আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
শায়খ আমার প্রশ্ন হলো অনেক সময় দেখা যায় এক প্রশ্ন তে হানাফী আলেমদের ভিন্ন উত্তর দেখা দেয়। এখন এই কারণে আমি চাচ্ছিলাম নির্দিষ্ট একজন আলেমকে ফলো করতে যিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা আমার জন্য সহজ। যেহেতু এটি একটি ওয়েবসাইট এখানে রুলস থাকে এই কারণে এক মাসে চার বারের অধিক প্রশ্ন করা যায় না। আর এই ওয়েবসাইট আমি অনেক আগে থেকে ফলো করছি এখানে অনেক অভিজ্ঞ মুফতি সাহেব রা আছেন কিন্তু অনেক মানুষের প্রশ্নের চাহিদা থাকার কারণে অনেক নিয়ম করে উত্তর দিতে হয় এটা স্বাভাবিক আর যেহেতু এখানের মুফতি সাহেবরা অনেক দূরে থাকেন আমার লোকেশন থেকে এই কারণে তো সোহবতে থাকার বিষয়ে ভাবতে পারছি না।
আমি দেখেছি আমার জীবন চলার পথে আমার অনেক সময় নানা পরিস্থিতিতে পরামর্শ এবং প্রশ্নের উত্তরের প্রয়োজন হয়।

শায়খ আমি একজন অনেক ভালো হানাফী আলেমের সন্ধান পেয়েছি। তার নম্বরও আমার কাছে আছে। তিনি মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের বই এর অনুবাদ করার ইজাজত প্রাপ্তও। তিনি এক মাদ্রাসার সিনিয়র মুদারিরস। এবং তার প্রতিষ্ঠিত অনেক মাদ্রাসা ও
আছে । তার ফতুয়া এর ওয়েবসাইট এ তিনি ফাতওয়া দেন।

১ শায়খ তিনি আলেমে হিসেবে অনেক ভালো এটা আমার বিশ্বাস। তবে তার কোনো ফতুয়ায় যদি আমার মন দ্বিধান্বিত হয়ে যে এটি ঠিক না বেঠিক এরপরও যদি সেটা আমি  গ্রহণ করি আমার পাপ হবে?

২ শায়খ তার কোনো ফতুয়া  শুনে যদি আমার মন দ্বিধান্বিত হয়ে তখন আরেকজন আলেম যদি শক্তিশালী ফতুয়া দেন যা শুনে আমার মন সন্তুষ্ট হয়ে। তখন যদি আমি আমার শাইখের ফতুয়াই গ্রহণ করি অন্য আলেমের ফতুয়া আমার কাছে শক্তিশালী মনে হওয়ার পরও তাহলে কি আমার পাপ হবে?

৩শায়খ যদি তিনি কোন ফতুয়া রেফারেন্স ছাড়া দেন আর অন্য একজন আলেম রেফারেন্স সহ দেন তাহলে কি আমি আমার শায়খ এর রেফারেন্স ছাড়া উত্তর গ্রহণ করতে পারব?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তে ভুল ফতোয়া প্রদানের কোনো সুযোগ নেই।
অজ্ঞতাবশত ফতোয়ারও কোনো সুযোগ নেই। 
,
কারন এই বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক কঠোর ভাবে নিষেধ করেছেন।      
,
আবু দাউদ শরীফের ৩৬৫৭ নং হাদীসে এসেছে 

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أَفْتَى ح وحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي نُعَيْمَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ الطُّنْبُذِيِّ، رَضِيعِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أُفْتِيَ بِغَيْرِ عِلْمٍ كَانَ إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ»

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে ফতোয়া দেয়া হয় ...। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে অজ্ঞতা প্রসূত ফতোয়া দেয়া হয় তার পাপ ফাতাওয়াদানকারীর উপর বর্তাবে। 
,
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي أَبُو هَانِئٍ، حُمَيْدُ بْنُ هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أُفْتِيَ بِفُتْيَا غَيْرَ ثَبَتٍ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ " .

আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে সিদ্ধান্ত (ফাতাওয়া) দেয়া হলে তার পাপের বোঝা ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে।
আবূ দাঊদ ৩৬৫৭, আহমাদ ৮০৬৭, ৮৫৫৮; দারিমী ১৫৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ২৪২।
,
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ أُفْتِيَ بِغَيْرِ عِلْمٍ كَانَ إِثْمُه عَلى مَنْ أَفْتَاهُ وَمَنْ أَشَارَ عَلى أَخِيهِ بِأَمْرٍ يَعْلَمُ أَنَّ الرُّشْدَ فِي غَيْرِه فَقَدْ خَانَه

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে ভুল ফাতাওয়া দেয়া হয়েছে, অর্থাৎ- বিনা ‘ইলমে (বিদ্যায়) ফাতাওয়া দেয়া হয়েছে এর গুনাহ তার ওপর বর্তাবে যে তাকে ফাতাওয়া দিয়েছে। আর যে ব্যক্তি তার কোন ভাইকে (অপরকে) এমন কোন কাজের পরামর্শ দিয়েছে, যা কল্যাণ হবে না বলে সে জানে, সে নিশ্চয়ই তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।

আবূ দাঊদ ৩৬৫৭, সহীহুল জামি‘ ৬০৬৮। ইমাম দারিমীও এটিকে (হাদীস নং ১৫৯) হাসান বলে উল্লেখ করেছেন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যদি বিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য মুফতী সাহেব থেকে ফতোয়া নিয়ে আমল করেন,তাহলে আপনি তার ফাতওয়া অনুযায়ী আমল করবেন। এক্ষেত্রে তিনি ভুল ফাতওয়া দিলেও আল্লাহ তায়ালা আপনাকে পাকড়াও করবেননা।

(০১)
তিনি যদি বিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য মুফতী সাহেব হয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার গুনাহ হবেনা।

(০২)
যার ফতোয়াতে নিজ মতের স্বপক্ষে স্পষ্ট দলিল আছে,তার ফতোয়া মানবেন।

নিজ মতের স্বপক্ষে স্পষ্ট দলিল থাকা সত্ত্বেও আপনি সেই ফতোয়া না মেনে দূর্বল ফতোয়া মানবেননা।

এক্ষেত্রে জেনে শুনে দূর্বল ফতোয়ার উপর আমল করলে আপনার গুনাহ হবে।

(০৩)
এক্ষেত্রে যার ফতোয়াতে নিজ মতের স্বপক্ষে স্পষ্ট দলিল আছে,তার ফতোয়া মানবেন।

(শায়েখ রেফারেন্স না দিলে শায়েখকে রেফারেন্স দেয়ার জন্য বলবেন।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...