আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকা-তুহ.

মুখমন্ডলে আঘাত করার বিষয়ে জানতে চাই। আমি শুনেছি, কোনো নিপীড়ক কে যদি মুখ দিয়ে কথা বলার দ্বারা জুলুম বন্ধ করা যায় তাহলে আঘাত করা বৈধ নয়। যদি হাত দিয়ে আঘাত করে জুলুম বন্ধ করা যায় তাহলে লাঠি দিয়ে আঘাত বৈধ নয়।

এখন প্রশ্ন,

১, যখন কোনো আক্রমণ কারী আঘাত করবে তখন কি এতকিছু মাথায় থাকবে? বরং আক্রমণকারী অধিক শক্তিশালী ও প্রভাবশালী হলে তাকে কিছুটা বেশি আঘাত করতে হবে কারণ পরে আমার থেকে মুক্ত হয়ে পরবর্তী সময়ে আমাকে আবার আঘাত করবে।



কোনো ছিনতাইকারী বা ধর্ষক যদি এমন ভাবে আক্রমণ করে তার থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে মুখে আঘাত করতে হবে,সেক্ষেত্রে করা যাবে কি?

৩,

কেউ যদি আমার মুখে আঘাত করে প্রতিশোধ স্বরুপ আমি তাকে মুখে আঘাত করতে পারব কি?



আমার মা মেয়ে স্ত্রী বোন কে যদি কেউ ইভটিজিং বা মৌখিক ভাবে হ্যারাস করে আমি তাকে আঘাত করলে কি আমার পাপ হবে?

৫,কোনো সাবালক ছাত্রের যদি বাবা মার সাথে চুক্তি থাকে দেড় ঘন্টা করে পড়াতে হবে।কিন্তু ছাত্র এক ঘন্টার বেশি পড়েনা। তাহলে কি শিক্ষক এক ঘন্টা পড়ায়ে চুক্তি অনুযায়ী টাকা নিলে তা হারাম হবে?

৬,

কারো সাথে কোনো কাজ করার মৌখিক অথবা লিখিত ভাবে চুক্তি থাকে কিন্তু সে মত কাজ যদি না করা হয় একটু কম সম করা হয় আর যার সাথে চুক্তি সে দেখেও না দেখার ভান করে অথবা এতে আপত্তি জানায় না তাহলে চুক্তি অনুযায়ী পুরা পারিশ্রমিক নিলে কি তা হারাম হবে

৭,আমার এক ছাত্রকে পড়াই তার সাথে পড়াতে ধর্ম,রাজনীতি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে গল্প হয়। এইগল্পের জন্য যেটুক সময় নষ্ট হয় তার কি অতিরিক্ত পড়িয়ে দিতে হবে? নাকি ছাত্র শিক্ষকের মাঝে এরকম গল্প স্বাভাবিক যদিনা বেশি হয়।উল্লেখ্য ছাত্রকে পড়ানোর ক্ষেত্রে ছাত্রের মায়ের সাথে চুক্তিবদ্ধ আমি।

৮, বাড়িওয়াকার ৩টা ওয়াইফাই আছে ৩ নাম্বারটায় কানেকশান নেয়ার অনুমতি নাই।কিন্ত্য বাকি দুটায় বাসা ভাড়া নেয়ার সময় যে স্পিড ছিল তা নেই। তাই বাড়ি ওয়ালার অজান্তে ৩ নং কানেকশান নেয়্ব যাভে?
১০,যদি কোনো জিনিস প্রয়োজনীয় হয় কিন্তু মালিক কে বলা সম্ভবনা এখন বা সমস্য হবে আমি চাই যখন এই জায়গা ছেড়ে দিব তখন মালিকের থেকে ক্ষমা নেব অথবা কিছু টাকা দিয়ে দিব,আপাতত ব্যবহার করি।এটা কি জায়িজ হবে

১১,অনুমতি ব্যতিত ওয়াইফাই ব্যবহার করলে কি তা হারাম রিজিকের মধহে পড়বে যার দরুন দুয়া কবুল হবেনা? যেমন চুরি করে বিদ্যুৎ বা গ্যাসের চুলা ব্যবহার করলে দুয়া কবুল হবেনা হারাম অর্জন হল তাই

1 Answer

0 votes
by (677,400 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اِنۡ عَاقَبۡتُمۡ فَعَاقِبُوۡا بِمِثۡلِ مَا عُوۡقِبۡتُمۡ بِهٖ ؕ وَ لَئِنۡ صَبَرۡتُمۡ لَهُوَ خَیۡرٌ لِّلصّٰبِرِیۡنَ

‘আর যদি কাউকে তোমরা শাস্তি দাও, তবে ততখানি শাস্তি দেবে যতখানি অন্যায় তোমাদের প্রতি করা হয়েছে। আর যদি সবর করো তাহলে তা তার জন্যই উত্তম।’ (সুরা নাহল : আয়াত ১২৬)

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা প্রতিশোধের কথা যেমন বলেছেন, তেমনি সবর তথা ধৈর্যধারণ করার কথাও উল্লেখ করেছেন। ইসলামে উভয়টি জায়েয আর প্রতিশোধ নেওয়ার থেকে সবর অবলম্বন করা উত্তম।

প্রতিশোধ গ্রহণআল্লাহর পথে দাওয়াত দানকারীদের আইনগত অধিকার দেওয়া হয়েছে যে, যারা নির্যাতন চালায়, তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করা বৈধ, কিন্তু শর্ত হলো- প্রতিশোধ গ্রহণের ক্ষেত্রে নির্যাতনের সীমা অতিক্রম করা যাবে না। যতটুকু জুলুম প্রতিপক্ষের তরফ থেকে করা হয়, প্রতিশোধ ততটুকুই গ্রহণ করতে হবে; বেশি হতে পারবে না। 

ইসলামে প্রতিশোধ গ্রহণ জায়েয তবে সবরে রয়েছে সর্বোত্তম কল্যাণ।  তবে প্রতিশোধের ক্ষেত্রে অবশ্যই জুলুমের মাত্রাকে ছাড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এটাই ইসলামের চূড়ান্ত ঘোষণা।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রতিশোধ গ্রহণের ক্ষেত্রে নির্যাতনের সীমা অতিক্রম করা যাবে না। যতটুকু জুলুম প্রতিপক্ষের তরফ থেকে করা হয়, প্রতিশোধ ততটুকুই গ্রহণ করতে হবে; বেশি হতে পারবে না। 

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আক্রমণকারীকে বেশি আঘাত করাও জায়েজ হবেনা।

(০২)
এমতাবস্থায় কঠিন পরিস্থিতিতে জালেমের চেহারায় আঘাত করলে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন,ইনশাআল্লাহ। 

(০৩)
হ্যাঁ, এমনটি করা যাবে।
তবে এক্ষেত্রে আইনের দারস্ত হওয়ার পরামর্শ থাকবে। 

(০৪)
আইন হাতে তুলে নেয়া যাবেনা।
এক্ষেত্রে আইনের দারস্ত হওয়ার পরামর্শ থাকবে। 

(০৫)
এক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে তার বাবা মার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
আলোচনা করে নেয়ার পর তারা যদি এমতাবস্থাতেও পূর্ণ বেতন দেয়,সেক্ষেত্রে তাহা গ্রহন করতে কোনো সমস্যা নেই।

(০৬)
চুক্তি অনুপাতে কাজ না হলে সেক্ষেত্রে পূর্ণ পারিশ্রমিক গ্রহন হালাল হবেনা।
তবে মালিক যদি বিষয়টি দেখার পরেও সন্তুষ্টি চিত্তে পূর্ণ পারিশ্রমিক দেয়,তাহলে তাহা গ্রহন করতে সমস্যা নেই।

(০৭)
অতিরিক্ত সময় পড়িয়ে দিতে হবেনা।
তবে সেদিনের পড়া সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়া অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলা যাবেনা। 

(০৮)
না,নেয়া যাবেনা।
তাকে জানিয়েই নিতে হবে।

(১০)
এটা জায়েজ হবেনা।

(১১)
না,এটা হারাম রিজিকের মধ্যে পড়বেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...