আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (47 points)
আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
প্রশ্ন ০১


সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করলে কেমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিকিউরিটি সেবা দেওয়া যেতে পারে? এখানে বিভিন্নরকম অবস্থা থাকে। যেমন-
১. ব্যাংক।
২. ই কমার্স সাইট; যেখানে হালাল এবং হারাম পণ্য থাকবে। আবার ক্ষেত্রবিশেষে ভেজালও থাকতে পারে।
৩. ফেসবুক বা ইউটিউব ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া। যাদের ইনকাম আসে এড থেকে।
৪. ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যারা হয়তো সুদী লেনদেন করে থাকে।
তবে সবক্ষেত্রে আমাকে পেমেন্ট করা হবে আমার কাজের বিনিময়ে। আমি তাদের নির্দিষ্ট কাজগুলোতে জড়াচ্ছি না। শুধু তাদের সোশ্যাল একাউন্ট ইত্যাদির নিরাপত্তা দিচ্ছি। এখানে হালাল ও হারাম ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে দিতে অনুরোধ করছি।


প্রশ্ন ০২


কেউ সরকারি জমিতে ফসল চাষ করে খেলে সেটা কি হারাম হবে?
১. পাবলিক প্লেসে ফলের গাছ যদি কেউ লাগায়।
২. কোনো চাকরিজীবী নিজের অফিসের প্রাঙ্গণে ফসলের গাছ লাগালে; যদিও এটা তার মূল কাজ না। এবং যদি সরকারি কোনো খাত থেকে টাকা নিয়ে এমনটা করা হয়।


প্রশ্ন ০৩


ভিডিও এডিটর হিসেবে কি সংবাদ চ্যানেলগুলোতে কাজ করা উচিৎ? এখানে অসত্য সংবাদ প্রচার করা হতে পারে। আবার ভিডিও ফুটেজে বেপর্দা মহিলারা থাকে। কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হলে কাজ বেছে করার তেমন সুযোগ থাকে না।


প্রশ্নগুলো আমার এক ছোট ভাইয়ের।
জাঝা... কুমুল্লাহ খাইরন

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
গোনাহের কাজে সহযোগিতা করার সববে ক্বারিব এর হুকুম হল, বিক্রেতা বা ভাড়া প্রদাণকারীর উদ্দেশ্য যদি হয়, গোনাহের কাজে সগযোগিতা করা,তাহলে এটা গোনাহ এবং গোনাহের কাজে সরাসরি সহযোগিতা হওয়ার দরুণ স্পষ্টত নাজায়েয ও হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যদি তার নিয়ত ও উদ্দেশ্য গোনাহের কাজে সহযোগিতা করা না হয়, তাহলে সেটা দুই প্রকার হবে, যথা- 
(ক) যদি তার জানা না থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা জায়েয হিসেবে বিবেচিত হবে। 
(খ)যদি তার জানা থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা মাকরুহ  হিসেবে বিবেচিত হবে। 

অতঃপর এই মাকরুহ আবার দুই প্রকার যথা- 
(১) গোনাহ উক্ত জিনিষের মূলের সাথে সংযুক্ত হবে, কোনো প্রকার পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের প্রয়োজনিয়তা পড়বে না। তাহলে এমন জিনিষ বিক্রয় করা বা ভাড়া দেওয়া মাকরুহে তাহরীমি হবে।
(২) অথবা সামান্য কিছু সংযোজন ও সংবর্ধনের পরই তাকে গোনাহের কাজে ব্যবহার করা হবে, তাহলে এমতাবস্থায় সেটা মাকরুহে তানযিহি হিসেবে বিবেচিত হবে।

যদি কারো জানা না থাকে যে, ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে ব্যাংক তৈরী করবে, তাহলে সেটা জায়েয হবে। কিন্তু জানা থাকলে, মাকরুহে তানযিহি হবে। 
মাকরুহে তাহরিমী হবে না তানযিহি হবে?
যদি দেখা যায় মালিক বিল্ডিং তৈরীর সময় ব্যাংকের মত করেই তৈরী করেছে, তাহলে মাকরুহে তাহরিমী হবে।তবে যদি সে এমনভাবে তৈরী করে যে, উক্ত ঘরকে যেকোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে, তাহলে তখন তখন সেটা মাকরুহে তানযিহি হিসেবে বিবেচিত হবে। সেটা তাহরিমী হবে না তানযিহি হবে? সেটা নিয়ে অবশ্যই সংশয় রয়ে গেছে।(জাওয়াহিরুল ফিকহ-৭/৫১৩)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ব্যাংক, ই কমার্স সাইট ইত্যাদির সাইবার সিকিউরিটি মাকরুহে তানযিহি হিসেবে বিবেচিত হবে। এই কাজকে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।

(২) 
সরকারি জমিতে ফসল চাষ করে খেলে সেটা জায়েয হবে না। বরং হারাম হিসেবেই বিবেচিত হবে।
(১) পাবলিক প্লেস যা কারো মালিকানাধীন নয়, এমন স্থানে ফলের গাছ লাগানো হলে, সেই ফল ভক্ষণ করা যাবে।
(২) যদি কোনো চাকরিজীবী নিজের অফিসের প্রাঙ্গণে ফসলের গাছ লাগায়, তাহলে সেটাও সরকারি সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে।

(৩)
ভিডিও এডিটর হিসেবে চাকুরী করা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...