ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সহবাসের পর ফরয গোসলের পরবর্তী স্ত্রীর লজ্জস্থান থেকে পুরুষের বীর্য বের হলে, তখন দ্বিতীয়বার আর গোসল ফরয হবে না। বরং তখন শুধুমাত্র অজু করে নিলেই যথেষ্ট হবে। কিন্তু স্ত্রীর লজ্জাস্থান থেকে স্ত্রীর বীর্য বের হলে, তখন বিষয়টা ব্যাখ্যাসাপেক্ষ্য, যদি স্ত্রী গোসলের পূর্বে ইস্তেঞ্জা করে নেয়, বা শয়ন করে ফেলে, অথবা চলাফেরা করার পরই ফরয গোসল করে, এবং এমতাবস্থায় স্ত্রীর বীর্য বের হয়, তাহলে এতেও গোসল ফরয হবে না। তবে যদি স্ত্রী সহবাসের সাথে সাথেই গোসল করে নেয়, ইস্তেঞ্জা ইত্যাদি না করে, তাহলে স্ত্রীকে দ্বিতীয়বার আবার ফরয গোসল করতে হবে।
لما في الفتاوی الهندیة :
"لو اغتسل من الجنابة قبل أن يبول أو ينام وصلى ثم خرج بقية المني فعليه أن يغتسل۔۔۔إذا اغتسلت بعد ما جامعها زوجها ثم خرج منها مني الزوج فعليها الوضوء دون الغسل".
(کتاب الطھارۃ،14/1،رشیدیہ)
وفي البحر الرائق :
"فلو خرج بقية المني بعد البول أو النوم أو المشي لا يجب الغسل إجماعا؛ لأنه مذي وليس بمني؛ لأن البول والنوم والمشي يقطع مادة الشهوة ".
(کتاب الطھارۃ،58/1،دار الكتاب الإسلامي)
(২)
হায়েয অবস্থায় সহবাস করা কবিরা গোনাহ। এর জন্য স্বামী স্ত্রী উভয়কেই তাওবাহ ইস্তেগফার করতে হবে। মুস্তাহাব হল, এক দিনার তথা ৪.৩৭৪গ্রাম স্বর্ণ বা তার, অর্ধেক সদকাহ করা। স্বামী স্ত্রী উভয় সামর্থবান হলে, উভয়কেই এই সদকাহ করা মুস্তাহাব। সামর্থ্য না থাকলে তখন মুস্তাহাব হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/13832