আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
63 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (38 points)
১)যদি আমি মনে করি,আল্লাহকে যেভাবে ভয় করা,ইবাদাত করা উচিত সেভাবে কোন মানুষ এর পক্ষে করা সম্ভব না,তবে কি গুনাহ হবে??
নাকি এটা ই সঠিক??

২)আমি আল্লাহর কাছে দুয়া করলাম আল্লাহ যেন আমাকে মুসা (আ) এর মত সুঠাম সুন্দর দেহ আর শারীরিক শক্তি দান করেন।

এটা তো আর মানুষের পক্ষে ব্যায়াম করে করা সম্ভব না।

আল্লাহর রহমতে হয়।

কিন্তু এখন যদি আমি ব্যায়াম ও করি এই ভেবে যে যদি আল্লাহ মুসা (আ) এর মত দেহ আর শক্তি নাও দেন,তাও এই ব্যায়ামের উসিলায় সাধারণত মানুষের পক্ষে যেমন সুঠাম দেহ গঠন সম্ভব সেরকম অন্তত আমি লাভ করতে পারব।

এতে কি গুনাহ হবে?
বা দুয়া কবুলের সসম্ভাবনা কমে যাবে?

৩)ধরুন আমার একটা মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে আছে।
আমার তাকে খুব পছন্দ।
আর আমি আল্লাহর কাছে ওয়াদাকরেছি যে যা কিছু আমাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে বাধা হবে, আমি তাই সরায় দিব জীবন থেকে

তো আজকাল নামাজ পরতে গিয়ে মনে হয় আমি কি জন্য নামাজ পরছি??

আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নাকি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে যেন আমার হবু বউ বাধা না হয়,আর তাকে জীবন থেকে সরানো না লাগে সেজন্য??

এভাবে আমার নামাজে সমস্যা হচ্ছে।
?

ওই মেয়েকে বিয়ের চিন্তা বাদ দিলেই কিন্তু আর এই সমস্যা থাকে না।
আমার এখন কি করনিয়??

ওই মেয়েকে বিয়ের চিন্তা বাদ দিব???

৪)স্ত্রী স্বামী কে কষ্ট দিলে যেমন গুনাহ হবে, স্বামী যদি স্ত্রী কে কষ্ট দেয় তবে কি একই রকম গুনাহ হবে???

1 Answer

0 votes
by (680,160 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
এমনটি ভাবা সঠিক নয়।

(০২)
এতে গুনাহ হবেনা।
বা দুয়া কবুলের সম্ভাবনা কমে যাবেনা।

(০৩)
আপনার নামাজ হচ্ছে।
নামাজের আগে নিয়ত করবেন আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নামাজ পড়ছেন।

(০৪)
আল্লাহ তা'আলা স্ত্রীর সাথে সদ্ভাবে বসবাসের আদেশ দিয়েছেন-

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﻳَﺤِﻞُّ ﻟَﻜُﻢْ ﺃَﻥ ﺗَﺮِﺛُﻮﺍْ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﻛَﺮْﻫًﺎ ﻭَﻻَ ﺗَﻌْﻀُﻠُﻮﻫُﻦَّ ﻟِﺘَﺬْﻫَﺒُﻮﺍْ ﺑِﺒَﻌْﺾِ ﻣَﺎ ﺁﺗَﻴْﺘُﻤُﻮﻫُﻦَّ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﻳَﺄْﺗِﻴﻦَ ﺑِﻔَﺎﺣِﺸَﺔٍ ﻣُّﺒَﻴِّﻨَﺔٍ ﻭَﻋَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑِ ﻓَﺈِﻥ ﻛَﺮِﻫْﺘُﻤُﻮﻫُﻦَّ ﻓَﻌَﺴَﻰ ﺃَﻥ ﺗَﻜْﺮَﻫُﻮﺍْ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻭَﻳَﺠْﻌَﻞَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻓِﻴﻪِ ﺧَﻴْﺮًﺍ ﻛَﺜِﻴﺮًﺍ

হে ঈমাণদারগণ! বলপূর্বক নারীদেরকে উত্তরাধিকারে গ্রহন করা তোমাদের জন্যে হালাল নয় এবং তাদেরকে আটক রেখো না যাতে তোমরা তাদেরকে যা প্রদান করেছ তার কিয়দংশ নিয়ে নাও; কিন্তু তারা যদি কোন প্রকাশ্য অশ্লীলতা করে! নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। অতঃপর যদি তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে হয়ত তোমরা এমন এক জিনিসকে অপছন্দ করছ, যাতে আল্লাহ, অনেক কল্যাণ রেখেছেন।(সূরা নিসা-১৯)

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ فَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ قِصَّةً فَقَالَ " أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا… أَلاَ وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ " .
 
সুলাইমান ইবনু আমর ইবনুল আহওয়াস (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
বিদায় হজ্জের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং ওয়াজ-নাসীহাত করলেন। এ হাদীসের মধ্যে বর্ণনাকারী একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণের উপদেশ নাও। ... জেনে রাখ! তোমাদের প্রতি তাদের অধিকার এই যে, তোমরা তাদের উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে। (সুনানে তিরমিযী ১১৬৩)
 
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্বামী যদি স্ত্রী কে শরীয়ত সম্মত কারন ছাড়া অন্যায় ভাবে কষ্ট দেয়,সেক্ষেত্রেও একই রকম গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...