আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)

আসসালামু আলাইকুম
ধৈর্য নিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল প্রিয় হুজুর।
হুজুর আমার বয়স ৩০ বছর। আমার বাবা একজন অবঃ রেলওয়ে কর্মচারী। আমার চাচারা ও ফুফুর স্বামীরাও সরকারি চাকুরীজীবি। আমি আমার বাবা মায়ের ২য় সন্তান, বড় জন মেয়ে অবিবাহিত। আমি বিবিএস শেষ করেছি। আমার বাবা মায়ের ইচ্ছে আমি সরকারি চাকুরী করি। কিন্তু আমি কয়েকবছর চেষ্টার পরও লিখিত পাস করতে পারছি না। সেই কারণে আমি আমার বাসায় বলেছি আমার সরকারি চাকুরী হবে না, কারণ আমার মুখস্থ মেধা নাই। আমি ব্যবসা করব। কিন্তু আমার বাসা থেকে সরকারি চাকরি করতে বলতেছে, প্রয়োজন হলে ঘুষ দিবে, একসময় আমিও ভাবতাম যে ঘুষ দিয়ে চাকুরী নিব, সেই জন্যে রাজনৈতিক অবস্থাও তৈরি করেছিলাম। কিন্তু এখন আমি করতে চাচ্ছি না। আমার চলাফেরা গত তিন চার বছরে পরিবর্তন হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু বাসায় চাকরি না করার সিদ্ধান্তে অখুশি। ওনারা আমাকে একাই ব্যবসা করতে দিবে না। অবশ্য আমার ভুল ছিল যে আট নয় বছর আগে জোর করে একটা কোম্পানির ডিলার নিয়েছিলাম। কিন্তু ছয় থেকে সাত মাসের বেশি করতে পারি নাই। করতে না পারার কারন ছিল কর্মিষ্ঠ লোক পাই নাই। হয়তোবা এই কারণে আমাকে একাই ব্যবসা করতে দিতে রাজি না। রাজনৈতিক  ভাবে বেশ কিছু পরিচয় হয়। যেমন ঠিকাদার, ইট ভাটার মালিক, স্টক বিজনেস করে এমন লোকজনের সাথে। বাসায় থেকে টাকা নিয়ে আমার এই পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার হতে চাই। বাসা থেকে রাজিও হয়। কিন্তু এক সময় এসে বুঝতে পারি এই ব্যবসা গুলো হাদিস সুন্নাহ অনুযায়ী হয় না, হালাল হারাম মিশ্রণ থাকে, যা আলাদা করা অসম্ভব। অনেক সময় ব্যবসা গুলো অবৈধ শরীয়ত অনুসারে(বিষয় গুলো মুফতির মাধ্যমে জানতে পারি)।
এখন আমি এই সকল ব্যবসা থেকে আস্তে আস্তে সরে নিজে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করতেছি। যেমন গত মৌসুমে লিচু আম বাগান থেকে কিনে বিভিন্ন হাট বাজারে বসে খুচরা ভাবে বিক্রি করেছি। এরপর পেয়ারা কিনে একজনের থেকে প্রতারিত হয়েছি(আসল থেকে ক্ষতি হয়নি আলহামদুলিল্লাহ)। ধারের টাকা সকলকে ফেরত দিই বিধায় টাকা পয়সার কম থাকার কারনে ঐ ভাবে ব্যবসা করতে পারি নাই। কয়েকদিন বিভিন্ন ফার্মিং বিজনেস নিয়ে যারা কাজ করে তাদের কাছে বিনা পারিশ্রমিকে শ্রম দিতে ছিলাম। উদ্যোক্তা হয়ে গ্রামের হাট বাজারে কেনাবেচা বা ফার্মিং ব্যবসায় শ্রম দেয়া অনেক কষ্টের আর আমাদের সমাজের কাছে নিচু মানের।
তাই আমার বাবা মা এই সকল কাজ আমার জন্য মেনে নিতে পাচ্ছে না, বিশেষ করে বাবা এই জন্যে মাকে অনেক কথা শুনায়। তাদের কথা সরকারি চাকুরী না হলে বেসরকারি চাকুরী মার্কেটিং চাকুরী করুক। কিন্তু আমি এর আগেও বিভিন্ন মার্কেটিং চাকুরী করার চেষ্টা করেছি। এই সকল চাকুরীর সব বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে সত্য বলা, এই সকল চাকুরীতে মিথ্যার আশ্রয় না নিলে লাঞ্চিত হতে হয়। কিন্তু বাসায় এই সকল চাকুরী বা ঠিকাদারি ব্যবসার নেগেটিভ বিষয় বুঝাতেই পারছি না। তাদের একটাই এত মানুষ এই সকল কাজ করতেছে আর তোমার করলেই সমস্যা। যদি তাদেরকে রাত্রে কোর'আন সুন্নাহ দ্বারা বুঝানোর চেষ্টা করি, তারা একটু মেনেও নেয়, আবার পরেরদিন সকালে আশেপাশের বিভিন্ন লোকের থেকে প্রভাবিত হয়ে আবার ঐ কথা বলে, বিশেষ করে আব্বু বাহিরে লোকজনের বিভিন্ন কথা শুনে এসে আম্মুর সাথে রাগারাগি করে, আমাকে সরাসরি বলে না, আম্মু আবার মাঝে মাঝে ধৈর্য হারায়ে আব্বুর সাথে ঝগড়া তর্ক হয়।
আমার বিয়ের ও প্রয়োজন, বড় বোনও অবিবাহিত। এখন বিয়ের ক্ষেত্রে বাসার কথা হল চাকুরী কর আর তোমার বড় বোনের বিয়ে হউক তারপর তোমারটা দেখব। কিন্তু হুজুর বদঅভ্যাস ছিল হস্তমৈথুনের( যা নিয়ে কিছুদিন আগে প্রশ্ন করেছিলাম)।
আলহামদুলিল্লাহ তা থেকে বিরত থাকার জন্য চেষ্টা ও দোয়া করে যাচ্ছি,  আলহামদুলিল্লাহ ২০-২২ দিন বিরত আছি।
আমার বাবা মা নিয়ে কোন অভিযোগ নেই, তারা আলহামদুলিল্লাহ পাচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তারা আমার জন্যে অনেক কষ্ট করেছেন, করে যাচ্ছেন। সবর করেছেন। কিন্তু দুজনকে আমি আমার অবস্থান বুঝাতেই পারছি না। আবার আম্মুকে একটু বুঝতে পারলেও বাবাকে কোন ভাবেই সম্ভব হয়না। উনি আমাকে সরাসরি কিছুই বলে না, আম্মুকে বলে। আর এইদিকে আশেপাশের লোকজনতো আছেই, অনেকে ভালোর জন্য তাদের বলে, অনেকে আবার উস্কানিমূলক কথা বলে কিন্তু দুটোই বাসার লোকের কাছে আমার জন্যে নেগেটিভ ভাবে কাজ করছে। আগুনের মধ্যে তেল দেওয়ার মত কাজ হচ্ছে।
আমি তাদের ইচ্ছা পূরনের জন্যে যথা সাধ্য চেষ্টা করতেছি। কিন্তু ওনারা যেভাবে চাচ্ছেন সেভাবে আমার দ্বারা হচ্ছেনা, তাই আমি সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছি বাসা থেকে কিছু না বলে চলে যাব। আর কারও সাথে কোন কথা বলব না। কারণ আমি খুব ছোট পরিসরে নিজের কর্ম করার জন্য চিন্তা ভাবনা করছি। একদম হালালভাবে কায়িক শ্রম দিয়ে। এই সকল কাজের মধ্যে থেকে বাবা মায়ের সাথে কথা বললে আমার মায়া জন্ম নিবে, আমার কাজে অখুশি হবে, বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে বাসায় আবার নিয়ে আসবে। কিন্তু তারপর আবার ঐরকম হবে। কিছুদিন আগে যেমন মা বলতেছে তুমি আল্লাহর পথে চল, নামাজ কালাম পড় আর কোন চিন্তা করা লাগবেনা, রিযিক আল্লাহ দেখবে।। কিছুদিন থেকে এক পরিচিত বড় ভাই ওনার ফার্ম দেখাশোনা করার জন্য হেল্প চায়। আমি তার সাথে সময় দেই। কালকে ঐ বড়ভাইকে ফোন দিয়ে নানারকম কথা বলছে, অনেক ভাবে আমাকে ছোট করছে, বড় ভাইয়ের ভাইয়ের কাছে তাদের সম্মান ঠিক রাখে নাই, এই রকম প্রায় করে, আমার কাজ নিয়ে আমাকে বলে না, যাদের সঙ্গে চলি তাদেরকে বিভিন্ন রকম ভাবে কথা বলে, সবাইকেই ঐ একটা বিষয়ে জোর দিয়ে বলে ঐ সরকারি চাকরি নেয়না কেন। আমি ভয় পাচ্ছি যে এইভাবে বাবা মায়ের উপর আমার তিক্ততা চলে না আসে, ক্ষোভ না জন্মে নাউজুবিল্লাহ।
এখন আমি সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছি আমি না বলে বাহিরে চলে যাব, আর তাদের দেয়া কিছু টাকা (প্রায় দশ লাখের মত) আমার ঠিকাদারি কাজে দেয়া আছে, ঐটার জন্য বাসায় আটকে গেছি। ইনশাআল্লাহ ঐ টাকা রিকভার করে বাসায় দিয়ে আমি না বলে চলে যাব।আমার মা আবার প্রায় আমাকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলে, আমার এক মামার সন্তান নেই, কিছুদিন আগে আমার মা আমাকে বলে আমার ভাইয়ের সন্তান নেই আমার ভাই ভালো আছে তাই তুইও বের হয়ে গেলে আমি ভাল থাকব।
সেইদিনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে ছাড়া ওনারা ঐ টাকা উঠাতে কষ্ট হবে, এক প্রকার পারবেই না। কারন তাদের কাউকে ওনারা চিনে না শুধু নাম জানে।
ইনশাআল্লাহ এই টাকার ফায়সালা খুব শীগগির হবে। হলে আমি না বলে চলে যাব।
প্রিয় হুজুর এই বিষয়ে কোর'আন সুন্নাহ অনুযায়ী মতামত চাচ্ছি?
আর ঐ টাকা রিকভার করে বাবা মাকে না জানিয়ে বা তাদের অমতে আমি কিছু টাকা কি রেখে দিতে পারব, চল্লিশ পঞ্চাশ হাজারের মত??
জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মাতাপিতার বৈধ আদেশ মানা, তাদের সাথে উত্তম আচরণ করা শরীয়ত কর্তৃক আবশ্যক ঘোষনা করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا ۖ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا ۖ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا

আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস।” (সূরা আহকাফ-১৫)

আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন,

وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। (সূরা বনী ইসরাঈল-২৩)

ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহঃ লিখেন,

ويلزم الإنسان طاعة والديه في غير المعصية وإن كانا فاسقين ، وهو ظاهر إطلاق أحمد ، وهذا فيما فيه منفعة لهما ولا ضرر ، فإن شق عليه ولم يضره : وجب ، وإلا فلا

গোনাহের কাজ ব্যতীত মুবাহ তথা বৈধ কাজে
মাতা পিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।যদি তার ফাসিকও হয়।এটা তখন যখন তাতে মাতাপিতার ফায়দা থাকবে,এবং সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক হবে না।যদি সন্তানের উপর কষ্টদায়ক হয় তবে ক্ষতিকারক না হয়, তাহলে তখন মাতাপিতার আদেশ মান্য করা ওয়াজিব নয়।(আল-ফাতাওয়াল কুবরা-৫/৩৮১)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার এমন সিদ্ধান্ত কোনোক্রমেই সঠিক নয়।

আপনার জন্য পরামর্শ, 
আপনি আপনার মা বাবার আদেশ মোতাবেক সরকারী/বেসরকারি যেকোনো একটি বৈধ চাকরি করবেন।
এতে যথা সম্ভব মিথ্যা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
চাকুরিতে মিথ্যা বললেও আপনার ইনকাম তো হারাম হবেনা।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার পিতা মাতার আদেশে মেনে চাকুরী করা আপনার উপর আবশ্যক। 

এক্ষেত্রে ঘুষ দিতে হলেও ঘুষ দিতে পারবেন।
ঘুষ ছাড়া চাকরি না হলে ঘুষ প্রদান করা এমতাবস্থায় আপনার জন্য জায়েজ।

এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত ফাতওয়া লক্ষ্যনীয়।

https://ifatwa.info/31470/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
ঘুষ কবিরা গুনাহ সমূহের একটি। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,

 ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﻲ ﻭَﺍﻟْﻤُﺮْﺗَﺸِﻲ .

অনুবাদঃ ঘুষ প্রদাণকারী ও গ্রহণকারী উভয়ের উপর রাসূলুল্লাহ সাঃ লা'নত দিয়েছেন। মুসনাদে আহমদ-৬৭৯১ সুনানে আবু-দাউদ-৩৫৮০ 

তবে একটি মাসয়ালা হলোঃ-  ঘুষ দেওয়া ব্যতীত যদি নিজ প্রাপ্য হক আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে এমতাবস্থায় ঘুষ দেয়া জায়েয।অন্যথায় ঘুষ দেয়া হারাম।তবে ঘুষ গ্রহণ করা সর্বাবস্থায়-ই নাজায়েয ও হারাম। প্রয়োজনে ঘুষ দেয়া জায়েয।

এ বিষয়ের উপর উলামায়ে কেরাম নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করে থাকেন। হযরত উমর ইবনে খাত্তাব রাযি থেকে বর্ণিত,

 ﻋﻦ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﺇِﻥَّ ﺃَﺣَﺪَﻫُﻢْ ﻟَﻴَﺴْﺄَﻟُﻨِﻲ ﺍﻟْﻤَﺴْﺄَﻟَﺔَ ﻓَﺄُﻋْﻄِﻴﻬَﺎ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﻓَﻴَﺨْﺮُﺝُ ﺑِﻬَﺎ ﻣُﺘَﺄَﺑِّﻄُﻬَﺎ ، ﻭَﻣَﺎ ﻫِﻲَ ﻟَﻬُﻢْ ﺇِﻻ ﻧَﺎﺭٌ ، ﻗَﺎﻝَ ﻋُﻤَﺮُ : ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﻓَﻠِﻢَ ﺗُﻌْﻄِﻴﻬِﻢْ ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﺇِﻧَّﻬُﻢْ ﻳَﺄْﺑَﻮْﻥَ ﺇِﻻ ﺃَﻥْ ﻳَﺴْﺄَﻟُﻮﻧِﻲ ، ﻭَﻳَﺄْﺑَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻲ ﺍﻟْﺒُﺨْﻞَ ) 

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ আমার কাছে যাকাতের মাল থেকে কিছু দেওয়ার জন্য সুওয়াল করে।অতঃপর আমি তাকে কিছু দিয়ে দেই।তথা তার সুওয়াল আমার কাছ থেকে কিছু নিয়ে নেয়।তবে এই গ্রহণকৃত জিনিষ তাদের জন্য আগুনের মত।তখন উমর রাযি বললেন, হে রাসূলুল্লাহ! তাহলে আপনি কেন দেন?তারা আমারকে লেপ্টে ধরেছে।অথচ আল্লাহ আমাকে কৃপণতা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছন।মসনাদে আহমদ-১০৭৩৯ 

বিস্তারিত জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
কোনো যোগ্য ব্যাক্তি যদি  নিজ প্রাপ্য হক আদায়ের লক্ষ্যে ঘুষ দেয়,অবস্থা যদি এমন হয় যে ঘুষ না দিলে তার এই চাকুরী হবেনা,তাহলে  এমন অবস্থায় ঘুষ দেওয়া যাবে।
তার বেতন হালাল হবে।
তবে যারা এই ঘুষ গ্রহন করবে,তাদের ক্ষেত্রে তাহা গ্রহন হারাম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...