আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
226 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (4 points)
ইসলামের দৃস্টিতে হিজামা চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাই?এই চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান কোনগুগো?

1 Answer

0 votes
by (679,640 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হিজামা হলো এমন প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যাতে মানুষের সব ধরনের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বিদ্যমান। 
,
রাসুল সাঃ হিজামা গ্রহন করেছেন,তাই এই চিকিৎসা গ্রহনকে সুন্নাতও বলা হয়।  

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْهُ قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَكْتَحِلُ قَبْلَ أَنْ يَنَامَ بِالْإِثْمِدِ ثَلَاثًا فِي كُلِّ عَيْنٍ . قَالَ : وَقَالَ : " إِنَّ خَيْرَ مَا تَدَاوَيْتُمْ بِهِ : اللَّدُودُ ، وَالسَّعُوطُ ، وَالْحِجَامَةُ ، وَالْمَشِيُّ . وَخَيْرَ مَا اكْتَحَلْتُمْ بِهِ الْإِثْمِدُ ، فَإِنَّهُ يَجْلُو الْبَصَرَ ، وَيُنْبِتُ الشَّعْرَ ، وَإِنَّ خَيْرَ مَا تَحْتَجِمُونَ فِيهِ يَوْمُ سَبْعَ عَشْرَةَ ، وَيَوْمُ تِسْعَ عَشْرَةَ ، وَيَوْمُ إِحْدَى وَعِشْرِينَ " وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حَيْثُ عُرِجَ بِهِ ، مَا مَرَّ عَلَى مَلَأٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ إِلَّا قَالُوا : عَلَيْكَ بِالْحِجَامَةِ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ ، وَقَالَ : هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ

 [‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রে শোয়ার পূর্বে প্রত্যেক চোখে তিন তিন শলাকা ইসমিদ সুরমা লাগাতেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বলেছেনঃ যে সব জিনিস দ্বারা তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ করো তন্মধ্যে সবচেয়ে উত্তম-লাদূদ, সাঊত, শিঙ্গা লাগানো এবং জোলাপ নেয়া। যে সব সুরমা তোমরা ব্যবহার করো তার মধ্যে ইসমিদ সর্বোত্তম। তাতে চোখের দৃষ্টিশক্তি সতেজ হয় এবং চোখের পলকের চুল অধিক জন্মায়। আর শিঙ্গা লাগানোর জন্য উত্তম দিন হলো চাঁদের সতের, ঊনিশ ও একুশ তারিখ। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যখন মি‘রাজ হয়েছিল, তখন তিনি মালায়িকাহ্’র (ফেরেশতাদের) যে দলের নিকট দিয়ে অতিক্রম করেছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই বলেছিলেন যে, আপনি অবশ্যই শিঙ্গা লাগাবেন।

(তিরমিযী ২০৫৩, ২০৪৮; ইবনু মাজাহ ৩৪৯৫, ৩৪৯৭, ৩৪৯৯; য‘ঈফুল জামি‘ ১৮৫৫, মিশকাতুল মাসাবিহ ৪৪৭৩)
,
তিরমিজি শরীফের ১২৮১ নং হাদীসে এসেছে 
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، قَالَ سُئِلَ أَنَسٌ عَنْ كَسْبِ الْحَجَّامِ، فَقَالَ أَنَسٌ احْتَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَحَجَمَهُ أَبُو طَيْبَةَ فَأَمَرَ لَهُ بِصَاعَيْنِ مِنْ طَعَامٍ وَكَلَّمَ أَهْلَهُ فَوَضَعُوا عَنْهُ مِنْ خَرَاجِهِ وَقَالَ " إِنَّ أَفْضَلَ مَا تَدَاوَيْتُمْ بِهِ الْحِجَامَةُ " . أَوْ " إِنَّ مِنْ أَمْثَلِ دَوَائِكُمُ الْحِجَامَةَ "

আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ..... হুমায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু কে শিঙ্গাওয়ালার উপার্জন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তখন আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে শিঙ্গা লাগিয়েছিলেন। তাঁকে আবূ তায়বা শিঙ্গা লাগিয়েছিল। তিনি তাকে দুই সা’ পরিমাণ খাদ্য প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবং তার মালিকদের কাছে তৎকর্তুক দৈনিক দেয় মজুরী সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। ফলে তারা তার দেয় মজুরীর হার কামিয়ে দিয়েছিল। তিনি বলেছেন, তোমাদের সর্বোত্তম চিকিৎসা হলো শিঙ্গা লাগানো। - মুখতাসার শামাইল ৩০৯, নাসাঈ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১২৭৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
,
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقُدُّوسِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، وَجَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَحْتَجِمُ فِي الأَخْدَعَيْنِ وَالْكَاهِلِ وَكَانَ يَحْتَجِمُ لِسَبْعَ عَشْرَةَ وَتِسْعَ عَشْرَةَ وَإِحْدَى وَعِشْرِينَ .

আবদুল কুদ্দুস ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ...... আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘাড়ের দুই পাশের রগে এবং কাঁধে রক্ত মোক্ষম করাতেন। আর তিনি মাসের সতের, উনিশ এবং একুশ তারিখ রক্ত মোক্ষন করাতেন। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৪৮৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২০৫১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
,
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بُدَيْلِ بْنِ قُرَيْشٍ الْيَامِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ حَدَّثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ لَيْلَةَ، أُسْرِيَ بِهِ أَنَّهُ لَمْ يَمُرَّ عَلَى مَلإٍ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ إِلاَّ أَمَرُوهُ أَنْ مُرْ أُمَّتَكَ بِالْحِجَامَةِ

আহমাদ ইবন বুদায়ল ইবন কুরায়শ ইয়াসী কুফী (রহঃ) ...... ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মি‘রাজ-এর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন যে, তিনি তখন ফিরিশতাগণের যে দলের পাশ দিয়েই গেছেন সে দলই তাঁকে বলেছেঃ আপনি আপনার উম্মাতকে রক্ত মোক্ষণের নির্দেশ দিবেন। 
(সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৪৭৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২০৫২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
,
حديث ابْنِ بُحَيْنَةَ رضي الله عنه، قَالَ: احْتَجَمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ مُحْرِمٌ، بِلَحْيِ جَمَلٍ، فِي وَسَطِ رَأْسِهِ

ইবনু বুহাইনাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম অবস্থায় ‘লাহইয়ে জামাল’ নামক স্থানে তাঁর মাথার মধ্যখানে সিঙ্গা লাগিয়েছিলেন।
(সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ২৮ ; ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর বদলা, অধ্যায় ১১, হাঃ ১৮৩৬; মুসলিম, পর্ব ১৫ : হাজ্জ, অধ্যায় ১১, হাঃ ১২০৩)
,
.
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
এই চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান কোনগুলো সম্পর্কে জানতে এই বিষয়ে যারা অভিজ্ঞ, তাদের স্বরণাপন্ন হোন। 
জাযাকাল্লাহ।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...