আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
.১)আমরা জানি যে নবীজি ৬৩ বসর বয়সে মারা যান কিন্তু কিছু কিছু যাইগাতে ৬২বসর থাকে  ৫৭০ থেকে ৬৩২ সাল তাহলে কনটা সঠিক আর হিজরি সাল কিভাভে গননা করে।

২)নবীজি তিনি শান্তির বার্তা নিয়ে আসেন তাহলে তার জিবনে এত যুদ্ধ হয়ে ছিল কেন?

৩) জ্বিহাদ মুলত কখন হয়?

৪) নবিজির দেখা অনেকে তার চেহারা কাল দেখেছেন এটার বিসয়ে কন হাদিস আসে কি

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)

اختلف العلماء في تحديد عمر النبي محمد -صلى الله عليه وسلم عند وفاته، فصح حديث روي عن السيدة عائشة -رضي الله عنها-: «أن النبي -صلى الله عليه وسلم- توفي وهو ابن ثلاث وستين». (رواه البخاري: 4466)، وفي حديث آخر عن ابن عباس -رضي الله عنهما-: «توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو ابن خمس وستين». (رواه مسلم: 2353)، ووردت رواية عن أنس -رضي الله عنه-: «أنها ستون سنة». (رواه البخاري: 5900).

সারমর্মঃ রাসুল সাঃ এর বয়স নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
এক্ষেত্রে তিনটি মত রয়েছে।
তবে ছহীহ কথা হলো তার মৃত্যুর সময় বয়স ৬৩ বছর হয়েছিলো।
,
বুখারী শরীফে এসেছেঃ
أن النبي -صلى الله عليه وسلم- توفي وهو ابن ثلاث وستين». (رواه البخاري: 4466)، 
সারমর্মঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন।    

وقال الإمام النووي -رحمه الله-: «توفي -صلى الله عليه وسلم وله ثلاث وستون سنة، وقيل: خمس وستون سنة، وقيل: ستون سنة، والأول أصح وأشهر، وقد جاءت الأقوال الثلاثة في الصحيح».
সারমর্মঃ এক্ষেত্রে প্রসিদ্ধ এবং ছহীহ কথা হলো তার মৃত্যুর সময় বয়স ৬৩ বছর হয়েছিলো।
,
★হিজরি সন হিজরতের ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে শুরু করা হয়।
,
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত: যখন ওমর (রা.) সন প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন, তখন তিনি পরামর্শসভার আহ্বান করেন। সভায়  সাদ বিন আবি ওয়াক্কাছ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওফাত থেকে সাল গণনার প্রস্তাব দেন। তালহা (রা.) নবুয়তের বছর থেকে সাল গণনার অভিমত ব্যক্ত করেন। আলী (রা.) হিজরতের ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে বর্ষ গণনার প্রস্তাব দেন। তারপর তারা সবাই আলী (রা.)-এর প্রস্তাবে ঐকমত্য পোষণ করেন। এরপর কোন মাস থেকে শুরু হবে- এ নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দেয়। আবদুর রহমান বিন আউফ (রা.) রজব থেকে শুরু করার প্রস্তাব দেন। কেননা এটি চারটি সম্মানিত মাসের মধ্যে প্রথমে আসে। তালহা (রা.) রমজান থেকে শুরু করার কথা বলেন। কেননা এটি উম্মতের মাস। আলী (রা.) ও ওসমান (রা.) মহররম থেকে শুরু করার পরামর্শ দেন। (উমদাতুল ক্বারি : ১৭/৬৬)
,
(০২)
‘জিহাদ’ অর্থ প্রচেষ্টা, সংগ্রাম, পরিশ্রম ইত্যাদি।
,
আসলে আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীন বাস্তবায়নের জন্যই জিহাদ।
এই জমিন যার,হুকুম আইন চলবেও তার।
,
তাই ইসলাম আল্লাহর যমিনে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করতে চায়।
আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন না হলে শান্তি আসবেনা।
কারন সেই আইনেই শান্তির বিধান এসেছে।

সেই জন্যই জিহাদ। 
,
আরো জানুনঃ 

(০৩)
জিহাদ মুলত কখন হয়,জানুনঃ 
,
(০৪)
রাসুল সাঃ কে স্বপ্নে তার আসল চেহারায় দেখা সম্ভব।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
أن أبا هريرة قال : سمعت النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( من رآني في المنام فسيراني في اليقظة ولا يتمثل الشيطان بي )

হযতর আবূ হুরায়রা রাঃ বলেনঃ রাসূল সাঃ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নযোগে দেখল, সে যেন আমাকে বাস্তবেই দেখল। কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না। 

{সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৫৯২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬০৫৬, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৬০৫২, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৫০২৫ , সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২১৩৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩৯০৫, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২২৭৬}

এ সংক্রান্ত আমল জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...