আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
46 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।
আমার ছোট ভাইয়ের বিয়ের কথা চলছে। একজন দ্বীনদার পাত্রী দেখেছি আমি এবং আমার মা। এখন,আমার বাবা কোনোমতেই পাত্রী দেখা ছাড়া বিয়ে দিবেন না, পাত্রীর ছবি অন্তত দেখতে চান। বাবার বয়স অনেক- ৭০ বা তারও অধিক। আব্বুর যুক্তি হলো ছেলেকে বিয়ে দেয়ার জন্য পাত্রী দেখার উদ্দেশ্যে কোনো মহিলার দেখলে সমস্যা নেই,তিনি তো খারাপ দৃষ্টিতে দেখবেন না, ছেলেকে বিয়ে দেয়ার জন্য পাত্রী দেখবেন। আর মেয়ে কেমন তা না দেখেই ছেলে বিয়ে দিবেন না। আর ছেলে তো এই বয়সে যাকে দেখবে তাকেই পছন্দ হবে, সে ভালোমন্দ  বুঝবে না, তাই আব্বু আম্মু দুইজন মিলে পাত্রী দেখতে চান। আম্মুকে দেখিয়েছি,কিন্তু আব্বুকে না দেখালে তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারতেছেন না। আর আমরা মেয়ে মানুষ, আমরা যতৈ দেখি আব্বু না দেখলে কোনোমতেই হবে না এমনটা বলতেসে। আর আব্বু যেহেতু বাসার গার্জিয়ান, তিনি না দেখলে আমার ভাইকে অবিবাহিত থাকা লাগবে,যেটা তার জন্য সম্ভব না এখন বিয়ে ফরজ তার জন্য সে বাসায় কড়া করে জানিয়ে দিয়েছে। এখন যে পাত্রীই হোক দ্বীনদার বা বেদ্বীন আব্বু না দেখে বিয়ে করাবে না। বেদ্বীন হলে তো এমনিতেই ছবি দিবে,দেখতে দিবে। দ্বীনদার পাত্রী তাই এই ছবি বা পাত্রী দেখানো যাচ্ছেনা বলে বিয়ে হচ্ছেনা ভাইয়ের।

এক্ষেত্রে,কি করণীয়? বাবাকে পাত্রীর হিজাব পড়া ছবি দেখানো যাবে? যেমন,হজ্জ বা এন আইডি, পাসপোর্ট এর জন্য ছবি দেয়া লাগে সেরকম এই বিয়ের জরুরতে আব্বুকে দেখাতে পারবো ছবি?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/69086/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে,
শরীয়তের বিধান হলো বিবাহের পূর্বে পাত্রিকে দেখা জায়েজ আছে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ     

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِىِّ ﷺ فَقَالَ : إِنِّىْ 
تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً مِنَ الْأَنْصَارِ قَالَ : «فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّ فِى اعْيُنِ الْأَنْصَارِ شَيْئًا».

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল যে, আমি জনৈকা আনসারী নারীকে বিয়ে করার ইচ্ছা করেছি (আপনার কী অভিমত?)। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (বিয়ের পূর্বে) তাকে দেখে নাও। কেননা, আনসারী নারীদের চক্ষুতে কিছু দোষ থাকে।
(মুসলিম ১৪২৪, নাসায়ী ৩২৪৬, আহমাদ ৭৮৪২, সহীহাহ্ ৯৫ মিশকাত ৩০৯৮।)

عَنْ جَابِرٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمُ الْمَرْأَةَ فَإِنِ اسْتَطَاعَ أَنْ يَنْظُرَ إِلٰى مَا يَدْعُوهُ إِلٰى نِكَاحِهَا فَلْيفْعَلْ»

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন কোনো নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেবে, আর যদি তার পক্ষে এমন কোনো অঙ্গ দেখা সম্ভব হয় যা বিবাহের পক্ষে যথেষ্ট, তখন তা যেন দেখে নেয়। 

(আবূ দাঊদ ২০৮২, সহীহাহ্ ৯৯, আহমাদ ১৪৫৮৬, ইরওয়া ১৭৯১, সহীহ আল জামি‘ ৫০৬।)

★ইসলামে পাত্র-পাত্রীর সরাসরি দেখার অনুমতি দেয়া হয়েছে,ছবির মাধ্যমে নয় ।
কারণ- একেতো বিনা প্রয়োজনে ছবি তোলা, ব্যবহার ও
আদান-প্রদান শরীয়তে নিষিদ্ধ ।
তাছাড়া ছবিতে বাস্তব অবস্থা পুরোপুরি যাচাই সম্ভব নয় ।
অধিকন্তু পাত্রের নিকট ছবি পাঠানোর দ্বারা বারবার তার জন্য বেগানা নারীকে দেখার সুযোগ করে দেয়া হয়।
যেটি নাজায়েজ। 
 
অথচ বিবাহের উদ্দেশ্যে পাত্র পাত্রীকে বারবার
দেখার বৈধতা নেই ।
তাছাড়াও এ ছবি পাত্র ব্যতীত অন্যকোন পুরুষও দেখতে পারে ।
অথচ শরীয়তের দৃষ্টিতে তা জায়িয নয় । এ সকল কারণে ছবির মাধ্যমে পাত্রী দেখা বা
পাত্রীর ছবি পাত্রের নিকট পাঠানো ইসলামের
দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ।
{সূত্রঃ রদ্দুল মুখতার, ৬ : ৩৭০}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
বিয়ের জরুরতে আপনার আব্বুকে কোনোক্রমেই পাত্রী বা পাত্রীর ছবি দেখাতে পারবেননা।
এটা নাজায়েজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...