। তাদের অধিকাংশই জাহিলিয়াতের মধ্যে রয়েছে। এসব দেখে আমার অনেক খারাপ লাগে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কিছু করতে চেয়েছি, কিন্তু বাঁধা হচ্ছে আমি নিজেই আলেমা নই।

সেক্ষেত্রে আমার জন্য কি এটা জায়েজ হবে আমি একটা নূরানি মাদ্রাসা খুলে মুআল্লিমা ট্রেনিং নিলাম। আমার পরিচিত আলেমা বোনদের পরামর্শ মেনে চললাম। আর আমি আলেমার খোজে থাকলাম। যখন পাবো তখন তাকে উক্ত মাদ্রাসায় রাখলাম। এমনটা কি উচিত হবে? যদি উচিত না হয় তাহলে আমার করণীয় কি? একজন জেনারেল হিসেবে আমার নয় বছর পড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমানে আইওএমে পড়ছি। আপনাদের দাওরাহ চালু হলে আলিম কোর্স শেষে ওটাও করবো ইনশাআল্লাহ। কিন্তু এখন আমার করণীয় কি?
একজন সালাফের কথা আমার মনে পরে সবসময়, "আঙুর হওয়ার আগেই কিসমিস হতে যেও না।"

কিন্তু সম্মানিত শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ, আমার উদ্দেশ্য কেবল দাওয়াহ দেওয়া। আর এটি যদি নূরানির মধ্যে করা যায় তাহলে সুবিধা হতো আমার জন্য। আমি বাচ্চার মায়েদের এক করতে পারতাম দাওয়াতের উদ্দেশ্যে। এখানে অনেক ত্বলিবুল ইলম পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। আমি কয়েকজন আলেম ও আলেমা এবং মাদ্রাসার একজন ওস্তাজার কাছে এটি বললে তারা বললো কওমী ঘরানার নিয়মনীতি ফলো করে ও কোনো আলেমার পরামর্শে থাকলে এটি করতে সমস্যা নেই।
প্রশ্ন হচ্ছে, উপরিউক্ত বিষয়ে কি আমি মেহনতের সাথে আগাতে পারবো? আর যদি না পারি তাহলে আমার এই ফিকির নিয়ে করণীয় কি? আমি চাইছি না পরবর্তী জেনারেশন অন্তত ভেসে যাক! আর নূরানি যদি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। আমি তীব্র সন্ধানে থাকবো উম্মাহর খেদমতে নিয়জিত থাকবে এমন আলেমাদের খোঁজে, যারা কিতাব বিভাগটি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে ইনশাআল্লাহ। জাযাকাল্লহ খয়রন।

1 Answer

0 votes
by (685,240 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

 عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا حَرَجَ وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার পক্ষ হতে (মানুষের কাছে) একটি বাক্য হলেও পৌঁছিয়ে দাও। বনী ইসরাঈল হতে শোনা কথা বলতে পারো, এতে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করবে, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে প্রস্তুত করে নেয়।
(বুখারী ৩৪৬১,মিশকাত ১৯৮)

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بُدَيْلِ بْنِ قُرَيْشٍ الْيَامِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ زَاذَانَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سُئِلَ عَنْ عِلْمٍ عَلِمَهُ ثُمَّ كَتَمَهُ أُلْجِمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِلِجَامٍ مِنْ نَارٍ "

আহমদ ইবন বুদায়ল ইবন কুরায়শ য়ামী কূফী (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তিকে তার জানা কোন ইলম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সে যদি তা গোপন করে তবে কিয়ামতের দিন তাকে জাহান্নামের লাগাম পড়ানো হবে।

সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৬৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬৪৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

زكاة العلم فتكون بتعليمه ونشره وعدم كتمه
সারমর্মঃ-
জ্ঞানের যাকাত হলো শিক্ষা দান করা,জ্ঞানের প্রচার প্রসার করা,এবং জ্ঞান গোপন না করা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য পরামর্শ। 
আপনার কি কুরআন তিলাওয়াত শুদ্ধ? 

যদি কুরআন শুদ্ধ না হয়,সেক্ষেত্রে আগে প্রথমে যেভাবেই হোক কুরআন তিলাওয়াত শুদ্ধ করে নিবেন।

অতঃপর মুআল্লিমা ট্রেনিং নিবেন।
তারপর আপনার স্বপ্ন মোতাবেক নূরানী মাদ্রাসা দিতে পারেন।
সেক্ষেত্রে পুরুষ অভিভাবকদের সাথে কথা বলার জন্য কোনো মাহরাম পুরুষ (বাবা/ভাই/দাদা/চাচা) কে দায়িত্বে রাখবেন।

ছাত্রী সংখ্যা বেশি হলে কোনো একজন আলেমাকে নিয়ে আসবেন।
অথবা মুআল্লিমা ট্রেনিং যারা দিয়েছেন,তাদের কাউকে নিয়ে আসবেন।

এভাবেই ইনশাআল্লাহ মাদ্রাসা চলবে।

★সবচেয়ে ভালো হয়,অববাহিতা হলে আপনার মাদ্রাসা করার স্বপ্ন জানিয়ে আলেম কাউকে বিবাহ করে নেয়া।  তাকে দিয়েই মাদ্রাসা খোলা।
তাহলে আপনার জন্য সব কিছু সহজ হয়ে যাবে,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...