ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/5076/
নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
□ যদি কোন হিন্দু এমনিতে খাবার বানিয়ে নিয়ে আসে এবং তাতে গোস্ত জাতীয় বস্তু তথা
হাসঁ, মুরগী বা পশুর গোস্ত না থাকে তাহলে তা খাওয়া জায়েজ আছে। তবে একে অভ্যাসে পরিণত
করা ভাল নয়। খুবই গর্হিত কাজ।
فى
الفتوى الهندية-ولا بأس بطعام المجوس كله الا الذبيحة الخ (الفتوى الهندية-5/347،
كتاب الكراهية، الباب الرابع عشر فى اهل الذمة، البحر الرائع، كتاب الكراهية، فصل
الأكل والشرب-8/184، المحيط البرهانى-8/69
যার সারমর্ম হলো মূর্তিপুজকদের খাবার খাওয়া জায়েজ আছে, তবে তাদের জবাইকৃত পশু
ব্যতীত।
,
★বিধর্মীদের রান্না করা খাবার
যেমন, মাছ, তরকারি ইত্যাদি খাওয়া জায়েয আছে, যদি সে খাদ্যটি হারাম না
হয় এবং তাতে যদি হারাম কোন কিছুর সংমিশ্রণ না থাকে। যেহেতু রাসূলুল্লাহ ﷺ অমুসলিমদের দেয়া দাওয়াত খেয়েছেন এবং তাদের দেয়া হাদিয়াও গ্রহণ
করেছেন। (বুখারী ২৬১৫-১৮
‘মুশরিকদের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ’ অনুচ্ছেদ)
অনুরুপভাবে তাদের যবেহ করা পশুর গোশত খাওয়া যাবে না।
(সূরা বাক্বারাহ ১৭৩)
★সুতরাং পূজা উপলক্ষে
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রান্না করা খাবার যেমন, মাছ, তরকারি ইত্যাদি খাওয়া
জায়েজ। তবে খাবারটি কোনোভাবেই হারাম না হতে হবে।
পাশাপাশি তাতে হারাম কোনো কিছুর সংমিশ্রণ না থাকতে
হবে। (তাদের কোনো উপাস্যের জন্ম উৎস্বর্গকৃত না হতে হবে। )
রাসুলুল্লাহ (সা.) অমুসলিমদের দাওয়াত গ্রহণ করেছেন।
তাদের রান্নাকৃত খাবার খেয়েছেন। তাদের দেওয়া উপহারও গ্রহণ
করেছেন। (বুখারি, হাদিস: ২৬১৫)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নাপাক জিনিস
মিশ্রিত না হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হলে ও তাতে কোনো প্রকার চর্বি ও গোশত দেওয়া না
থাকলে এবং পূজার জন্য উৎস্বর্গকৃত খাবার না হলে খাওয়া জায়েয আছে। তবে না খাওয়াটাই উত্তম ও
শ্রেয় হবে।
২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি হেকমতের সাথে আরো বুঝানোর
চেষ্টা করবেন। আবার চেয়ারে বসে নামাজ পড়ার কয়েকটি মাসআলা দেখাতে বা পড়ে পড়ে
শোনাতেও পারেন। তাহলে আশা করা যায় যে, তারা তা গ্রহণ করবেন ও মেনে নিবেন।
চেয়ারে
বসে নামাজ পড়ার বিধান সম্পর্কে জানুন- https://ifatwa.info/10313/