আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in সালাত(Prayer) by (2 points)
আসসালামুয়ালাইকুম । সফরে আত্মীয়ের বাসায় আসরের দুই রাকাত কসর নামাজ পড়েছি কিন্তু ভুলে পূর্ব দিকে ফিরে হয়েছে ।এখন নিজ বাসায় ফিরে এসেছি ওই নামাজ কি আবার পড়তে হবে? পড়তে হলে দুই রাকাত কাজা করতে হবে নাকি চার রাকাত করতে হবে এখন।

আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে আগে পিরিয়ড ৬-৭ দিন ছিল কিন্তু বাচ্চা হওয়ার পর চেঞ্জ হয়ে গেছে মোটামুটি কোন  কোন মাসে ৭-৮-৯-১০ দিন এর মত থাকে । ১০ দিন এর উপর যায়না ।কিন্তু এই রমজানে ১১ তম দিন এও একেবারে হালকা একটু বুজা যাচ্ছিলো এরপর আর ছিলনা ।এক্ষেত্রে রোজা নামাজের কাযা হিসাব টা কিভাবে হবে ?উল্লেখ্য ৭ দিন থেকেই যখন দীর্ঘ সময় পবিত্র দেখসি তখন শেষ হয়ে গেছে ভেবে  পবিত্র হয়ে সালাত আদায় করেছি এবং বন্ধ রেখেছি ওই নামাজ গুলোর জন্য কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যেই নামাযকে সফরের অবস্থায় পূর্ব দিকে পড়ে ফেলা হয়েছে। সেই নামায আবার দোহড়িয়ে পড়তে হবে।

সফরের কাযা হয়ে যাওয়া ক্বসর নামাযকে ক্বাযা করতে হবে। অর্থাৎ সফর অবস্থায় কোনো নামাজ ক্বাযা হলে পরবর্তীতে হাযর ( বাসায় অবস্থান বা সফরে না থাকা ) অবস্থায় পড়তে হলে ক্বসরই পড়তে হবে , ঠিক তেমনিভাবে হাযর অবস্থার কোনো ক্বাযা নামায  সফর অবস্থায় পড়তে করতে হলে, পুরো নামাযকেই কাযা করতে হবে।
لما في الدر المختار 
ﻭَاﻟْﻘَﻀَﺎءُ ﻳَﺤْﻜِﻲ) ﺃَﻱْ ﻳُﺸَﺎﺑِﻪُ (اﻷَْﺩَاءَ ﺳَﻔَﺮًا ﻭَﺣَﻀَﺮًا) ﻷَِﻧَّﻪُ ﺑَﻌْﺪَﻣَﺎ ﺗَﻘَﺮَّﺭَ ﻻَ ﻳَﺘَﻐَﻴَّﺮ
(ﻗَﻮْﻟُﻪُ ﺳَﻔَﺮًا ﻭَﺣَﻀَﺮًا) ﺃَﻱْ ﻓَﻠَﻮْ ﻓَﺎﺗَﺘْﻪُ ﺻَﻼَﺓُ اﻟﺴَّﻔَﺮِ ﻭَﻗَﻀَﺎﻫَﺎ ﻓِﻲ اﻟْﺤَﻀَﺮِ ﻳَﻘْﻀِﻴﻬَﺎ ﻣَﻘْﺼُﻮﺭَﺓً ﻛَﻤَﺎ ﻟَﻮْ ﺃَﺩَّاﻫَﺎ ﻭَﻛَﺬَا ﻓَﺎﺋِﺘَﺔُ اﻟْﺤَﻀَﺮِ ﺗُﻘْﻀَﻰ ﻓِﻲ اﻟﺴَّﻔَﺮِ ﺗَﺎﻣَّﺔً.
ভাবানুবাদ উপরে উল্লেখ করা হয়েছে(ফাতওয়ায়ে শামী2/135) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 4280   

(২)
যেহেতু এই মাসে ১০ দিনের অতিরিক্ত রক্তস্রাব গেছে, তাই গত মাসে যতদিন হায়েয ছিল, এই মাসে ততদিন হায়েয গন্য হবে। এবং অতিরিক্ত ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...