আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আমি দেশে রিজিকের জন্য বেশ কয়েকভাবে চেষ্টা করেছি।

ব্যবসায় ৩ বার নেমেছি। কিন্তু ৩ বারই ব্যার্থ।

আমার উপর আমার ফ্যামিলি এক ধরনের বিরক্ত।

জব নিয়েছি সেখানেও বেশ কিছু সমস্যা ফেইস করছি+ যে টাকা পাই তাতে ফ্যামিলি সন্তুষ্ট নয়।বিশেষকরে আমার বাবা।

এই নিয়ে আমার আহালিয়াকে বেশ কথা শোনায়।বিষয়গুলো অনেক খারাপ লাগে।

ফ্যামিলি চায় আমি বাহিরে চলে যাই।আমিও তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সৌদি যাবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।নিয়ত ছিল হজ্ব ও করে আসবো আল্লাহ চাইলে।পরিবার চায় আমি ইউরোপ যাই।

বেলারুশে।যেটা পোল্যান্ডের পাশে অবস্থিত।
আমার ওখানে যেতে ভয় হয়।

ইমান+আমল নিয়ে।

আমি এখন সৌদি গেলে ফ্যামিলির বিরুদ্ধে গিয়ে যেতে হবে।এবং সেখানে গিয়ে কোন সমস্যা হলে বা কাজ পেলে সেটার দায়বার কেবল আমারই।।।

আমি বিবিএ শেষ করেছিলাম।আমার মন চায় আমি গ্রামে গিয়ে গরু লালন পালন করি+কৃষি কাজ করি।

এইটাতে আমার পরিবার আমাকে সাপোর্ট দেয় না।এবং আর্থিকভাবেও সাপোর্ট দিবে না।

উনাদের কথা হচ্ছে বিদেশ গেলে টাকা দিবে আর সরকারি চাকরি নিলে টাকা দিবে।।

এই পরিস্থিতিতে আমার করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (677,640 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

কুফফার রাষ্ট্রে চাকুরী বা লেখাপড়ার জন্য যেতে হলে অবশ্যই দুটো প্রধান শর্ত মেনে চলতে হবে।

প্রথম শর্ত: বসবাসকারীকে স্বীয় দ্বীনের ব্যাপারে আশঙ্কামুক্ত হতে হবে। অর্থাৎ তার এমন ‘ইলম, ঈমান ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে, যা তাকে দ্বীনের ওপর অটল থাকার মতো এবং বক্রতা ও বিপথগামিতা থেকে বেঁচে থাকার মতো আত্মবিশ্বাসের জোগান দেয়। আর কাফিরদের প্রতি তার অন্তরে শত্রুতা ও বিদ্বেষ থাকতে হবে। অনুরূপভাবে কাফিরদের সাথে মিত্রতা ও তাদের প্রতি ভালোবাসা থেকে তাকে দূরে থাকতে হবে। কেননা তাদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করা এবং তাদেরকে ভালোবাসা ঈমানের পরিপন্থি।
সমস্ত প্রকার অন্যায় অশ্লীল কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।
মহান আল্লাহ বলেছেন,

 لَا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَوْ كَانُوا آبَاءَهُمْ أَوْ أَبْنَاءَهُمْ أَوْ إِخْوَانَهُمْ أَوْ عَشِيرَتَهُمْ 

“তুমি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী এমন কোনো জাতিকে পাবে না, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল বিরোধীদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে; যদিও তারা তাদের পিতা, অথবা পুত্র, অথবা ভাই, কিংবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়।” [সূরাহ মুজাদালাহ: ২২]

দ্বিতীয় শর্ত: নিজের দ্বীনকে প্রকাশ করার মতো সক্ষমতা থাকতে হবে। অর্থাৎ, বসবাসকারী ব্যক্তি কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ইসলামের নিদর্শনাবলি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবেন। নামাজ, জুমু‘আহ ও জামা‘আত—যদি তার সাথে জামা‘আতে নামাজ ও জুমু‘আহ প্রতিষ্ঠা করার মতো কেউ থেকে থাকেন—প্রতিষ্ঠা করতে বাধাগ্রস্ত হবেন না। অনুরূপভাবে জাকাত, রোজা, হজ ও অন্যান্য শার‘ঈ নিদর্শন প্রতিষ্ঠা করতে বাধাগ্রস্ত হবেন না। যদি এসব কাজ করার সক্ষমতা না থাকে, তাহলে তখন হিজরত ওয়াজিব হয়ে যাওয়ার কারণে সেখানে বসবাস করা জায়েজ হবে না।

বিস্তারিত জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
উপরোক্ত শর্তাবলী পুরোপুরি ভাবে মানতে পারলে আপনি ইউরোপের দেশে গিয়ে হালাল চাকরি করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে সরকারী চাকুরীর জন্য দেশে থেকেও আপনি চেষ্টা করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...