আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in সালাত(Prayer) by (20 points)
আসালামু আলাইকুম

১..৪ রাকাত বিশিষ্ট নামাজে ২ রাকাতে তাশাহুদ পরে কি আঙুল উঠাতে হবে? আর যদি না উঠাই তাহলে কি সাহু সেজদা দিতে হবে?

২..৪ রাকাত নামাজেও যদি দিতে ভুলে যাই আঙুল উঠাতে তাহলেও কি সাহু সেজদা দিতে হবে?

৩।আর ৩ রাকাত নামাজেও কি ২য় রাকাত এ কি তাশাহুদ পরে আঙুল উঠাতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

https://ifatwa.info/2220/ নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,

তাশাহুদের মধ্যে 'আশহাদু আল-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর সময়ে শাহাদত অঙ্গুলি উত্তোলন করা সুন্নাত।

 

পদ্ধতি হলঃ সর্বকনিষ্ঠ অঙ্গুলি এবং তার পাশের অঙ্গুলি কে হাতের তালুর সাথে মিলিয়ে রাখা হবে এবং মধ্যম অঙ্গুলি ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা গোল করে হালকা বানাবে। অতপর 'আশহাদু আল-লা-ইলাহা' পড়ার সময়ে অঙ্গুলিকে উত্তোলন করবে। (কেননা আশহাদু আন-লা-ইলাহা এর অর্থ হলো, কোনো মা'বুদ নাই। তাই অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করে বুঝাবে আমার আক্বিদা বিশ্বাসে শুধুমাত্র একজন মা'বুদ রয়েছেন এবং তিনি হলেন,আমার আল্লাহ)

এবং ইল্লাল্লাহ বলার পর অঙ্গুলিকে আস্তে আস্তে আস্তে নামিয়ে ফেলবে।অতঃপর অঙ্গুলি সমূহের এই হালকাকে নামাযের শেষ পর্যন্ত রাখবে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৫/৬৩৫)

 

https://ifatwa.info/48500/  নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

নামাযের মধ্যে পঠিত সূরার সমূহের ধারাবাহিকতা (কুরআনে বিদ্যমান বিন্যাস) রক্ষা করা ওয়াজিব। তবে কোনো কারণে যদি উক্ত ওয়াজিব তরক হয়ে যায় তবে সেজাদায়ে সাহু আসবে না, এবং নামাযকে দোহরাতেও হবে না। বরং নামায আদায় হয়ে যাবে। (কিতাবুল ফাতাওয়া-২/২০৩)

ইচ্ছাকৃতভাবে ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে ক্বেরাত পড়া মাকরুহ। তবে অনিচ্ছায় হলে মাকরুহ হবে না।

 

সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয় ৬ কারণে। যথা-

১) কোন রুকন আগে করে ফেলা।

২) কোন রুকনকে আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা।

৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা বারংবার আদায় করা।

৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন  জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া।

৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া।

৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া

أنه يجب بستة أشياء: بتقديم ركن، وبتأخير ركن، وتكرار ركن، وبتغيير واجب، وبترك واجب، وبترك سنّة تضاف إلى جميع الصلاة (المحيط البرهانى، كتاب الصلاة، الفصل السابع فى سجود السهو-1/501)

মর্থার্থ: ছয় কারণে সেজাদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়। যথা: ১) কোন রুকন আগে করে ফেলা২) কোন রুকনকে আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা। ৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা বারংবার আদায় করা। ৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন  জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া। ৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া। ৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১-২. নামাজের প্রথম বৈঠক ও শেষ বৈঠকে তাশাহুদে আঙুল উঠানো সুন্নাত। তাই উঠাতে ভুলে গেলে এর কারণে সাহু সিজদা দিতে হবে না।

৩. সব নামাজেই (২ রাকাত বা ৩ রাকাত অথবা ৪ রাকাত বিশিষ্ট) প্রথম বৈঠক ও শেষ বৈঠকে তাশাহুদে আঙুল উঠানো সুন্নাত। ফরজ, ওয়াজিব বা আবশ্যক নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 107 views
0 votes
1 answer 58 views
...