আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ, প্রিয় শায়েখের কাছে আমার প্রশ্ন হচ্ছে,

১. কোনো পীরের উছিলা করে আল্লাহ্‌র কাছে কি দোয়া করা যায় , নাকি এটা শিরক হয়? করা গেলেও , না করা গেলেও যদি কুরআন হাদিস থেকে বিস্তারিত আলোচনা করতেন।
২. আমরা ছোট বেলা অজু ভাঙ্গার কারণ পড়েছি , " শরীরের কোনো অঙ্গ হতে রক্ত,পুঁজ, পানি, বাহির হয়ে গড়িয়ে পড়া "। এখন যাদের চোখ ওঠে তাদের চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে আর সেই পানি আমরা কান্না করলে যে পানি বের হয় তেমন না। একটু আঠালো আর দুর্গন্ধ যুক্ত। এই পানি পড়ার মাধ্যমে কি অজু নষ্ট হয়ে যাবে? নাকি এভাবেই নামাজ আদায় করতে পারবে?

৩. শরীয়তের দৃষ্টিতে শিরক কত প্রকার ও কিকি?

1 Answer

0 votes
by (714,440 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা জায়েয।চায় জীবিত মানুষের হোক বা মৃত মানুষের,চায় ব্যক্তির ব্যক্তিত্বর উসীলা হোক বা নেককাজের।সব-ই জায়েয।সকল প্রকার উসীলার সারমর্ম একটাই হবে।সেটা হল,যা উসীলা গ্রহণ করা হচ্ছে,তার উপর আল্লাহর যে বিশেষ রহম আর ফজল রয়েছে,তার উসীলা গ্রহণ করে করে দু'আ করা।কোনো ব্যক্তি বিশেষের ব্যক্তিত্বের উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা যাবে না। এরকম আকিদা-বিশ্বাস রেখে দু'আ করা শিরকের পর্যায়ভুক্ত।তবে উক্ত ব্যক্তির নেককাজের উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা যাবে।যেমন গুহায় আটকে যাওয়া তিন ব্যক্তি তারা তাদের নেককাজের উসীলা গ্রহণ করে নাজাত পেয়েছিলো।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 1956 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহর রাসূল সাঃ এর ব্যক্তিত্বের উসিলা গ্রহণ করে দুআ করা জায়েয। এছাড়া অন্যান্যদের উসিলা গ্রহণ করে দুআ করার অর্থ এই যে, উক্ত ব্যক্তিবর্গের নেক কাজের উসিলা গ্রহণ করা হবে। তবে কোনো ব্যক্তি বিশেষের উসিলা গ্রহণ করে দুআ করা যাবে না। 

(১) কোনো পীরের উছিলা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করা যাবে না, এটা শিরক হবে। তবে পীর সাহেবের কোনো নেক আ'মল জানা থাকলে,সেই নেক আমলের উসিলা গ্রহণ করে দু'আ করা যাবে।

(২) চোখের থেকে নির্গত হওয়া পানি যদি আঠালো এবং দুর্গন্ধ যুক্ত হয়। তাহলে এই পানি পড়ার মাধ্যমে অজু নষ্ট হয়ে যাবে। তবে সাধারণ কান্নার পানি দ্বারা অজু নষ্ট হবে না।
لما في البحر الرائق شرح كنز الدقائق:
"ولو كان في عينيه رمد يسيل دمعها يؤمر بالوضوء لكل وقت لاحتمال كونه صديدا وفي فتح القدير وأقول: هذا التعليل يقتضي أنه أمر استحباب فإن الشك والاحتمال في كونه ناقضا لا يوجب الحكم بالنقض إذ اليقين لا يزول بالشك نعم إذا علم من طريق غلبة الظن بإخبار الأطباء أو علامات تغلب على ظن المبتلى يجب اهـ، و هو حسن لكن صرح في السراج الوهاج بأنه صاحب عذر فكان الأمر للإيجاب."
(كتاب الطهارة، باب الحيض، ١ / ٢٢٧، ط: دار الكتاب الإسلامي)

(৩) আল্লাহ একত্ববাদের সাথে কোনো কিছুকে শরীক করার নামই হল শিরক। শিরক অনেক প্রকারের হতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...