আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
313 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
edited by
দয়া করে উত্তর দিন হুজুর....

আমরা স্বামী স্ত্রী দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসি, বিয়ের একদিন পর স্ত্রী  আমার কাছে জিগাস করে আমার বিয়ের জন্য অন্য মেয়ে পছন্দ ছিলো কিনা। আমি বললাম ওমুক মেয়ে সুন্দর ছিলো৷ ব্যাস,  রাগ করে বললো "যান যান যান ওর কাছে যান ওকে বিয়ে করেন"। তারপর মাঝে মাঝেই এরকম কথা বলতো। আমি হাসতাম কিছু বলতাম না। তারপর ও রাগ করতো আমি রাগ ভাঙ্গাতাম।তারপর সব স্বাভাবিক।

আমি সুযোগের অপেক্ষায় থাকলাম ও কোন ছেলেকে ভালো বা দেখতে সুন্দর বললে আমিও এমন কথা বলবো আর আমিও ওরকম বলে রাগ করবো ও রাগ ভাঙ্গাবে । একদিন ও ওরকম কিছু বললো। আমি বললাম যাও, যাও, যাও (ওর কাছে যাও এমন কিছু বোঝে যেন)।(এগুলো কী সরীহ শব্দ হয়ে গেলো নাতো?)। তারপর আমি রাগ করে থাকলাম ও আমার রাগ ভাঙ্গালো। ঝগড়া ঝামেলা কিছুই হয়নি। আমি এরকম দুই থেকে তিনদিন করেছি। হঠাৎ কেনায়া শব্দে তালাক এর ভিডিও দেখলাম।  তাতে বুঝলাম নিয়ত থাকা লাগে। আমার নিওত ছিল কিনা বুঝবো কি করে ? রাগ করা কী নিয়ত? কেনায়া তালাকের নিয়ত কেমন? মনে মনে হয়তো হঠাৎ এমন হতে পারে যে যেতে চাইলে যাবে। বা যাওয়ার ব্যবস্থা করব। তবে তালাক শব্দ মাথায় ই থাকতো না। আমি শুধু ওকে অনুকরণ করতাম। অনুকরণ করার সময় হঠাৎ কোন কিছু চলে আসলে (নিশ্চিত নয়) কিছু হবে? তবে শেষ দিন বলার পর হঠাৎ মনে হলো নিজের বউকে আরেকজনের কাছে যেতে বলা অনেক বড় গুনাহ নাতো?

এসব নিয়ে টেনশন এ আছি। কিছু হয়ে গেলো কিনা। আমার তখন হঠাৎ কী নিয়ত ছিলো তা নিয়ে কনফিউজ। তবে তখন পর্যন্ত জানতাম সরাসরি তালাক শব্দ ছাড়া তালাক হয়না। তখন ঐ কথা(" যাও, যাও,যাও" ) বলার শুধু উদ্দেশ্য থাকতো আমি রাগ করে থাকবো ও আমার রাগ ভাঙ্গাবে। আর ও আমাকে কতটা ভালোবাসে দেখবো। তারপর ও আমার রাগ পাঁচ মিনিটের মধ্যে ভাঙ্গগিয়ে ফেলতো।

আমার মাথায় সবসময় এসব ঘুরে। মনে হয় যে এই নিয়ত করছিলাম না ঐ নিয়ত করছিলাম। তবে বানিয়ে বানিয়ে রাগ করার চেষ্টা করছিলাম। আমি এসব নিয়ে over thinking করি অনেক। মনে হয় যে যদি হয়ে যায় তাহলে তো অনেক গুনাহগার হতে হবে। আমি আমার তখনকার একাধিক বার "যাও যাও যাও" বলার মাঝের নিয়ত নিয়ে সন্দেহে আছি। কিন্তু এটা উদ্দেশ্য থাকতো যে ও আমি ওর মতো রাগ করবো ও আমার রাগ ভাঙ্গাবে।

এসবের জন্য কাজে, ইবাদতে মন বসে না।হঠাৎ প্যানিকড হয়ে যায়। কেন তালাক হবে বা হবেনা ব্যাখ্যা বলে দিলে চির কৃতজ্ঞ থাকবো। দুশ্চিন্তা আর থাকবেনা ইনশাআল্লাহ। আমাকে সাহায্য করুন দয়াকরে।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
ঐ লিংকে কোন কিচ্ছু আসছেনা কীছু লেখা ছাড়া। ওয়েবসাইটের সমস্যা? 
by (559,140 points)
সমস্যাটির সমাধান করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...