আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
reshown by
১. এক ব্যক্তি ছাদে,নিচে বা দোকানে গেলে পরিপাটি বা ম্যাচিং কাপড়ের কথা ভাবে না,(পর্দা সহিত) আলহামদুলিল্লাহ,কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে অপরিপাটি বা ম্যাচিং ছাড়া কাপড় পড়ে যেতে লজ্জা লাগে কিন্তু পরপুরুষকে আকর্ষিত করার কোন উদ্দেশ্য থাকে না,এটা কি পর্দার খেলাফ হবে?

২.শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকলে লজ্জাস্থানের সাদা স্রাব ধুয়ে সালাত আদায় করা অনেক কষ্টকর, সাদাস্রাব ধুতে গিয়ে বাথরুমের পানির ছিটা ভালো কাপড়ে লাগার সম্ভাবনা অনেক বেশি আবার কাপড় খুলে পরিষ্কার করতে গেলে শরীরে ছিটা লাগে, দীর্ঘ সময় সাদা স্রাব পানি দিয়ে ধুতে ধুতে একটা সময় আলহামদুলিল্লাহ বন্ধ হয় এবং পরবর্তী ওয়াক্তে বেশিরভাগ সময় আবার দেখা যায় তখন আবার দীর্ঘ সময় ধরে ধুতে হয়, এবং এভাবে আলহামদুলিল্লাহ ফরজ নামাজ আদায় করা যায়,এমতাবস্থায় সাদা স্রাব না ধুয়ে টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করে আবার টিস্যু দিয়ে মুখ আটকে রেখে সালাত আদায় করা যাবে কি? কিন্ত অনেক সময় নামাজে টিস্যু খুলে পড়ে যায়।

৩. আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্যার উনি আল্লাহর কুদরতে আলহামদুলিল্লাহ বিশ্বাস করে তবে উনি মাঝে মাঝে ক্লাসের ইসলাম বিদ্বেষী কথা বলে ফেলে উনি বলেছে যে উনি দুআতে বিশ্বাস করে না নাউজুবিল্লাহ সবই হচ্ছে মানুষের কর্ম এ অবস্থায় আমি কি করতে পারি?একটা খারাপ পরিবেশে থেকে যদি খারাপ কাজে বাধা না দেয়া তবে বাধা না দেয়া ব্যাক্তির অন্তর তাদের মত হয়ে যায় এটা কি সঠিক?

৪. অল্প সাদাস্রাব শুকিয়ে গিয়েছে এমন পায়জামা ভেজা গায়ে পরিধান করলে নামাজের আগে কি কোমর পর্যন্ত ধুতে হবে?

৫. তারাবির নামাজ কত রাকাত?

৬. আমার জিন জাদু বা কোন একটা সমস্যা আমার আছে আমি নামাজ পড়তে গেলেই বাধা লাগে ওযু ভেঙ্গে যায়,গ্যাস এর সমস্যার কারণে, এমন না যে এটা সারাদিন হতেই থাকে এটা নামাজের সময়ই হয় বারবার ওযু করতে হয় আর অজু করতে অনেক সময় লাগে, উল্লেখ্য যে ওযু ভেঙে যাওয়াটা আমার কোন সন্দেহ না, স্পষ্ট কেননা শব্দ এবং গন্ধ উভয় টাই নিশ্চিত অথবা না বা পেলেও আমি নিশ্চিত থাকি, উদাহরন দেই,একটা ধরনের , সাদা স্রাব পরিষ্কার করে এসে ওজু করে ওযু ভেঙে যায় আবার অজু করে আবার ভেঙ্গে যায়,নামাজের সময় বাথরুমে যাওয়ার দরকার পড়ে, এমন বাধা আমার মাঝে মাঝে হয়না,রেগুলার, মাঝে মাঝে নামাজের ভেতর সতর খুলে যায়, আবার নামাজেও ভুল হয়ে যায়, এটা শুধুমাত্র একটা ধরনের উদাহরণ দিলাম বারবার ধরন চেঞ্জ হয় যেমন কিছুদিন এমন হয়েছে যে ওযু করার পর বাম পা ধোয়ার সময় অজু ভেঙ্গে যাবে আবার কিছু সময় শুধু আসরের সময় ওযু ভাঙবে আবার কিছু সময় শুধু এশার সময় ভাঙবে ৩/৪ বার আর কিছু সময় রাতে ঘুমাতে লেট হয়ে যাবে অনেক চেষ্টা করে রাতে আগে ঘুমাতে পারি না, ঘরের কাজ করার সময় পাইনা অনেক সময় পর্যাপ্ত ঘুমের সময় পাই না,নামাজের প্রস্তুতি নিতে নিতে ওয়াক্তের শুরুতে নামাজ পড়তে গেলেও প্রস্তুতি নিতে নিতে ওয়াক্তের শেষে নামাজ পড়তে হয়, এ অবস্থায় কিভাবে আমি কিভাবে সালাত আদায় করতে পারি আমি ওয়াক্তের  শেষেই নামাজ পড়বো? আবার ওয়াক্ত চলে যাওয়ার ভয় থাকে, আর আমি আলহামদুলিল্লাহ রুকাইয়া করছি
by (6 points)
২. নং প্রশ্নে অনেক কষ্টকর লিখেছি এটা অনেক কষ্টকর না হলেও কষ্টকর, ইডিট করতে পারছি না
by (6 points)
১.১ নং প্রশ্ন টা তো বেপর্দা হয়ে ঘুরার বিষয়ে ছিল না,আমি উত্তর পাইনি

৬.এক্ষেত্রে ও আমি যথাযথ উত্তর পাইনি,আমি তো অনিশ্চিত অবস্থার কথা বলি নাই,আমি একবার ও বলি নাই সন্দেহ,একদম ই সন্দেহ না,স্পষ্ট,আমি তো লিখে দিয়েছি শব্দ এবং গন্ধ নিশ্চিত,এটা না থাকলেও আমি নিশ্চিত থাকি,নিশ্চিত অবস্থায় কিভাবে সালাত আদায় করবো আমাকে জানান,প্রস্তুতি নিতে নিতে ওয়াক্তের শেষ পর্যায়ে চলে আসে,আমি কি শেষ পর্যায়ে ই সালাত পড়বো?এটা ছিল আমার প্রশ্ন

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم :«صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا : قَومٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ البَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ، وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلاَتٌ مَائِلاَتٌ، رُؤُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ البُخْتِ المائِلَةِ لاَ يَدْخُلْنَ الجَنَّةَ، وَلاَ يَجِدْنَ رِيحَهَا، وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكذَا». رواه مسلم

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘দুই প্রকার জাহান্নামী লোক আমি [এখন পর্যন্ত] প্রত্যক্ষ করিনি [অর্থাৎ পরে তাদের আবির্ভাব ঘটবে]:  এমন এক সম্প্রদায় যাদের কাছে গরুর লেজের মত চাবুক থাকবে, যা দিয়ে তারা জনগণকে প্রহার করবে।  এমন এক শ্রেণীর মহিলা, যারা [এমন নগ্ন] পোশাক পরবে যে, [বাস্তবে] উলঙ্গ থাকবে, [পর পুরুষকে] নিজেদের প্রতি আকর্ষণ করবে ও নিজেরাও [পর পুরুষের প্রতি] আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথা হবে উটের হেলে যাওয়া কুজের মত। এ ধরনের মহিলারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং তার সুগন্ধও পাবে না। অথচ জান্নাতের সুগন্ধ এত এত দূরত্বের পথ থেকে পাওয়া যাবে।’’
(মুসলিম ২১২৮, সহীহাহ্ ১৩২৬, সহীহ আল জামি‘ ৩৭৯৯, সহীহ আত্ তারগীব ২০৪৪।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
পরপুরুষ আকৃষ্ট হবে,এমন কোনো পোশাক পরে পর পুরুষ এর সামনে যাওয়া পর্দার খেলাফ।
সুতরাং পরপুরুষদের মাঝে আকর্ষন সৃষ্টি হয়,এমন কোনো পোশাক পরে পর পুরুষ এর সামনে যাওয়া জায়েজ নেই।
এতে গুনাহ হবে।

(০২)
আপনি মা'যুর না হলে এভাবে নামাজ আদায় করা জায়েজ হবেনা।

আপনি মা'যুর কিনা? এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
এটা সঠিক নয়।
আপনি নিজ আকীদা বিশুদ্ধ রাখবেন।
স্যারকে কিছুই বুঝাতে হবেনা।
স্যার এধরণের আলোচনা করলে মনে প্রানে তাহা ঘৃণা করবেন।

(০৪)
এক্ষেত্রে শরীরের যেখানে যেখানে সাদা স্রাব লেগেছে,সে সে স্থান ধোয়া লাগবে।
বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে লজ্জাস্থান হতে থেকে পা পর্যন্ত ধুয়ে নিবেন।

কোমড়ে লাগার যেহেতু সম্ভাবনা নেই,তাই কোমড় ধোয়া আবশ্যক নয়।

(০৫)
২০ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৬)
আপনার মধ্যে ওয়াসওয়াসার রোগও আছে।
অযু ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে নামাজ চালিয়ে যাবেন।

নামাজের মাঝে অযু ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হলে পাক হয়ে এসে যেখানে নামাজ ছেড়ে গিয়েছিলেন, সেখান থেকেই আদায় করবেন।
অযু করতে যাওয়া আসার ক্ষেত্রে কোনো কথাবার্তা বলবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...