আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
52 views
in সাওম (Fasting) by (5 points)

আসসালামু আলাইকুম। 
মুহতারাম,
কোন এক ব্যক্তি একটি কঠিন পরিশ্রমের কাজ করেন। রমজানে রোযা রেখেই তিনি কাজ শুরু করেন।কিন্তু কোন কোন দিন অতিপরিশ্রমের কারণে রোজা  ভেঙ্গে  ফেলতে বাধ্য হন। পরে সেটা   রমজানের পর কাযা  করেন। তার কর্মস্থলের দূরত্ব ২০০ কি.মি. এর বেশি। 

প্রশ্ন- ০১।তিনি যদি এভাবে নিয়ত করেন- তিনি কর্মস্থলে ১৪ দিনের বেশি না  থেকে  বাড়ি ফিরে আসবেন।তারপর আবার কর্মস্থলে যাবেন। তাহলে তো তিনি মুসাফির। এ সুরুতে  তিনি কর্মস্থলে রোজা না রেখে পরে কাজা করে নিবেন।এভাবে তিনি করতে পারেন কি না?
প্রশ্ন-২। মুসাফির অবস্থায় রোজা শুরু করার পর তা ভেঙ্গে ফেলে যায় না। তাহলে মুসাফির অবস্থায় রোজা না রাখতে চাইলে কোন পদ্ধতিতে রোজা ছাড়বেন? 

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কর্মস্থলের দূরত্ব যদি ২০০ কি.মি. এর বেশি হয়, তিনি যদি এভাবে নিয়ত করেন যে- তিনি কর্মস্থলে ১৪ দিনের বেশি না থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। তারপর আবার কর্মস্থলে যান। তাহলে তিনি মুসাফির হিসেবেই গণ্য হবেন। এমতাবস্থায় কর্মস্থলে রোজা না রেখে পরে কাজা করে নেওয়ার রুখসত থাকবে। অথবা রোযা রেখে নিলেও ভঙ্গ করার রুখসত থাকবে।


(২)
যে দিন সফর শুরু হবে, সেদিন সুবহে সাদিকের সময় কেউ সফল শুরু না করলে ঐ ব্যক্তির জন্য রোযা রাখা আবশ্যক হয়ে যার, তথা মুকিম অবস্থা অবস্থায় রোজা শুরু করলে, সেই রোযাকে ভঙ্গ করা যাবে না। তবে যদি কেউ মুসাফির অবস্থায় রোযা রাখে, তথা সুবহে সাদিকের সময় সে বব্যক্তি মুসাফির থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি প্রয়োজনে রোযাকে ভঙ্গ করতে পারবে। 
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 431)
"ولو نوى مسافر الفطر) أو لم ينو (فأقام ونوى الصوم في وقتها) قبل الزوال (صح) مطلقاً، (ويجب عليه) الصوم (لو) كان (في رمضان)؛ لزوال المرخص (كما يجب على مقيم إتمام) صوم (يوم منه) أي رمضان (سافر فيه) أي في ذلك اليوم، (و) لكن (لا كفارة عليه لو أفطر فيهما) للشبهة في أوله وآخره.
(قوله: ويجب عليه الصوم) أي إنشاؤه حيث صح منه بأن كان في وقت النية ولم يوجد ما ينافيه، وإلا وجب عليه الإمساك كحائض طهرت ومجنون أفاق كما مر، (قوله: كما يجب على مقيم إلخ) لما قدمناه أول الفصل أن السفر لا يبيح الفطر، وإنما يبيح عدم الشروع في الصوم، فلو سافر بعد الفجر لايحل الفطر".
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 431):
"قال في البحر: وكذا لو نوى المسافر الصوم ليلاً وأصبح من غير أن ينقض عزيمته قبل الفجر ثم أصبح صائماً لايحل فطره في ذلك اليوم، ولو أفطر لا كفارة عليه. اهـ.قلت: وكذا لا كفارة عليه بالأولى لو نوى نهاراً، فقوله: ليلاً غير قيد".
الفتاوى الهندية (1/ 206):
" (منها: السفر) الذي يبيح الفطر وهو ليس بعذر في اليوم الذي أنشأ السفر فيه، كذا في الغياثية. فلو سافر نهاراً لايباح له الفطر في ذلك اليوم، وإن أفطر لا كفارة عليه بخلاف ما لو أفطر ثم سافر، كذا في محيط السرخسي". فقط واللہ اعلم


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 281 views
0 votes
1 answer 259 views
0 votes
1 answer 49 views
0 votes
1 answer 86 views
0 votes
1 answer 148 views
...