আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
53 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমার স্বামি বিয়ে করে আমার হক আদায় করছে না সে বিয়ে করে ৩ বছর পর বিদেশ থেকে এসেছে আবার গেছে আবার আসব ২বছর পর এগুলা কি কোন জীবন ওইখানে থেকে ওনার মনমানসিকতায় খারাপ প্রভাব পড়তাছে আর আমি নিজেকে হেফহেফাজত করতে পারছি না আমার এজটা সসন্তান হইছে এই জীবন আর আমার সাথে শুধুই রাগারাগি করে একটু থেকে একটু হলে আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয় ১ মাস ১৫ দিব এমন কথা বলে না কল দিলেও ধরে না আবার যখন কথা বলব তখন হুদায় ২/৩ ঘন্টা কথা কইব কাইটা দেয় এইটাও বলা যাইব না কথা কইতেই হইব আবার মার সাথে  ২/৩ ঘন্টা কথা কইব  হুদায় মানুষের গীবত এগুলা বলতে ভালো লাগে না তাও কইতেই হইব অল্প কথা বললে ও কইব কার সাথে জানি কথা বলি ওনারে সময় দেয় না তারপর আমারে হাতখরচ দেয় না আমি দ্বিনি কোর্স করি এজন্য দিবে না তার মার কাছে টাকা দেয় যা লাগে নিতাম তার কাছ থেকে আবার কি কাজে নিছি বলা লাগে আমি কোরআন শুদ্ধ করে ওড়তে পারতাছি না আমার ঈমান পুরাই দুর্বল হয়ে গেছে দ্বিনের ব্যপারে উদাসিনতা আইসা পড়ছে নামাজ পড়তে মব চায় না আমার বাবার বাড়িতে আইসা যদি আমি কোরআন শিখি দ্বিন পালন করতে সুবিদা হয় তাহলে কি থাকতে পারব বাবা ওই বাড়ির মানুষেদের ভয় পায় আমারে বকা দেয় ওই বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য আমি যদি জোর করে বাবার থাকি দ্বিন শিখার জন্য চমার কি গুনাহ হবে আবার আমি যদি বাবার বাড়ি থাকি আমার স্বামি বলব ওনার বাড়িতে যাতে আর না যাই আমি মানসিকভাবে পাগলই হইয়া যামু আমি কি করমু আমার শশুর বাড়িতে পর্দার পরিবেশ নাই বাইরে বেপর্দা হয়ে রান্না করতে হয় গ্রামের পরিবেশ পানি আনতে হয় পুকুর থেকে ভাবির ঘরে রান্নাবান্না হয় খাই একসাথে আমরা থাকি আলাদা আমি কি করব আমার বাচ্চাটাও ছোট ওরে নিয়া একবার আমার ঘরে আবার ভাবির ঘরে কাজ করতে যাইতে এ অবস্তায় কি আমি বোরকা পড়ে কাজ করব আমি চাদে ধান রৌদ্র দিতে যাইতে হয় কাপর চোপর শুকাতে যাইতে হয় আমি কিভাবে পর্দা করব আমি দ্বিনে ফিরতে চাই আমি কি করব দয়া করে জানাবেন  ????

1 Answer

0 votes
by (684,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

যেকোনো ক্ষেত্রেই চার মাসের বেশি বিদেশ অবস্থান স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষ বিষয়।
এমনকি দেশেও যদি কেহ স্ত্রী হতে চার মাসের বেশি দূরে থাকে,সেক্ষেত্রেও এটি স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষ।

স্বামী-স্ত্রী সর্বদা কাছাকাছি থাকবে, এটাই শরিয়তে কাম্য।
তবে যদি কোনো প্রয়োজনে (যেমন, জেহাদে যাওয়া কিংবা জীবিকা অর্জনের জন্য প্রবাসে যাওয়া) স্বামী দূরে কোথাও যায় তাহলে চার মাসের মধ্যে একবার হলেও স্ত্রীর কাছে ফিরে আসতে হবে।

কারণ নারীরা সাধারণত তাদের স্বামী থেকে চার মাস দূরে থাকতে পারে।
,
হাদিস শরিফে এসেছে,যায়দ বিন আলমাস (রহ.) বলেন,
‘এক রাতে হযরত উমর (রা.) জনগণের খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য প্রহরী বেশে বের হয়ে গেলেন। এক বাড়ির পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় তিনি ঘর থেকে নারী কণ্ঠে কবিতা আবৃত্তি শুনতে পেলেন। ঘরের ভিতর এক মহিলা কবিতা আবৃত্তি করছিল। যার অর্থ হলো,রজনী দীর্ঘ হয়েছে এবং তার এক পার্শ কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেছে। এদিকে দীর্ঘদিন যাবত আমার প্রেমাস্পদ আমার কাছে নেই যে,তার সাথে আমি আমোদ-প্রমোদ করব। আল্লাহর শপথ! যদি এক আল্লাহর ভয় না থাকত তাহলে এ খাটের চার পাশ নড়ে উঠত।
যখন ভোর হলো হযরত উমর (রা.) রাতের কবিতা আবৃত্তিকারিণী মহিলাকে ডেকে আনার নির্দেশ দিলেন। মহিলা খলিফার দরবারে এসে উপস্থিত হলে হযরত উমর (রা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,তুমি কি গত রাতে এ-জাতীয় কবিতা আবৃত্তি করেছিলে? মহিলা বলল,হ্যাঁ।
উমর (রা.) বললেন কেন? উত্তরে মহিলা বলল,দীর্ঘদিন যাবত আমার স্বামী জিহাদের ময়দানে রয়েছে। অথচ এমুহূর্তে তার নৈকট্য পাওয়া আমার একান্ত কাম্য ছিল,তার বিরহেই আমি এমনটি করেছি৷ হযরত উমর (রা.) এ কথা শুনে তখনই ঐ মহিলার স্বামীর নিকট ফিরে আসার নির্দেশনা দিয়ে শাহী ফরমান প্রেরণ করলেন। এরপর তিনি তার কন্যা হযরত হাফসা (রা.) এর নিকট গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,হে আমার মেয়ে! নারীরা তাদের স্বামী থেকে কতদিন পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করে থাকতে পারে? (প্রজাদের স্বার্থ রক্ষার ইচ্ছা যদি না হত তবে আমি তোমার নিকট এরুপ প্রশ্ন করতাম না) তখন হাফসা (রা.) বললেন,মেয়েরা তাদের স্বামী থেকে চার মাস পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করে থাকতে পারে। এরপর থেকে হযরত উমর (রা.) চার মাস পরপর মুজাহিদ বাহিনীকে ফেরত নিয়ে আসতেন এবং নতুন বাহিনী পাঠিয়ে দিতেন।’ [মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদিস: ১২৫৯৪]

পাপ থেকে হেফাযত এবং পূর্ণ নিরাপত্তার মধ্যে থাকার শর্তে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে পারস্পরিক সম্মতিতে দীর্ঘ সময় দূরে থাকায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। তবে পাপের সাথে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে অল্প দিনের জন্য হলেও দূরে থাকা বৈধ নয়। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে এভাবে স্ত্রীকে রেখে বিদেশে যাওয়ার দরুন আপনার স্বামীর গুনাহ হচ্ছে।
প্রশ্নের বিবরণ মতে তার জন্য স্ত্রীকে এভাবে দেশে রেখে বিদেশে যাওয়া জায়েজ হবেনা।

এমতাবস্থায় আপনি স্বামীকে বলতে পারেন যে পূর্ণ পর্দার পরিবেশের ব্যবস্থা করতে,প্রয়োজনে আলাদা বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে।

এতে আপনার স্বামী রাজী না হলে সেক্ষেত্রে দ্বীন মানার স্বার্থে ও গুনাহ থেকে বাঁচার লক্ষ্যে আপনার বাবার বাসায় গিয়ে থাকতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (684,960 points)
হ্যাঁ, আপনি চাইলে ডিভোর্স চাইতে পারবেন।
এতে আপনার গুনাহ হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...