আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
57 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (22 points)
গতকাল প্রশ্ন করেছিলাম,অনেকদিন আগে আমি আমার হাসবেন্ড এর কাছে মেসেজে তালাক চাই কিন্তু সে রাজি ছিলনা,পরে আমি তাকে তালাকের অধিকার দিতে বলি,তাতেও সে রাজি ছিলনা,পরে আমি তাকে বলি আমার কাবিন হয়ে গেছে,তখন সে বলে অধিকার দিলাম,তখন আমি বলি তিন তালাকের অধিকার দিয়েছো ?তখন সে বলে হুম,ভালো থেকো,,,শ,তসাপেক্ষে বলেনি,মানে সময় উল্লেখ্য করেনি,

তখন সাথে সাথে আমি তাকে বলে দেই আমার কাবিন হয়নি,এবং আমরা স্বামী স্ত্রী এর মত নরমালি কথা বলছিলাম,তাকে বুঝাচ্ছিলাম আমরা সব ঠিক করে নিবো,

এসব কথাবার্তার পর আমার ঠিক মনে পরছেনা,মনে হচ্ছে আমি মুখে নিজের উপর তালাক নিয়েছিলাম,

তবে এর পরের দিন আমি স্পষ্ট ভাবে নিজের উপরর তালাক নিয়েছিলাম,,এই তিন মাসে আমি অনেকবার নিজের উপর তালাক নিয়েছিলাম,কিন্তু আমি আমার হাসবেন্ড কে বলিনি,

তালাকের অধিকার দিলে সেটা আর ফিয়েনেয়া যায়না এমনটা আমি মনে করতাম,

এই তিন মাস পর এসে আমাক বলে তোমার উপর তালাকের অধিকার নাই,আমি তখন বলি একবার বলে ফেল্লে অধিকার ফিরিয়ে নেয়া যায়না,তাছাড়া এই তিন মাসে একবারও বলেনি আমি অধিকার ফিরিয়ে নিলাম,

এখন সে ফোন এ বলে তোমার উপর অধিকার আমি সাথে সাথে ফিরিয়ে নিয়েছিলাম,কিন্তু সে এটা মুখে বা লিখে আমাকে বলেনি,এখন বলছে,

এখন সে তালাক কোনভাবেই দিতে চায়না,এই অবস্থায় আমি কি তালাক ধরে নিবো ?

1 Answer

0 votes
by (686,800 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

رجل قال لامرأتہ خذي طلاقک، فقالت: أخذت، یقع الطلاق۔ (الفتاویٰ الہندیۃ، کتاب الطلاق / الفصل الثاني في إیقاع الطلاق ۱؍۳۵۹)
সারমর্মঃ
কোনো ব্যাক্তি যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার তালাক গ্রহন করো।
স্ত্রী যদি বলে যে গ্রহন করলাম,তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।    

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত রয়েছেঃ- 

★তবে এর পরের দিন আমি স্পষ্ট ভাবে নিজের উপর তালাক নিয়েছিলাম,,

★এই তিন মাসে আমি অনেকবার নিজের উপর তালাক নিয়েছিলাম,কিন্তু আমি আমার হাসবেন্ড কে বলিনি,

উল্লেখিত ১ম বার স্পষ্ট ভাবে নিজের উপর তালাক নেয়ার কথা জবানে উচ্চারণ করে বললে এক তালাক পতিত হয়েছে। 

এই তিন মাসে যে আপনি নিজের উপর অনেক বার তালাক নিয়েছিলেন,সেটা কি মুখে উচ্চারণ করেছিলেন? নাকি মনে মনে?

এক্ষেত্রে যদি আপনি মুখে উচ্চারণ করে নিজের উপর তালাক গ্রহন করে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনার উপর মোট ৩ তালাক পতিত হয়েছে।

শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত আর কোনোভাবেই আপনাদের এক সঙ্গে ঘর সংসার করার সুযোগ নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...