আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
46 views
in সালাত(Prayer) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।

১. আমি শুনেছিলাম, সূরা ইখলাস ১০ বার পড়লে জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ হয়৷ এটা কি সঠিক নাকি বিদায়াত?

২. জুমাবারে সূরা কাহাফ আমলের যে ফজিলত পাওয়া যায় সেটি কি শুধু সূরা কাহাফের প্রথম ও শেষ ১০ আয়াত পড়লেও পাওয়া যায়?

৩. রোজার মধ্যে ফরজ ইবাদত ব্যতীত আর কি কি অতিরিক্ত আমল করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
আপনি যাহা শুনেছেন,সেটি সঠিক।
হাদীস দ্বারা প্রমাণিত, আলহামদুলিল্লাহ। 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، حَدَّثَنَا زَبَّانَ بْنِ فَائِدٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ الْجُهَنِيِّ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ قَرَأَ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ حَتَّى يَخْتِمَهَا عَشْرَ مَرَّاتٍ بَنَى اللَّهُ لَهُ قَصْرًا فِي الْجَنَّةِ» فَقَالَ عُمَرُ: إِذًا نَسْتَكْثِرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُ أَكْثَرُ وَأَطْيَبُ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.

وَرَوَاهُ أَبُو مُحَمَّدٍ الدَّارِمِيُّ فِي مُسْنَدِهِ فَقَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عُقَيْلٍ زَهْرَةُ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ الدَّارِمَيُّ: وَكَانَ مِنَ الْأَبْدَالِ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ: أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ قَرَأَ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ عَشْرَ مَرَّاتٍ بَنَى اللَّهُ لَهُ قَصْرًا فِي الْجَنَّةِ، وَمَنْ قَرَأَهَا.

রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি দশবার সূরা ইখলাছ পাঠ করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি গৃহ নির্মাণ করবেন’ (আহমাদ, সিলসিলা ছহীহা, হা/৫৮৯; ছহীহুল জামে‘, হা/৬৪৭২)।

(০২)
না,পাওয়া যাবেনা।

আরো জানুনঃ- 

তবে সুরা কাহাফ এর শেষ দশ আয়াত পাঠের আলাদা ফজিলত আছে,সেটা পাওয়া যাবে।

সে সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত বা শেষ দশ আয়াত পাঠ করবে তাকে দাজ্জালের ফিৎনা থেকে নিরাপদ রাখা হবে’ (মুসলিম হা/৮০৯; আহমাদ হা/২৭৫৫৬)।

(০৩)
রমজান মাসই হলো বেশি বেশি ইবাদতের মাস। মুমিনের ইবাদতের সিজন বলা হয়েছে এ মাসকে। 

তাই ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি বেশি বেসি নফল ইবাদত করতে হবে।
তাহাজ্জুদ পড়তে হবে,তারাবিহ পড়তে হবে,বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে। যিকির আযকার করতে হবে।

এ সংক্রান্ত রুটিন জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...