আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম
শায়খ, ইস্তেখারা নামাজ পরে কোনো কিছু জানতে চাইলে তাতে স্বপ্নে ইংগিত পাওয়া যায়। কিন্তু শুনেছি যে স্বপ্নে কিছু না জানা গেলেও কোনো না কোনো ভাবে আল্লাহ তা জানিয়ে দেন। হয়তো কারো আলোচনা কিংবা মনের ভিতরে অনুভুতি জাগিয়।। শায়খ, আমি ইস্তেখারা নামাজ পরেও কিছু জানতে না পেরে একজন আপু কে বিষয়টা বললে উনি আপনাদের ওয়েব সাইট এর নাম দেন। আমি এরপর এইখানে প্রশ্ন করে ইস্তেখারা যে বিষয়ে করেছিলাম সে বিষয়ে জানতে পারি আল্লাহর রহমতে। ১#এখন আমি কি ধরতে পারবো যে ইস্তেখারা যেটার জন্য করেছিলাম সেটা আল্লাহ আমাকে আপনাদের দ্বারা জানিয়েছেন?
২# আপনাদের দ্বারা জানতে পারা বিষয় গুলো কি ইস্তেখারা করা বিষয় টার উত্তর হিসেবে ধরে নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারব? ধরে নিতে পারবো কি যে আল্লাহ আমাকে আপনাদের দ্বারা আমার জানতে চাওয়া বিষয় গুলার প্রকৃত উত্তর দিয়েছেন? আমি যেহার নিয়ে কিছু জানতে চেয়ে ইস্তেখারা করেছিলাম।  স্বপ্নে কিছু জানতে পারি নি কিন্তু আপনাদের ওয়েব সাইটের খোঁজ পেয়ে এইখান থেকে যেহার এর  বিষয়টি উত্তম ভাবে জানতে পেরেছি।
আর তাই আগ্রহ নিয়ে এই বিষয়ে আবারো প্রশ্ন করছি শায়খ। একটু বিস্তারিত জানালে মনের সন্দেহ থেকে আল্লাহর অশেষ দয়ায় মুক্তি পাবো এবং  জানতে পারা জিনিস টুকু /বিষয় টুকু নির্দ্বিধায় বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারবো।

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(১.২)
শরীয়তের বিধান হলো যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। 

ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে। তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে। 

যেমন হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে

 عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا، كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ القُرْآنِ، يَقُولُ: " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ، فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الفَرِيضَةِ، ثُمَّ لِيَقُلْ: 

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সব কাজে ইস্তিখারাহ্* শিক্ষা দিতেন। যেমন পবিত্র কুরআনের সূরাহ্ আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরজ নয় এমন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করার পর এ দু’আ পড়ে,,,

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
ইস্তেখারাকৃত বিষয়টির ফায়সালা কিভাবে বুঝতে পারবে? কোন পদ্ধতিতে তা জানা যাবে? এ নিয়ে উলামায়ে কেরাম থেকে একাধিক পদ্ধতি জানা যায়।
উক্ত আমল শেষ করে কারো সাথে কথা না বলে কিবলামুখী হয়ে ঘুমিয়ে পড়বে। ঘুম থেকে জাগার পর মন যেদিকে সায় দিবে, বা যেদিকে আগ্রহী হয়ে উঠবে, সেটিই ফলাফল মনে করবে। [তুহফাতুল আলমায়ী-২/৩৩৮, বেহেশতী জেওর]

বাকি এছাড়াও আরো অনেক পদ্ধতি আছে,তবে সেসব  পদ্ধতিকে রাসূল সাঃ থেকে প্রমাণিত পদ্ধতি বলা যাবে না। বাকি একদম বাতিল পদ্ধতিও বলা ঠিক নয়। কারণ এটি জানার পদ্ধতি যেহেতু কোন দ্বীনী বিষয় নয়। বরং দুনিয়াবী বিষয়ের ফায়সালা জানতে এমনটি করা হয়ে থাকে, তাই এটির ক্ষেত্রে মানুষের অভিজ্ঞতার একটি দখল রয়েছে।
,
 কারো অভিজ্ঞতায় যদি এমন আমল করার দ্বারা ইস্তেখারাকৃত বিষয়ের ফলাফল স্পষ্ট হয়, তাহলে সে
এর উপর আমল করতে পারে।
,
★সুতরাং প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,ইস্তেখারা করা হয় কোনো এক বিষয় করবে কি করবেনা?,এই বিষয় নিয়ে ডিসিশন নিতে পারছেনা, 
 সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।
,
কিন্তু দ্বীনি কোনো মাসায়েল এর ক্ষেত্রে ইস্তেখারার  কোনো সুযোগ নেই।
এখানে শরীয়তের মাসআলা যেটা,সেটা মানতেই হবে।
এখানে আপনার জন্য কোনো ইখতিয়ার বা ইচ্ছা নেই।
মানতেই হবে।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শরীয়তের মাসআলা সংক্রান্ত আপনি যেই বিধান গুলো জানতে চেয়েছিলেন, মুফতী সাহেবগন কুরআন হাদীস থেকে যেই শরয়ী সমাধান দিয়েছেন,  
আপনি সেটার উপর আমল করবেন।
এখানে মনের কোনো সন্দেহ আনা যাবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...