আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in সাওম (Fasting) by (13 points)
আস্সালমু ‘আলইকুম....

গতকাল ঢাকায় সহরীর শেষ সময় ছিল-৪:৩৩ মিনিট।

আমার বান্ধবী ৪:৩৪ মিনিটে আমার নিকট গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট চায়,আমি বললম টাইম তো শেষ এখন খাবি ট্যাবলেট!!!কিন্তু সে বলে না খেলে সারাদিন ব্যাথায় থাকতে পারবে না এবং ট্যাবলেট খেয়ে ফেলে...তার রোজা হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

https://ifatwa.info/83558/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ [٢:١٨٧]

আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। [সূরা বাকারা-১৮৭]


যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়

১. রোজার কথা স্মরণ থাকা অবস্থায় কুলি করার সময় অনিচ্ছায় গলার ভেতর পানি প্রবেশ করলে।

২. পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্যকিছু শরীরে প্রবেশ করালে।

৩. রোজাদারকে জোর করে কেউ কিছু খাওয়ালে।

৪. রাত অবশিষ্ট আছে মনে করে সুবেহ সাদেকের পর পানাহার করলে।

৫. ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে।

৬. ইচ্ছাকৃত ভাবে মুখ ভরে বমি করলে।

৭. জোরপূর্বক সহবাস করলে। এক্ষেত্রে স্ত্রীর শুধু কাজা করতে হবে এবং স্বামীর কাজা-কাফফারা দু’টোই করতে হবে।

৮. ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে, রোজা ভেঙে গেছে ভেবে ইচ্ছা করে আরও কিছু খেলে।

৯. বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে ফেললে।

১০. নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করালে।

১১. জিহ্বা দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খেয়ে ফেললে।

১২. অল্প বমি মুখে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে তা গিলে ফেললে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!


মুসলিম বাংলা অ্যাপস বা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সাহরীর শেষ সময় ৪ টা ৩৩ পর্যন্ত হলেও সেখানে সাহরীর শেষ সময় এক/দুই মিনিট সতর্কতা মূলক আগে দেওয়া থাকে৷ সুতরাং যদি তিনি ঠিক ৩৪ এর দিকে ঔষধ খেয়ে থাকেন তাহলে তার রোজা হয়ে যাবে। আর যদি ঔষধ খেতে খেতে ৩৬/৩৭ বেজে যায় তাহলে রোজা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...