আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
67 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)
আমার বাবু হওয়ার আগে ইস্তিহাযা হতো না। হায়েজ ১০ দিন হতো বারাবর। মাঝে মাঝে ১১/১২ দিন হালকা খয়েরী রঙ থাকত। বাবু হওয়ার পর ৪০ দিন নিফাস থাকে।  এরপর কয়েক দিন বন্ধ থেকে টানা ব্লিডিং কম বেশি করে ২ মাস থাকে। ডাক্তার দেখানোর পর ওষুধ তিনবেলা দেয় একবেলা মিস গেলেই ব্লিডিং শুরু হয়।  আবার কখনো কখনো ওষুধ চলাকালীনও সামান্য ব্লিডিং হয়।
ডাক্তার বলেছে ২১ দিন পর ওষুধ ৭ দিন অফ রাখতে। এখন হিসেব অনুযায়ী গত ২ দিন ধরে ওষুধ অফ। ব্লিডিং ও হচ্ছে। কিন্তু  গত ৮/১০ দিন আগে একবার একবেলা ওষুধ মিস যাওয়ায় হালকা একটু ব্লিডিং হয়েছিলো, পরের বেলা ওষুধ খাওয়ার পর আর হয়নি।
আমি হায়েজের হিসাব কিভাবে করব?

1 Answer

0 votes
by (713,920 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি কোন মেয়েলোকের প্রথমবারেই রক্তস্রাব আরম্ভ হইয়া আর বন্ধ না হয়, একাদিক্রমে কয়েক মাস যাবৎ জারী থাকে, তবে তাহার যে দিন হইতে রক্তস্রাব আরম্ভ হইয়াছে সেইদিন হইতে দশ দিন দশ রাত হায়েয ধরিতে হইবে এবং পরের বিশ দিন এস্তেহাযা ধরিতে হইবে। এইরূপে প্রত্যেক মাসে তাহার দশ দিন হায়েয, বিশ দিন এস্তেহাযা হিসাব করিতে হইবে।

(১২) মাসআলাঃ
দুই হায়েযের মাঝখানে পাক থাকার মুদ্দৎ কমের পক্ষে পনের দিন, আর বেশীর কোন সীমা নাই। অতএব, যদি কোন মেয়েলোকের কোন কারণবশতঃ কয়েক মাস যাবৎ হায়েয বন্ধ থাকে, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ঋতুস্রাব না হইবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে পাক থাকিবে।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার পূর্বের মাস সমূহে যখন হায়েয হতো, সেই সময়ে ঔষধ সেবন করা থেকে বিরত থাকবেন।এবং সেই সময়টা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। তথা ৭/১০ দিন ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকবেন। আর মাসের অতিরিক্ত দিন সমূহে ঔষধ সেবন করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,920 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...