ওয়া আলাইকুম
আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
কুরআন বুঝা হাদীসের উপর নির্ভরশীল এবং হাদীস
বুঝা ফিকহের উপর নির্ভশীল।তাই অহী নাযিলের কালে আল-কুরআনে ফিকহ্ চর্চ্চার কথা বলা
হয়েছে।
■ আল্লাহ তায়ালা
ইরশাদ করেছেন,
وَمَا
كَانَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ لِيَنۡفِرُوۡا كَآفَّةً ؕ فَلَوۡلَا نَفَرَ مِنۡ كُلِّ
فِرۡقَةٍ مِّنۡهُمۡ طَآٮِٕفَةٌ لِّيَـتَفَقَّهُوۡا فِى الدِّيۡنِ وَ
لِيُنۡذِرُوۡا قَوۡمَهُمۡ اِذَا رَجَعُوۡۤا اِلَيۡهِمۡ لَعَلَّهُمۡ يَحۡذَرُوۡنَ
অর্থ, তাদের
(মুসলিমদের) একটি গোত্র থেকে একদল লোক কেন (রাসূলের সঙ্গে) বের হয় না? যাতে তারা দীনের সঠিক বুঝ লাভ করতে পারে এবং
ফিরে এসে নিজ গোত্রের লোকদেরকে সতর্ক করতে পারে। এতে তারাও হয়তো বেঁচে থাকতে
পারবে। (তাওবা, ১২২)
এ আয়াতে কিছু লোককে দ্বীনের ফকীহ হতে বলা
হয়েছে। নিজ গোত্রের লোকদেরকে সতর্ক করতে ও দ্বীনের সঠিক জ্ঞানের আলোকে পরিচালিত
করতেও বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গোত্রের লোকদেরকেও তাদের নির্দেশনা অনুসারে চলতে বলা
হয়েছে। সুতরাং কিছু মানুষ দ্বীনের পূর্ণাঙ্গ সমঝ-বুঝ অর্জন করবে, আর কিছু মানুষ তাদের শিক্ষাদীক্ষা গ্রহণ করে
জীবন চালাবে: এটাই কুরআনের স্পষ্ট নির্দেশনা।
■ হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنِ
ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ
يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ " .
ইবনু
‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা যে ব্যক্তির কল্যাণ চান, তাকে ধর্মের জ্ঞানে সমৃদ্ধ করেন। ( সুনানে তিরমিযী ২৬৪৫ )
সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হাদীসের
কিতাব মিশকাতুল মাসাবীহ ( অনুবাদ: আনোওয়ারুল মিশকাত ১-৭ খন্ড ) থেকে পড়া শুরু করতে পারেন।