বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/17066 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
হাজত দুই প্রকারঃ- যথাঃ-
(ক)হাজতে শরঈ তথা যে সমস্ত জিনিষকে শরীয়ত কারো উপর ফরয বা ওয়াজিব করেছে সেগুলো হাজতে শরঈ বলে।
(খ)হাজতে তবয়ী:প্রস্রাব পায়খানা।এই দুই প্রকার হাজতকে এ'তেক্বাফকারী পূর্ণ করতে পারবে।স্বাভাবত মানুষের যে সমস্ত প্রয়োজন থাকে সেসব প্রয়োজনের স্বার্থে তিনি এ'তেক্বাফ থেকে বের হতে পারবেন।প্রস্রাব পায়খানা,ওজু ফরয গোসল ইত্যাদির জন্য।তবে শীতিলতা অর্জনের নিমিত্তে উনি গোসলে যেতে পারবেন না।খানা পাকানোর জন্য মহিলা পাকঘরে যেতে পারবেন না।তবে প্রয়োজনে তিনি এ'তেক্বাফ স্থলে খানাকে রান্না করে নিতে পারবেন।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১০/২৫১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ইতিকাফের রুকুন বা ফরয হল, ইতিকাফ স্থলে অবস্থান করা, ইতিকাফ স্থল থেকে এক মূহুর্তের জন্য বাহির হয়ে গেলে ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে। ইতিকাফ স্থলে বসে ব্যবসা বাণিজ্য করা মাকরুহ। ঝগড়া করা মাকরুহ। ঘরোয়া কোনো আলাপে শরীক হওয়া মাকরুহ। তবে ইতিকাফ ফাসিদ হবে না।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ইতিকাফে বসে মুবাইল চালানো বা মুবাইল ফোনে কথা বলা কোনোটাই উচিৎ হবে না।তবে মুবাইল ফোনে কথা বললে বা মুবাইল চালালে নামায ফাসিদ হবে না।সুতরাং শুধুমাত্র শিক্ষার স্বার্থে আপনি মুবাইল সাথে রাখতে পারবেন।