আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
643 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (86 points)
আসসালামু আলাইকুম, এটা ডেভেলপারস এর বিজনেস. জমি আর ফ্ল্যাট নিয়ে কাজ করে. এদের এখানে ইনভেস্ট করলে লাভের 40%রেখে বাকি টাকা ইনভেস্টরদের মধ্যে ভাগ করে বিতরণ করে.
বিতরণ করার নিয়ম হচ্ছে, প্রতি মাসে লাখে 1000 টাকা করে দিবে. আবার 12 তম মাসে গিয়ে কোম্পানি এই বছরের সেল এর উপর টোটাল হিসাব করবে. যা লাভ হবে তার 60% সব ইনভেস্ট দের মধ্যে ভাগ করে দিবে.
নরমালি তারা লস এ কোনো জিনিস সেল করবেনা.
যদি বাজার মন্দা হয় সেল করতে না পারে, (যেমন গত বছর করোনা কালীন সময়ে , )কোম্পানি ক্রয়কৃত প্রপার্টিজ এর একটা অংশ কিনে নিয়ে 12% হারে সবার মধ্যে বিতরণ করে.
এখানে উল্লেখ্য যে, 13-14% আনুমানিক হারে গ্রাহক দের মধ্যে বিতরণ করেছে. (করোনাকালীন, গতবছর ব্যতীত ).

আমি জানতে চাচ্ছিলাম, এই ব্যবসায় ইনভেস্ট করা আমার জন্য হালাল হবে কি ??

1 Answer

0 votes
by (677,560 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


ব্যবসার ক্ষেত্রে এক পক্ষের টাকা,অপর পক্ষের শ্রম দেওয়াকে মুদারাবা বলা হয়।
এটি জায়েজ আছে। 
,
মুদারাবার ক্ষেত্রে শরীয়তের উসুল হলো যাহা লাভ হবে,তাহা শতকরা হারে উভয়ের মাঝে বন্টন করার চুক্তি করতে হবে।
কোনো নির্দিষ্ট টাকার চুক্তি করা যাবেনা,লোকসান হলে আগে লাভের টাকা থেকে সেটা পূরন করা হবে,অতঃপর মূলধন থেকে পূরন করা হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ     

بَاب الشَّرِكَةِ وَالْمُضَارَبَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو السَّائِبِ، سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ اشْتَرَكْتُ أَنَا وَسَعْدٌ، وَعَمَّارٌ، يَوْمَ بَدْرٍ فِيمَا نُصِيبُ فَلَمْ أَجِئْ أَنَا وَلاَ عَمَّارٌ بِشَىْءٍ وَجَاءَ سَعْدٌ بِرَجُلَيْنِ .

শারীকাত (অংশিদারী) ও মুদারাবা ব্যবসা
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের দিন সাদ (রাঃ) , আম্মার (রাঃ) ও আমি গানীমাতের মালের ব্যাপারে অংশীদার হই (এই মর্মে যে, আমরা যা পাবো তা তিনজনে ভাগ করে নিবো)। আম্মার ও আমি কিছুই আনতে পারিনি। অবশ্য সাদ (রাঃ) দু’জন যুদ্ধবন্দী নিয়ে আসেন।
(নাসায়ী ৪৬৯৭, আবূ দাউদ ৩৩৮৮, বায়হাকী ফিস সুনান ৪/১৯৪, ইরওয়া ১৪৭৪।) 

এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বা বস্তু নির্দিষ্ট  করা বৈধ নয়।
যেমন টাকা প্রদানকারী এ কথা বলল যে, লাভের ৫০/৬০/৭০ পার্সেন্ট আমাকে দিতে হবে। এতে উভয়  চুক্তিকারী সম্মত হল। তাহলে চুক্তিকৃতি মুনাফা অর্থেদাতা পাবে, আর বাকিটা পাবে মুদারিব।

কিন্তু যদি একথা বলতো যে, লভ্যাংশ থেকে ৫ হাজার টাকা আমাকে দিতে হবে। অর্থাৎ পার্সেন্টস নির্দিষ্ট না করে পরিমাণ নির্দিষ্ট  করে, তাহলে উক্ত চুক্তি বৈধ হবে না।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ইনভেস্ট এর ক্ষেত্রে লাভ লোকসান উভয় ছুরতেই শরীক থাকতে হবে।
লাভ লোকসানের পার্সেন্টস নির্দিষ্ট করতে হবে।
,
★তাই প্রশ্নে উল্লেখিত প্রথম ছুরত তথা প্রতি মাসে লাখে 1000 টাকা করে দিবে,এটি জায়েজ নেই।
কারন এখানে নির্দিষ্ট এমাউন্ট (১০০০ টাকা) দেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যেককে পার্সেন্টস আকারে দেওয়া হচ্ছেনা।

★২য় ছুরত তথা 12 তম মাসে গিয়ে কোম্পানি এই বছরের সেল এর উপর টোটাল হিসাব করবে. যা লাভ হবে তার 60% সব ইনভেস্ট দের মধ্যে ভাগ করে দিবে.
এখানে সকলেরই অংশ শুরুতেই নির্দিষ্ট করা থাকলে জায়েজ আছে।
অর্থাৎ প্রত্যেকের সাথে এইভাবে চুক্তি হবে যে উক্ত 60% থেকে আপনার এতো পার্সেন্টস, আপনার এতো পার্সেন্টস। 
সকলের সাথেই নির্দিষ্ট আকারে চুক্তি হতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (86 points)
একটা প্রশ্ন ক্লিয়ার না উস্তাদ,  সেল করতে না পারলে যে কোম্পনি নিজে ইনভেস্টরের ক্রয়কৃত সম্পত্তির একটা অংশ কিনে 12%/13%/14% হারে (যেটা যখন হয় )সবার মাঝে বিতরণ করা কি জায়েজ হবে ?
জানালে উপকৃত হবো. জাঝাকুমুল্লাহ. 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...