আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১/আমি সম্প্রতি  অনেক সমস্যায় আছি। আমার আব্বুর ইনকাম নিয়ে আমি অনেক সন্দেহে আছি।এর আগে প্রশ্ন করা হলেও সম্পূর্ণ বিষয়টি খুলে বলা হয়নি। আব্বু মূলত প্রবাসে চাইনিজ হোটেলে চাকরি করেন। সেখানে অনেক হারাম খাবার পরিবেশন করা হয়। তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেছেন যে তিনি 1)কাস্টমারদের মালপত্র বোঝাই,2)হোটেল পরিদর্শন,3)গেস্টদের  ওয়েলকাম করা ইত্যাদি কাজ করে থাকেন। তিনি হারাম খাবার পরিবেশন করেন কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহে ছিলাম। এই বিষয়টা নিয়ে যেহেতু অনেক ঝামেলা হয়েছিল তাই আমি আমার আপুকে দিয়ে  আব্বুকে জিজ্ঞেস করায় যে তিনি কি কাজ করেন ওই হোটেলে। তিনি পুনরায় ঐ কাজসমূহের কথা বলেন।তবে তিনি কাস্টমাররা কি খায় সে বিষয়ে জানেন অনেকটা।আমার আবারও সন্দেহ হয়। আমার ভাইয়া বলেন যে তিনি যেহেতু ওই হোটেলে  অনেক দিন ধরে কাজ করেছেন, সে সুবাদে তিনি এগুলো জানতে পারে। আমার আসলে এখন কি করনীয় ? আমি বুঝতে পারছিনা আমার আব্বু টাকা হারাম নাকি হালাল? দয়া করে এই বিষয়টি জানাবেন।ইবাদতে শান্তি পাচ্ছিনা মনে হচ্ছে যেন আমি হারাম টাকায় খাবার খাচ্ছি । উল্লেখ্,  যে আমার কিছুটা সন্দেহ রোগ আছে।
২/সম্প্রতি মামার বাসা থেকে ইফতারি পাঠানো হয়েছে।মামা সম্ভবত  মূলত রড কোম্পানিতে চাকরি করেন। তবে তিনি কি হিসেবে চাকরিরত আছেন সেটা আমি জানি না।বিস্তারিত জানা সম্ভব না। তবে অনেক পরিশ্রমের কাজ এবং ছুটিও কম।আমাদের পরিবার হতে কোন কিছু বলা হয়নি ইফতারি পাঠানোর জন্য।হয়তো তিনি  সামাজিক দায়বদ্ধতা  থেকে পাঠিয়েছেন,আমার সন্দেহ। এখন ইফতারি গ্রহণ করা যাবে কি?

৩/আমার এক আত্মীয় ছেলেদের কাপড়ের ব্যবসা করেন।তিনি মূলত সবার  সাথে অনেক মিষ্টি করে কথা বলেন।আমার জানা আছে যে তিনি কাস্টমারদের সাথেও সুন্দর করে বা মিষ্টি করে কথা বলেন এবং ব্যবসাতে অনেক লাভ করেন। যেমন ৩০০ টাকার কেনা মাল ৭০০ টাকায় বিক্রি করেন।তার টাকা কি হালাল হবে?
৪/আব্বু আগে বোরকার দোকানে ব্যবসা করতো।যতটুকু মন আছে বেশিরভাগই কালো বোরকা।কিছু বোরকা ছিল যেখানে পুতি  বসানো আর  কিছু  বোরকা ছিল  যার  মধ্যে কিছুটা  কাজ করা  থাকতে পারে।তবে বেশিরভাগ বোরখাই আবায়া ছিল।টাকা কি হালাল ছিল?

৫/কেউ যদি ফুটপাতে ভ্যান করে কাপড়ের ব্যবসা করে সরকারি  অনুমতি ছাড়া, তাহলে কি তার ইনকাম হারাম হবে?

৬/কেউ যদি বোরকায় পাথর বসানোর কাজ করে থাকে, তার ইনকাম কি হারাম?
৭/আমার পরিবার খুব সম্ভবত শরিয়া সম্মত ভাবে কাপড় ধৌত করে না।এখন আমি যদি ভেজা পাক কাপড় রশিতে শুকাতে দিই,তাতে তাদের ধোয়া ভেজা  কাপড় হতে ফোটা ফোটা পানি আমার কাপড়ে লাগে,আমার কাপড় নাপাক হবে কি?

৮/নিউ ইয়ার উপলক্ষে বোনাস বেতন দেওয়া হলে, তা দিয়ে কেনা মোবাইল যদি প্রয়োজনীয়  ফতোয়া জানতে ব্যবহার করা হয়, উক্ত ব্যক্তির কি ইবাদত কবুল হবে?
by (4 points)
৪/**সংশোধন :বোরকাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ কালো বোরকা এবং আবায়া হলেও সেখানে পুতি,এমব্রয়ডারি কাজ থাকতে পারে।।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আপনারা আপনাদের বাবার কথাকেই বিশ্বাস করবেন। বাবার কথাকে বিশ্বাস করে নিলে পরবর্তীতে যদি দেখা যায় যে, আপনার বাবার ইনকাম হারামই ছিলো, বাবা আপনাদের সাথে মিথ্যা বলেছেন, তাহলে প্রথমে যেহেতু আপনারা তত্ব তালাশ নিয়েছেন, তাই আপনাদের জীবনাতিপাত হারাম হবে না।গোনাহ বাবার হবে, আপনাদের না। তাছাড়া সকল বয়সের মেয়ে এবং নাবলক ছেলের জন্য বাবার হারাম।ইনকাম থেকে গ্রহণ করারও সুযোগ রয়েছে। বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/2362

(২)
মামার ইনকাম সম্পর্কে যেহেতু আপনারা হারাম কিছু জানেননা, তাই আপনারা মামার ইফতারিকে গ্রহণ করতে পারবেন।

(৩)
জ্বী, হালাল হবে। তবে অতিরিক্ত লাভ জুলুম হিসেবে বিবেচিত হবে। জুলুম হিসেবে বিবেচিত হলেও আয় হারাম হবে না।

(৪) জ্বী, হালাল হবে।

(৫) সরকারি অনুমতি ছাড়া ফুটপাতে ভ্যান করে কাপড়ের ব্যবসা করা বৈধ হবে না। তবে কাপড় বিক্রির বিনিময় যা আসবে, সেটা হারাম হবে না।

(৬) বোরকায় পাথর বসানোর কাজ করা নাজায়েয না।ইনকামও হারাম হবে না। 

(৭)পরিবারের লোকদের ধৌত করা ভিজা কাপড় হতে ফোটা ফোটা পানি যদি আপনার কাপড়ে লাগে, তাহলে আপনার কাপড় নাপাক হবে।

(৮)নিউ ইয়ার উপলক্ষে বোনাস বেতন দেওয়া হলে, তা দিয়ে কেনা মোবাইল যদি প্রয়োজনীয়  ফতোয়া জানতে ব্যবহার করা হয়, উক্ত ব্যক্তির ইবাদত কবুল হবে কি না?  সেটা কেউ বলতে পারবে না। তবে এই বোনাসকে নিজের কাছে রাখা জায়েয হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1382


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...