আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (95 points)
আসসালামু আলাইকুম।
গত ২দিন ধরে আমি অস্বাভাবিক কিছু ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি।

১) এক ভাইয়ের খাবার জিন চুরি করে নিয়ে যায়, এই সংক্রান্ত একটা ঘটনা পড়ার কিছুক্ষণ পর আমার বাসায় কিছুক্ষণ ধরে অনেক টিকটিকির আওয়াজ শোনা যাচ্ছিলো। বিষয়টা হয়তো স্বাভাবিক, কিন্তু মনের সন্দেহের কারণে  উল্লেখ করলাম।

২) গোসল করার সময় হাঁটু ধুতে গিয়ে পানির কলের সাথে আঘাত পেয়ে আমার হাটুর চামড়া ছিলে উঠে যায়। কিন্তু কলটিতে তেমন ধাড়ালো কিছু ছিলনা। আমার কাছে বিষয়টা অস্বাভাবিক লাগছে।

৩) আমার বাসার দরজার বাইরে রাখা জুতো চুড়ি হয়ে যায়/হারিয়ে যায়। আমার জুতোটা কিছুটা পুরোনো এবং ছেঁড়া ছিল। কিন্তু তাও এই জুতো হারিয়ে যাওয়া আমার কাছে অস্বাভাবিক লাগছে।

৪) এশার নামাজ পড়ে বাসায় আসার সময় রাস্তার একটা সাদা কুকুর খালি আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। আমাকে অনুসরণ করছিল খালি। হয়তো ক্ষুধার্ত ছিল তাই করছিল, কিন্তু বিগত কয়েকদিনের ঘটনা মিলিয়ে আমার কাছে অস্বাভাবিক লাগছে। শুনেছি শয়তান দেখলে কুকুর ডাকে, এই হাদিস মনে পড়ার কারণে আরও অস্বাভাবিক লাগছে।

উপরের ঘটনাগুলো কি স্বাভাবিক? নাকি বদনজর/কালো জাদু/জিনঘটিত কোনে বিষয়?

1 Answer

0 votes
by (676,800 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ঘটনাগুলো স্বাভাবিক বলেই মনে হচ্ছে।
বদনজর/কালো জাদু/জিন সংঘটিত নয় 

এগুলো নিছক আপনার মনের কল্পনা বলেই মনে হচ্ছে।
তাই টেনশনের কিছু নেই।

তারপরেও যদি আপনার মনের সন্দেহ না কাটে,সেক্ষেত্রে সতর্কতামূলক নিম্নোক্ত আমল গুলি করতে পারেনঃ-

আয়াতুল কুরসি অথবা সূরা আরাফ, সূরা ইউনুস, সূরা ত্বহা এর যাদু বিষয়ক আয়াতগুলো পড়বেন। এগুলোর সাথে সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে নিয়মিত নিজের শরীরে ফুক দিবেন। 
নিজের জন্য দোয়া করবেন।

বিশেষতঃ যে দুআটি রাসূলুল্লাহ ﷺ  থেকে সাব্যস্ত হয়েছে:
اللَّهُمَّ ربَّ النَّاسِ، أَذْهِب الْبَأسَ، واشْفِ، أَنْتَ الشَّافي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفاءً لاَ يُغَادِرُ سقَماً

(অর্থ- হে আল্লাহ! হে মানুষের প্রতিপালক! আপনি কষ্ট দূর করে দিন ও আরোগ্য দান করুন। (যেহেতু) আপনিই রোগ আরোগ্যকারী। আপনার আরোগ্য দান হচ্ছে প্রকৃত আরোগ্য দান। আপনি এমনভাবে রোগ নিরাময় করে দিন যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়।)

জিব্রাইল আ. নবী ﷺ-কে যে দোয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক করেছেন সেটাও পড়া যেতে পারে। 

সে দুআটি হচ্ছে-
بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ , مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنٍ أَوْ حَاسِدٍ , اللَّهُ يَشْفِيكَ بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ

(অর্থ- আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি। সকল কষ্টদায়ক বিষয় থেকে। প্রত্যেক আত্মা ও ঈর্ষাপরায়ণ চক্ষুর অনিষ্ট থেকে। আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য করুন। আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি।)

এই দোয়াটি তিনবার পড়ে ফুঁ দিবেন। 

সকাল সন্ধ্যা ও ঘুমানোর আগে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস তিনবার পড়ে শরীরে ফুঁ দিবেন।
,
আলেমগণ বলেছেন, এ দোয়াগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিতে হবে। এরপর যাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তি সে পানি পান করবে। আর অবশিষ্ট পানি দিয়ে প্রয়োজনমত একবার বা একাধিক বার গোসল করবে। তাহলে আল্লাহর ইচ্ছায় রোগী আরোগ্য লাভ করবে।

আরো জানুনঃ- 

আরো করনীয় জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...