আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (3 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম শায়খ।


প্রশ্ন ১:
আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাতে দুইটি কোরবানির পশু দেখে একজন সাহাবী জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে দুইটি কেন.? তখন আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছিলেন একটি আমার পক্ষ থেকে ও অপর একটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ থেকে। হাদীসটি আমাদের মসজিদের ইমাম বলেছিলেন।
বর্তমানে কোন ব্যক্তি যদি আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মত করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি মহব্বতের কারণে নিজের পক্ষ থেকে একটি ও হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ থেকে একটি পশু কোরবানি করে। তবে শারঈ দিক থেকে এর অবস্থান কি.? পশু কোরবানির নিয়ত কি হবে.? উক্ত পশুর মাংস বন্টন কিভাবে হবে.? এটা সে সাদাকার উদ্দেশ্যে করছে না, বরং আল্লাহর রাসূলের পক্ষ থেকে একটি কোরবানি করছে, হুজুরের প্রতি ভালোবাসার খাতিরে। এর মাংস কি সে নিজে খেতে পারবে.? এই বিষয়ে কি কি বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যদি কেউ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ থেকে কোরবানি করতে চায়.? দয়া করে জানাবেন প্লিজ।
.

প্রশ্ন ২:
আমাদের এলাকার একটি সরকারি জায়গায় অবস্থিত পুকুরে প্রতিদিন ফজরের পরে অনেক বক আসে। আমাদের ইচ্ছে আমরা কিছু বক শিকার করে খাব। বক ধরার জন্য বাটুল বা এয়ারগান ব্যবহার করার উপায় আছে। বাটুল বা এয়ারগান দিয়ে মারার সময় আল্লাহর নাম নেয়া হলে, এবং শিকারের গায়ে আঘাত করার পর যদি বক সেখানেই মারা যায় সে ক্ষেত্রে কি খাওয়া যাবে কিনা?
মাসাআলা শুনেছিলাম যে, শিকারি কুকুরকে আল্লাহর নামে ছেড়ে দিলে সে যদি কামড় দিয়ে শিকারকে ধরে নিয়ে আসে এবং রক্ত ক্ষরণে শিকার মারা যায় তবে তা হালাল। উল্লেখ্য যে, বাটুল বা এয়ারগানে রক্তপাত নাও হতে পারে। বরং না হবার সম্ভাবনাই বেশি। এই ক্ষেত্রে আসলে বিধান কি দয়া করে জানাবেন। উক্ত পাখি খাবার ক্ষেত্রে করনীয় কি.? কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে তা আমাদের জন্য হালাল হবে?

.

প্রশ্ন ৩:
আমার স্ত্রীর ব্যক্তিগত সম্পদ বলতে আনুমানিক দুই ভরি এর মত স্বর্ণ আছে। তার কোন রুপা নেই, ব্যক্তিগত অর্থ নেই। প্রতিমাসে তার হাতে আমি যা দেই, কেবল সেটুকুই তার নগদ অর্থ। যার সে ওই মাসেই খরচ করে। আমার স্ত্রীর উপরে কোরবানির বিধান কি.?
যদি ১০ জিলহজ্ব - ১২ জিলহজের মাঝে তার হাতে স্বর্ণ ব্যতীত আর কোন সম্পদ রুপা অথবা নগদ অর্থ (অতি সামান্য পরিমাণে) হয় তাহলে তার উপরে কোরবানির বিধান কি.? ইভেন যদি তার হাতে ঈদের দিন ঈদের সালামি দেয়া হয় তাহলে উক্ত সোনা থাকার পরে, এই সালামি পাওয়ার পরে তার উপরে কোরবানি ওয়াজিব হবে কিনা.? বা কি ক্ষেত্রে তার ওপরে কোরবানি ওয়াজিব হবে?

1 Answer

0 votes
by (721,360 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর নামে কুরবানি করা মুস্তাহাব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম'এর নামে কুরবানি করলে সাধারণ কুরারির গোশতের মতই বন্টন করা মুস্তাহাব।
(قَوْلُهُ: وَعَنْ مَيِّتٍ) أَيْ لَوْ ضَحَّى عَنْ مَيِّتٍ وَارِثُهُ بِأَمْرِهِ أَلْزَمَهُ بِالتَّصَدُّقِ بِهَا وَعَدَمِ الْأَكْلِ مِنْهَا، وَإِنْ تَبَرَّعَ بِهَا عَنْهُ لَهُ الْأَكْلُ لِأَنَّهُ يَقَعُ عَلَى مِلْكِ الذَّابِحِ وَالثَّوَابُ لِلْمَيِّتِ، وَلِهَذَا لَوْ كَانَ عَلَى الذَّابِحِ وَاحِدَةٌ سَقَطَتْ عَنْهُ أُضْحِيَّتُهُ كَمَا فِي الْأَجْنَاسِ. قَالَ الشُّرُنْبُلَالِيُّ: لَكِنْ فِي سُقُوطِ الْأُضْحِيَّةَ عَنْهُ تَأَمُّلٌ اهـ. أَقُولُ: صَرَّحَ فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ فِي الْحَجِّ عَنْ الْغَيْرِ بِلَا أَمْرٍ أَنَّهُ يَقَعُ عَنْ الْفَاعِلِ فَيَسْقُطُ بِهِ الْفَرْضُ عَنْهُ وَلِلْآخَرِ الثَّوَابُ فَرَاجِعْهُ ( كتاب الأضحية، ۶ / ۳۳۵، ط: دار الفكر)۔ فقط واللہ اعلم

(২)
তীর নিক্ষেপ বা প্রশিক্ষিত কুকুরের শিকারকে ভক্ষণ করা যাবে। এয়ার গান বা বাটুল দ্বারা প্রাণী যখমি হয় না বরং থেতলে যায়। যেজন্য এই শিকার খাওয়া  জায়েয হবে না। তবে যদি বন্দুকের গুলি তীরের মত লম্বা হয়, সেই গুলি দ্বারা তীরের মত প্রাণী যখমি হয়, তাহলে সেই প্রাণী খাওয়া জায়েয হবে।

قال قاضي خان: لا يحل صيد البندقة والحجر والمعراض والعصا وما أشبه ذلك وإن جرح؛ لأنه لا يخرق إلا أن يكون شيء من ذلك قد حدده وطوله كالسهم وأمكن أن يرمي به؛ فإن كان كذلك وخرقه بحده حل أكله (رد المحتار، کتاب الصید، 6471، ط:ایچ ایم سعید کراچی)

(৩)
আপনার স্ত্রীর নেসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকারণে তার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...