বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)নামাযে তিন তাসবীহ পরিমাণ চুপ থাকার কারণে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৩১; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১২২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৭৩; বাদায়েউস সানায়ে ১/৪০২; শরহুল মুনইয়াহ পৃ. ৪৬৫; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৩৩৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৭৪৭; আদ্দুররুল মুখতার ২/৯৩ ও ১/৪৫৬।
সুতরাং আপনি যদি তিনবার সুবহানাল্লাহ বলার সমপরিমাণ সময় চুপ থাকেন,তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।নতুবা হবে না।পাঁচ সেকেন্ডে যেহেতু তিনবার ধীরস্থীরে তিনবার সুবহানাল্লাহ বলা সম্ভব নয়,তাই এক্ষেত্রে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
(২)যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।
সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
একবার উচ্ছারিত হয়ে গেলেই নামায ফাসিদ হয়ে যায়।দ্বিতীয়বার দোহড়িয়ে নিলেও আর নামায বিশুদ্ধ থাকবে না।বিস্তারিত জানুন-
4350
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
(৩)ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ليس للقضاء وقت معين بل جميع أوقات العمر وقت له
কা'যা নামায পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওয়াক্ত নেই।বরং জীবনের সকল মূহুর্তই কা'যা নামাযের ওয়াক্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২১)বিস্তারিত জানুন-
1604
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আসরের পর উমরী কাযা বা কাযা নামায পড়তে পারবেন।তবে দুখুলুল মসজিদ পড়তে পারবেন না।
(৪)আসরের ফরযের পূর্বে আসরের সুন্নত পড়াই উচিৎ।নফল পড়লেও আদায় হবে, গোনাহ হবে না।তবে এমনটা করা উচিৎ হবে না।
(৫)দুখুলুল মসজিদকে প্রদাণ্য দিবেন।কেননা দুখুলুল মসজিদ সম্পর্কে বিশেষ ভাবে অনেক তাগিদ এসেছে।