বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
রাসুল সাঃ ফরজ নামাজের পরপরেই সুন্নাত নামাজ আদায় করতেন।
বেশি দেড়ি করতেননা।
সর্বোচ্চ
اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ " .
পড়া সমপরিমাণ সময় দেড়ি করতেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَلَّمَ لاَ يَقْعُدُ إِلاَّ مِقْدَارَ مَا يَقُولُ " اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ " .
আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ফিরানোর পর এই দু'আ পাঠের বেশি সময় বসতেন না- “আল্লাহুম্মা আনতাস্ সালামু ..... ওয়াল ইকরাম।” অর্থাৎ- “হে আল্লাহ! তুমিই শান্তিদাতা তোমার নিকট হতেই শান্তি আসে। হে সম্মান ও গৌরবের মালিক! তুমি প্রাচুর্যময় ও বারকাতময়"। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৯২৪), মুসলিম,তিরমিজি ২৯৮)।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 530):
"ويكره تأخير السنة إلا بقدر اللهم أنت السلام إلخ. قال الحلواني: لا بأس بالفصل بالأوراد واختاره الكمال. قال الحلبي: إن أريد بالكراهة التنزيهية ارتفع الخلاف قلت: وفي حفظي حمله على القليلة؛ ويستحب أن يستغفر ثلاثاً ويقرأ آية الكرسي والمعوذات ويسبح ويحمد ويكبر ثلاثاً وثلاثين؛ ويهلل تمام المائة ويدعو ويختم بسبحان ربك.
সারমর্মঃ
উপরোক্ত তাসবিহ বলা সমপরিমাণ সময় থেকে বেশি দেড়ি করা মাকরুহ।
তবে অনেকেই বলেছেন যে দোয়া দরুদ চালিয়ে গেলে সমস্যা হবেনা।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নাজায়েজ বা গুনাহ হবেনা।
তবে বিনা প্রয়োজনে কথা বলা মাকরুহ হবে।
প্রয়োজনীয় কথা থাকলে অল্প কথায় শেষ করে দিবেন।
(০২)
এক্ষেত্রে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
নামাজ হয়ে যাবে।
তবে খেয়াল করে সুন্নাত পদ্ধতি অবলম্বন হিসেবে সুরা না মিলানোর অভ্যাস করতে হবে।
(০৩)
বায়ু বের হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হলে অযু ভেঙ্গে যাবে।
আরো জানুনঃ-