আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (43 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমার এক জায়গায় বিয়ের কথা চলছিল। বিয়ের ডেট দেয়া বাকি ছিল শুধু। আমার মা আমাকে না জানিয়েই উনাদের কে না করে দেন। কারন উনারা পাত্রীর কথা আর কাজে নাকি মিল পান নাই। আমার কাছে এটা পরিস্কার করেন নি তারা। যাই হোক আমাদের বাসায় অনেক ডিসিশন এর খেত্রে আমার মতামতের কোন গুরুত্ব থাকে না। আমি আমার মাকে বলেছি নারিদের আল্লাহ পুরুষদের অধিন করে দিয়েছেন। আমার মা বলতেসেন উনি উনার স্বামীর অধীন। আমার অধীন আমার স্ত্রী। কুরআনে আছে পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল। এখন আমার বাবা বেচে নেই। পরিবারে একমাত্র পুরুষ আমি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে-

১। এভাবে পাত্রী পক্ষকে না করে দেয়া কি আমার মায়ের ঠিক হয়েছে ইসলামী শরিয়াহ মতে?

২.আমার বয়স ৩১ বছর চলছে। ২ বছর যাবত পাত্রি দেখছি। আগের প্রায় ৩২ জন বিভিন্ন কারনে আমাকে বা আমি তাদের রিজেক্ট করেছি।এটাই প্রথম ছিল যেখানে সরাসরি পাত্রি দেখতে গিয়েছিলাম। বাসা থেকে বলে মেয়ে ১ টা দেখসি বলে এখানেই বিয়ে করতে হবে এমন তো না। আরও দেখব। আমি ইস্তিখারা করেছি,পাত্রি ইস্তিখারা করেছে। ২ জনের ই পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে। আমার মাকে বলেছিলাম তুমি ইস্তিখারা করো এরপর যদি তোমার মন না মানে তুমি না করে দিও। এর ২ দিন পর উনি ইস্তিখারা না করেই মানা করে দেন।এই সিদ্ধান্তের কারনে আমার উপর কি জুলুম করা হয়নি?

৩।পাত্রীদের উপর ও কি জুলুম হয়নি?

৪. এখন আমার বাসায় আমি কি আমার বড় বোন ও মায়ের উপর কর্তৃত্বশীল নাকি আমার ওপর আমার মা কর্তৃত্বশীল?


৫. ইস্তিখারা করে যেহেতু আমার আর পাত্রির ডিসিশন পজিটিভ এখন আমার পরিবার রাজি না। এখন কি করা উচিত?


৬.পাত্র-পাত্রি মেইলে ফিতনার আশংকা না থাকলে বিয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে  এসেছে

أن عبد الله بن عمر يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول ( كلكم راع وكلكم مسؤول عن رعيته الإمام راع ومسؤول عن رعيته والرجل راع في أهله وهو مسؤول عن رعيته والمرأة راعية في بيت زوجها ومسؤولة عن رعيتها والخادم راع في مال سيده ومسؤول عن رعيته

হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ বলেন-আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন-প্রতিটি ব্যক্তিই দায়িত্বশীল। প্রতিটি ব্যক্তিই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। ইমামগণ দায়িত্বশীল, তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। পুরুষগণ তাদের পরিবারের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। মহিলাগণ স্বীয় স্বামীর গৃহের দায়িত্বশীল, তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। দাস-দাসীগণ দায়িত্বশীল তার মনিবের সম্পদের ব্যাপারে, তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।

(সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৮৫৩
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪৮২৮
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৪৮৯
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৯৩০
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৪৪৯৫
মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৫৩৭৭
মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-২৯৫১
মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ, হাদীস নং-৭৪৫
মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-১০৩)

ফাতাওয়ার কিতাবে আছেঃ- 

وَاخْتَلَفُوا فِي تَرْتِيبِ الأَْوْلِيَاءِ فِي النِّكَاحِ وَذَلِكَ عَلَى التَّفْصِيل الآْتِي:
92 - قَال الْحَنَفِيَّةُ: الْوَلِيُّ فِي النِّكَاحِ الْعَصَبَةُ بِنَفْسِهِ وَهُوَ مَنْ يَتَّصِل بِالْمَيِّتِ حَتَّى الْمُعْتِقِ بِلَا تَوَسُّطِ أُنْثَى عَلَى تَرْتِيبِ الإِْرْثِ وَالْحَجْبِ، فَيُقَدَّمُ الاِبْنُ عَلَى الأَْبِ عِنْدَ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ خِلَافًا لِمُحَمَّدٍ حَيْثُ قَدَّمَ الأَْبَ، وَفِي الْهِنْدِيَّةِ عَنِ الطَّحَاوِيِّ: إِنَّ الأَْفْضَل أَنْ يَأْمُرَ الأَْبُ الاِبْنَ بِالنِّكَاحِ حَتَّى يَجُوزَ بِلَا خِلَافٍ، وَابْنُ الاِبْنِ كَالاِبْنِ، ثُمَّ يُقَدَّمُ الأَْبُ، ثُمَّ أَبُوهُ، ثُمَّ الأَْخُ الشَّقِيقُ، ثُمَّ لأَِبٍ، ثُمَّ ابْنُ الأَْخِ الشَّقِيقِ، ثُمَّ لأَِبٍ، ثُمَّ الْعَمُّ الشَّقِيقُ، ثُمَّ لأَِبٍ، ثُمَّ ابْنُهُ كَذَلِكَ، ثُمَّ عَمُّ الأَْبِ كَذَلِكَ، ثُمَّ ابْنُهُ كَذَلِكَ، ثُمَّ عَمُّ الْجَدِّ كَذَلِكَ، ثُمَّ ابْنُهُ كَذَلِكَ، كُل هَؤُلَاءِ لَهُمْ إِجْبَارُ الصَّغِيرَيْنِ وَكَذَا الْكَبِيرَيْنِ إِذَا جُنَّا، ثُمَّ الْمُعْتَقُ وَلَوْ أُنْثَى، ثُمَّ ابْنُهُ وَإِنْ سَفَل، ثُمَّ عَصَبَتُهُ مِنَ النَّسَبِ عَلَى تَرْتِيبِهِمْ
[«الموسوعة الفقهية الكويتية» (41/ 275)]
সারমর্মঃ-
বিবাহের ওয়ালি হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রগামী হলো তার ছেলে, ছেলের ছেলেও ছেলের মতোই,অতঃপর বাবা,অতঃপর তার দাদা,অতঃপর নিজের ভাই,অতঃপর বৈপিত্রীয় ভাই, অতঃপর নিজের ভাইয়ের ছেলে,অতঃপর বৈপিত্রীয় ভাইয়ের ছেলে,অতঃপর নিজের চাচা,অতঃপর বৈপিত্রীয় চাচা,অতঃপর নিজের চাচার ছেলে,
অতঃপর বৈপিত্রীয় চাচার ছেলে,অতঃপর অনুরুপ ভাবে বাবার চাচা,অতঃপর অনুরুপ ভাবে তার ছেলে,,,,

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
না,ঠিক হয়নি।

(০২)
হ্যাঁ,জুলুম করা হয়েছে।

(০৩)
পাত্রীদের উপরেও জুলুম হয়েছে।

(০৪)
যেহেতু আপনার বাবা মারা গিয়েছে,সুতরাং প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে হিসেবে আপনি আপনার বড় বোন (তার স্বামী না থাকলে) ও মায়ের উপর কর্তৃত্বশীল।

তবে আপনার বোনের স্বামী থাকলে তার স্বামী 
তার উপর কর্তৃত্বশীল। আপনি নন।

(০৫)
আপনি চাইলে একাকী বিবাহ করতে পারবেন।

(০৬)
দেখা সাক্ষাৎ সম্ভব না হলে ফিতনার আশংকা না থাকলে বিশেষ প্রয়োজনে বৈধ কথা বলা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...