আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।


আমি আল্লাহর অনেক বড় গুনেহগার একজন বান্দী। আল্লাহ মাফ করুক।

অল্প বয়সে থাকতে রিলেশনে জড়ায় পড়েছিলাম৷ সেই সম্পর্ক ৯ বছর পর্যন্ত গড়িয়ে যায়। এক পর্যায় সম্পর্কের গুনাহ্ ঁথেকে বের হওয়ার উদ্দেশ্যে আমার বাবা মা কে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলব। যদিও আমার স্বামী তার পরিবারে জানিয়েছিল বিয়ে করার দিনে।  বিয়ের ৬ মাস পর আমার পরিবার বিষয়টা জেনে যায় এবং তারা কোনোভাবে মেনে নেয়না শুধু তালাক দিতে বলে। আমি তাকে মন থেকে স্বামী হিসেবে মেনে নিয়েছি, বিয়ে টা আমার কাছে সাধারণ কোনো বিষয় না যে এমনি করলাস আর বাবা মা বললে তাই ছেড়ে দিলাম। আমি মন থেকেই serious  হয়ে বিয়ে করেছি। ইন শা আল্লাহ আমার শুধুমাত্র আমার স্বামী কে নিয়েই সংসার করার স্বপ্ন। কিন্তু আমার পরিবার সংসাে করতে দিচ্ছে না।  পরিবার বলছে আমার  এই বিয়ে টা হয়নি ইসলাম শরীয়াহ মতে।

আর সংসার এর বিষয় যদি বলি তো তারা বলছে আমি স্বামীর সাথে ফোনে কথা বলতে পারবো, হঠাৎ হঠাৎ অল্প সময়ের জন্য দেখাও করতে পারবো, কিন্তু সংসার করতে গেলে আরো ১.৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে আমাকে। এটা নাকি পরীক্ষা আমার জন্য। কিন্তু হুজুর, আমার বয়স ৩০ বছর। সংসার করার চাহিদা, ইচ্ছাশক্তি আগ্রহ, স্বামীর সাথে  থাকার আগ্রহ প্রচন্ড বেশি।  ৩.৫  বছর সময় দিয়েছিল আমার বাবা, তার মধ্যে ২ বছর হয়ে গেছে অপেক্ষা করা, আরো ১.৫ বছর বাকী আছে।
সমস্যা হচ্ছে আমার স্বামীর বাসা  থেকে খুব চাপ দিচ্ছে সংসার শুরু করার জন্য৷ যেহেতু ভবিষ্যতে বাচ্চা নেওয়ার ও একটা ব্যাপার আছে।
আমার প্রশ্ন তিনটা।
১।৷ আমার বিয়ে টা কি ইসলাম শরীয়াহ মতে আসলেই হয়নি.?? অবৈধ বিয়ে এটা.?
২। এভাবে বিয়ে করে কি আমি কখনও আল্লাহর রহমত, বরকত পাবোনা.?  তওবা করেও সম্ভব না.??

৩।আমার স্বামীসহ তার পরিবার খুব চাপ দিচ্ছে সংসার করার জন্য, কিন্তু আমার বাবা অনুমতি দিচ্ছে না। কিন্তু আমার খুব প্রয়োজন হয়ে গেছে সংসার করাটা। শারিরীক মানসিক সব চাহিদার কথা চিন্তা করে খুব কষ্ট হচ্ছে৷ আমি এক্ষেত্রে কি করবো..? উল্লেখ্য,  অনেক বুঝিয়েছি বাবা কে। কিন্তু আরো ১.৫ বছর সময় চাচ্ছে।

1 Answer

0 votes
by (678,240 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিবাহের সময় আপনারা উভয়েই যদি বালেগ বালেগাহ হোন,
এবং আপনারা উভয়ে যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষ্যির উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব ও প্রস্তাব গ্রহণ সম্পন্ন করে থাকেন, তাহলে আপনাদের বিয়ে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক শুদ্ধ হয়ে গিয়েছে।

যদিও আপনার অভিভাবক কিছুই না জানে।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৮, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৩৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১০৮, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৩২৬০, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪০৮৪, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৩৫৭৬}

আরো জানুনঃ-

উল্লেখ্য যে  মাতাপিতা সন্তুষ্টি ও অনুমতি নিয়ে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে।এবং মাতাপিতার সন্তুষ্টিই দুনিয়া ও অাখেরাতের কল্যাণের উত্তম মাধ্যম।মাতাপিতাকে কষ্ট দিয়ে জীবনে সূখী হওয়া যাবে না।

তাছাড়া বৈধ ও ভালো কাজে মাতাপিতার নির্দেশ মান্য করাও ওয়াজিব।

সুতরাং আমরা পরামর্শ স্বরুপ বলবো যদিও উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে বাবার মতামতকে উপেক্ষা করে আপনাদের বিবাহ হয়ে গিয়েছে,তারপরেও এভাবে অভিভাবককে না  জানিয়ে চুরি করে,অথবা তাদের মতামতকে উপেক্ষা করে  বিয়ে করা কখনো উচিৎ হয়নি।কেননা মাতাপিতা সব সময় সন্তানের কল্যাণ চায়।তাই মাতাপিতার পরামর্শ ও আদেশ মান্য করাই সবার জন্য কল্যাণকর।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০২)
গুনাহ থেকে ফিরে এসে লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে খালেস দিলে তওবা করলে আল্লাহর রহমত পাবেন ইনশাআল্লাহ। 

(০৩)
এক্ষেত্রে এখন স্বামীর আদেশ মানাই আপনার জন্য বেশি জরুরী। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...