নিষিদ্ধ ওয়াক্তে নামাজ আদায় করা জায়েজ নেই,তবে আছরের পর ঐ দিনের আছর নামাজ এর ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ ওয়াক্তের আগে তাকবিরে তাহরিমা বলার পর নিষিদ্ধ ওয়াক্ত চলে আসলে ঐ দিনের আসরের নামাজ চালিয়ে গেলে সেটি আদায় হয়ে যাবে।
,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عن أبي هريرة: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «من أدرك من الصبح ركعة قبل أن تطلع الشمس، فقد أدرك الصبح، ومن أدرك ركعة من العصر قبل أن تغرب الشمس، فقد أدرك العصر»
তরজমাঃ-
যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে ফজরের এক রা'কাত নামাযের সময় পাবে সে যেন ফজরের নামাযকে পেয়ে গেল।যে ব্যক্তি সূর্যাস্তের পূর্বে আসরের এক রা'কাত নামাযের সময় পাবে সে যেন আসরের নামাযকে পেয়ে গেল।(সহীহ বুখারী-৫৭৯,সহীহ মুসলিম-৬০৮)
★কেহ যদি সূর্য হলুদ হয়ে যাওয়ার পর ঐ দিনের আছর নামাজ পড়বে,তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
এমনকি কেউ যদি সূর্যাস্তের পূর্বে ঐ দিনের আসরের নামাযে দাড়িয়ে যায়,নামাজ শুরু করে, অতঃপর নামাযের মধ্যেই সূর্যাস্ত হয়ে যায়,তাহলে তার নামায ফাসিদ হবে না।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১৫৪)
فإذا غربت الشمس في أثناء الصلاة لم يفسد العصر؛ لأنه ما بعد الغروب كامل كما دل فيه لأن ما وجب ناقصا يتادى كاملا بطريق الأولى
যদি আছরের নামাযের সময় সূর্যাস্ত হয়ে যায়,তাহলে ঐ আছরের নামায ফাসিদ হবে না।কেননা সূর্যাস্তর পর সময়টা কামিল(ত্রুটিহীন)।যেহেতু নামায শুরু করার পূর্ব মূহুর্তটা নামায ফরয হওয়ার সবব বা কারণ।তাই বলা যায় তার উপর নাক্বিসভাবে তথা ত্রুটিপূর্ণ ওয়াক্তে বা অবস্থায় নামায ফরয হয়েছে।আর যে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় ফরয হয়েছিলো এবং শুরুও হয়েছিলো,সে নামায কামিল ওয়াক্ত তথা ত্রুটিহীন অবস্থায় উত্তমভাবে আদায় হবে।(বেনায়া শরহে হেদায়া-২/২৩-শামেলা)
,
★★সুতরাং কেহ যদি ঐ দিনের আছরের নামাজ পড়তে চায়,এবং ছহীহ ভাবে তাকবিরে তাহরিমা বলে নামাজের কার্যক্রম শুরু করে,তারপরেই যদি সূর্য ডুবে,যায়,তাহলে এমতাবস্থায় সে যদি ঐ নামাজ সম্পন্ন করে,তাহলে নামাজ হয়ে যাবে।
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ
إلا عصر یومہ ذلک ، فإنہ یجوز اداء ہ عند الغروب
الفتاوی الہندیۃ: ۱/۵۲۔
যার সারমর্ম হলো ঐ দিনের আছরের নামাজ সূর্য ডুবে যাওয়ার সময়েও আদায় চালিয়ে যাওয়া যাবে।
নামাজ আদায় হয়ে যাবে।