ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামায ঘরে না পড়ে মসজিদে পড়াই সওয়াব বেশী। পুরুষদের জন্য মসজিদে মুসলমানদের জামাতের সাথে নামায পড়াই পরিপূর্ণ নামায।এমনকি বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওয়াজিবও বটে।কেননা আ'মলের মাধ্যমে আ'যানের জবাব দেয়া ওয়াজিব। এ জন্য কোনো পুরুষের জন্য বিনা প্রয়োজনে মসজিদে জামাতের সাথে নামায পড়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন না। উনার জন্য জায়েয হবে না। হ্যা প্রয়োজনে ঘরে নামায পড়া যাবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1267
আজ ৩০ মার্চ ২০২১ইংরেজী তারিখে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতে মসজিদের জামাতকে ত্যাগ করা কি জরুরী? এ প্রশ্নের জবাবে বলা হবে, এখনকার পরিস্থিতি আর আগের মত নয়, তাই মসজিদের জামাতেই শরীক হতে হবে। ওয়াজিব বিধান আবার চলে এসেছে । তবে কোথাও স্বাস্থ্যববিধি কে ফলো করা না হলে, এবং সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বর্ধমান থাকলে, সেই জায়গার মসজিদে না যাওয়ার অনুমোদন রয়েছে। সুতরাং আপনি বিশেষ প্রয়োজন বা অসুবিধা না থাকলে মসজিদেই নামায পড়বেন।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
আজ ৩০ মার্চ ২০২১ইংরেজী এখন যেহেতু করুনা পরিস্থিতি আর আগের মত নয়, এখন সবাই সবখানে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করছে। ব্যবসা বাণিজ্য লেন-দেন পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ স্বাভাবিক পর্যায়ে এখন পর্যন্ত আছে। আলহামদুলিল্লাহ। এরকম পরিস্থিতিতে এখন আর মসজিদে জামাতে কাতারে ফাঁক রেখে দাড়ানো যাবে না। বরং মাকরুহ হবে।
আপনার বিবরণমতে যদি অদ্য ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয় ৫০৪২ জন আর মৃত্যু হয় ৪৫ জন। এবং কোনো এলাকায় এ আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বাড়তেই থাকে, তাহলে অত্র এলাকার বাসিন্দা মসজিদের বদলে ঘরে নামায পড়তে পারবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আজ ১ এপ্রিল ২০২১ইংরেজী, এখন যদিও করুনা পরিস্থিতি দিনদিন অবনতির দিকে যাচ্ছে, তারপরও পূর্বের অবস্থা এখনও ফিরে আসেনি। বরং এখন সবাই সবখানে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করছে। ব্যবসা বাণিজ্য লেন-দেন পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ স্বাভাবিক পর্যায়ে এখন পর্যন্ত আছে। আলহামদুলিল্লাহ। এরকম পরিস্থিতিতে এখন আর মসজিদে জামাতে কাতারে ফাঁক রেখে দাড়ানো যাবে না। বরং মাকরুহ হবে। তবে যদি কোনো এলাকায় এ আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বাড়তেই থাকে, এবং অত্র এলাকায় স্বাস্থ্যবিধিকে ফলো না করা হয়ে থাকে, তাহলে অত্র এলাকার বাসিন্দাদের জন্য মসজিদের বদলে ঘরে নামায পড়ার রুখসত থাকবে।