বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রমজানের শেষ দশে মহিলারাও এ'তেক্বাফ করতে পারবে।কেউ কেউ মহিলাদের জন্য সুন্নাতে মু'আক্কাদা আলাল কেফায়া বলেন,(খাইরুল ফাতাওয়া, ফাতাওয়ায়ে রহামিয়্যাহ-৭/২৮৫)আবার কেউ কেউ মুস্তাহাব বলেন।
মহিলারা ঘরের মসজিদে বা একটি জায়গাকে নির্দিষ্ট করে এ'তেক্বাফে বসবে।তবে সাবধান! পরবর্তীতে আর স্থান পরিবর্তন করা যাবে না।মহিলাদের জন্য শর্ত হল,হায়েয নেফাস থেকে পবিত্র থাকা।এ'তেক্বাফের মধ্যখানে যদি হায়েয চলে আসে, তাহলে এ'তেক্বাফ ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা তখন তো উনি আর রোযা রাখতে পারবেন না। পরবর্তীতে কমপক্ষে একদিন রোযা সহ এ'তেক্বাফকে কাযা করে নেবেন।সম্ভব হলে অবশিষ্ট সকল দিনের এ'তেক্বাফকে রোযাসহ কাযা করে নিতেও পারেন।
স্বাভাবত মানুষের যে সমস্ত প্রয়োজন থাকে সেসব প্রয়োজনের স্বার্থে তিনি এ'তেক্বাফ থেকে বের হতে পারবেন।প্রস্রাব পায়খানা,ওজু ফরয গোসল ইত্যাদির জন্য।তবে শীতিলতা অর্জনের নিমিত্তে উনি গোসলে যেতে পারবেন না।
খানা পাকানোর জন্য উনি পাকঘরে যেতে পারবেন না। তবে প্রয়োজনে তিনি এ'তেক্বাফ স্থলে খানাকে রান্না করে নিতে পারবেন।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১০/২৫১)
স্বামীর অনুমতি নিয়েই যেহেতু স্ত্রী এ'তেক্বাফে বসবেন। সুতরাং এ কয়েকদিন স্বামীর সহবাসের অধিকার রহিত হয়ে যাবে। কেননা তিনি এ'তেকাফের অনুমতি দিয়ে নিজের অধিকার কে প্রত্যাহার করেছেন।এ'তেক্বাফ অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী পরস্পর সহবাসে লিপ্ত হতে পারবেন না।যদি নাবালক শিশু থাকে তাহলে এ কয়দিন পিতা বা অন্যান্য আত্মীয়রা তাকে দেখাশোনা করবে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1275
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
মেয়েরা ইতিকাফ অবস্থায় রুমের ভেতর দাত ব্রাশ করে জানালা দিয়ে কুলি করতে পারবে।
(২)
ইতিকাফ অবস্থায় ওযু করার সময় সাবান দিয়ে হাত ধৌত করা যাবে। ইস্তিঞ্জা শেষেও বাথরুমে সাবান দিয়ে হাত ধৌত করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে বেশী সময় ব্যায় করা যাবে না। বরং অযু ও ইস্তিঞ্জা সমাপ্ত করার আগে ও পরে এমনভাবে ধৌত করতে হবে যে, যাতেকরে বুঝা যায় যে, তখন একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল,অযু করা বা ইস্তিঞ্জা করা।
(৩)
একজন মহিলা এক রুমে ইতিকাফ অবস্থায় থাকলে সেখানে ইতিকাফের জন্য অন্য মহিলাও প্রবেশ করতে পারবে।