আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামুয়াাইকুম মুফতী ইমাদুল হুজুর,

আমি সাদ্দাম ( ভারত) । আপনার দয়ালু মন ও মানবিকতার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো সারাজীবন। যে আমার মত মানুষ কে যে ভাবে আপনি সাহায্য করেছেন তা একমাত্র একমাত্র আপনার মত দীনদার মানুষের পক্ষে সম্ভব।

প্রিয় আমার শায়েখ আমাকে শেষ একটিবার জবাব দিয়ে সাহায্য করেন । আমি কৃতজ্ঞ থাকবো।

কিছুদিন আগে একটা প্রশ্ন করা হয়েছিল নিচের এই দুটি বাক্য বিয়ের আগের বাক্য কিন্তু আমি জানতে চেয়েছিলাম বাক্য টা শর্ত তালাকের বাক্য কিনা সেই জন্য "বিয়ের পূর্বে" উক্ত কথাটা বাক্যটির আগে যোগ করা হয়নি জাস্ট নরমালি বাক্য টা লিখে জানতে চেয়েছিলাম ( কিন্তু বিয়ের আগের ঘটনা) বাক্যটা নিচে দিলাম:-

"অমুক কাজ করলে ডিভোর্স খাবা "

" অমুক কাজ করলে ডিভোর্স খাবে"

বিয়ের পর এমন কোনো বাক্য বলিনি।

১. যেহেতু *বিয়ের পূর্বে *কথাটা যুক্ত করে বাক্য টা লিখিনি তাই এখন মনে না না রকমের ভাবনা হয় এই বাক্য কে নিয়ে (এখন আমি বিবাহিত) এর জন্য কি এখনকার বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা বা সর্ত তালাক হবে? আসলে এটা বিয়ের আগের ঘটনা।


প্রশ্নটা করা হয়েছিল তার লিঙ্ক:

* https://ifatwa.info/84061/

* https://ifatwa.info/84079/

২. শায়েখ বিয়ের অনেক দিন আগের ঘটনা যখন , আমি এই বাক্য বলেছি কিনা , সঠিক মনে পড়ছে না । আর বাক্য টা এমনি যদি বলা হয়ে থাকে মনে হয় বিয়ে কে নিসবত করেই বলা হয়েছে কারণ বাক্যের ধরন ও আমার আগেও ভাবনা একই ছিল। বেশির ভাগ মনে হচ্ছে বলেছি, দিয়ে মনে পড়ছেনা কোন কাজ করলে এমন বাক্য বলেছি সেইটা মনে পড়ছেনা তিন চার টা কাজ এর কথা মনে হচ্চে। কয়েক দিন থেকে পার্টিকুলার একটা কাজকে মনে হচ্ছে আবার মনে হচ্ছে আসলে কি বাক্য বলেছি টা নিয়ে কনফ্রম হলেও ভাবতে গেলে সন্দেহ হচ্ছে। আসলে একদিন অনেক পুরনো কথা মনে করতে করতে এই বাক্যটা মনে মনে উদ্ভব হয় জানিনা কিভাবে উদ্ভব হলো অনেক কথা ভাবতে ভাবতে এমন ভাবনার সৃষ্টি হলো। তখন থেকে মনে হয় হয়ত এইটা বলেছি অমুক ঘরে শুয়ে শুয়ে । কিন্তু ভয় এ মন এ মানতে চাইছে না। মনে হচ্ছে ভবিষ্যৎ সূচক বাক্য বলেছি। আসলে আমি অনেক কথাই ভবিষ্যৎ সূচক বাক্যে বলেছি । আর এই বিষয় টা আমি ঠিক কি করবো বুঝতে পারছিনা। কখনো মনে হচ্ছে বলেছি কখনো মনে হচ্ছে না হয়ত বলিনি। আর বললে নির্দিষ্ট ভাবে স্পষ্ট ভেবে মনে পড়ছেনা। কিছুটা স্মৃতি চরণ কল্পনা ও বিশ্বাস করে মনে হচ্ছে কিন্তু নির্দিষ্ট ভাবে কনফ্রম হয়ে পারছিনা।

বাক্যটা যদি বলা হয়েথাকে মাঝে মাঝে সিওর হলেও বেশি যখনই ভাবছি তখনই একটু সন্দেহের সৃষ্টি হচ্ছে। এমন অবস্থায় আমি কি করবো আমাকে খুব পেরেশানিতে ফেলেছে। মনে হচ্ছে বলেছি কিন্তু নিজেকে বিশ্বাস এর সাতে মানিয়ে নিতে ভয় হচ্ছে। ও দ্বিধা হচ্ছে আবার মনে হচ্ছে বলেছি। মনে মনে এমন হচ্ছে ইচ্ছাকৃত ভাবে সন্দেহ করছি , নিজেকে গুনহাগার মনে হচ্ছে।

আমাকে চিন্তা মুক্ত করুন শায়েখ।

এক্ষেত্রে কি শর্ত তালাক হবে??

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জবাব
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...